টিআই শহীদ পতেঙ্গায় যোগদান করার পর ঝানজটমুক্ত হয় এই অঞ্চল। এলাকার মানুষ স্বস্থিতে থেকে দিন কাটলেও বেশীদিন রাখতে পারছেন না এই অবস্থা টিআই শহিদ। যে লাউ সেই কদুর মতো অবৈধ, চোরাই অঅনুমোদিত গাড়ীতে ভরে গেছে পতেঙ্গা এলাকা। রেকার ড্রাইভার মিরাজ মাহমুদ নামক জনৈক পুলিশ কনষ্টেবল সম্প্রতি চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনী খেয়েছে। গণপিটুনী থেকে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সকলের প্রশংসায় ভাসছেন টিআই শহীদ ও পতেঙ্গায় টিআই শহীদের যোগদানের পর পাল্টে গেল রাস্তার দৃশ্যপট শীর্ষক দুটো সংবাদ দেশের প্রাচীনতম সাপ্তাহিক পূর্ব বাংলায় প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ প্রকাশের পর সচেতন, সুশীল ও রাজনৈতিকমহলে এই এলাকার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। গত এক মাস ভ্রমণ পিপাসুরা নিবিঘ্নে ও ঝানজটমুক্ত অবস্থায় এই এলাকায় বেড়াতে পেরেছেন। তখন টিআই শহিদের সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে ও ট্রাফিক পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল হতে থাকে। হালে মিরাজ মাহমুদ নামক জনৈক পুলিশ খালপাড় এরিয়া, খেজুরতলা , এয়ারপোর্ট, মুসলিমাবাদ ও সাগর পাড় এলাকায় সিভিল পোষাকে ওয়াকিটকি হাতে নিয়ে বিভিন্ন গাড়ী থেকে চাঁদা আদায় করে থাকে। এই এলাকার সকল অবৈধ গাড়ির ড্রাইভারের কাছে মিরাজের মোবাইল নাম্বার রয়েছে। বিষয়টি সকল গাড়ীর মালিক ও ড্রাইভারের কাছে ওপেন সিক্রেট। এই মিরাজ কতিপয় ব্যাক্তিদেরও সাথে গোপন লেনদেনের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্পর্ক রেখে চলে ।
খালপাড় এলাকার বেশ কিছু ড্রাইভার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন মিরাজের কারণে এইখানে ঝানজট লেগে আছে ও ট্রাফিকের চাঁদাবাজি চলছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে মিরাজ মাহমুদ মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর ভয় দেখিয়ে অপ্রাসাঙ্গিক কথা বার্তা বলেন – আমি তথ্য মন্ত্রীর লোক তথ্যমন্ত্রীর এপিএস থেকে জেনে নিন আমি কেমন লোক। তার ০১৯৯৭ ০০৫৭৯১ নাম্বারে ফোনের সংলাপে এইসব কথা রয়েছে।
এই বিষয়ে এই অঞ্চলে ট্রাফিক এসি মিজান সাহেব বলেন, বিষয়টি আমি শুনেনি। টিআই থেকে খবর নিয়ে আপনাকে জানাব।