মিঠুন সাহা, পানছড়ি
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ১ নং লোগাং ইউনিয়নের ফাতেমা নগর এলাকায় নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখলের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার কালু মিয়া(৮০) এবং তার দুই ছেলে আনোয়ার হোসেন (৫০) ও জাকির হোসে(ন ৩৬) মোঃজসিম (৫০) এর বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়,কোভিড ১৯ পরিস্থিতির কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সময় গত ২৮ মে ২০২১ ইং তারিখে রাতের আঁধারে বিদ্যালয়ের খালি মাঠ দখল করে সেখানে বাড়ি তৈরি করা হয়। সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে আরও জানা যায়,দখল করা বিদ্যালয় মাঠটিতে ১৯৮৬ সালে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে তৎকালীন সরকার খাস জায়গায় বড় পানছড়ি দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থানান্তরসহ পরবর্তীতে এখানে ১৯৯৪ সালে ফাতেমা নগর মেঘনা যুব কল্যাণ ক্লাব ভবন নির্মাণ হলে তার পরবর্তীতে এখানে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো। বিদ্যালয়ের স্কুল কমিটির সভাপতি সৈয়দ এম এ বাশার বলেন,ফাতেমা নগর এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি কালু মিয়া,জসীম ও তার ছেলেরা মিলে গত ২৮ মে ২০২০ সালে আঞ্চলিক দলিল মূলে বিদ্যালয়ের মাঠটি দখন করে নেয়।আমরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে মাঠটি তাদের বলে দাবী করে। আমরা তখন সাথে সাথে থানায় অভিযোগ দেয়।থানা প্রশাসন তাদের কাজ বন্ধ করে দেয়। এবং তারা পরবর্তীতে আমার নামে মামলা দায়ের করে। আমরাও মামলা দিয়েছি।মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। এলাকার স্থানীয় ব্যক্তি ফরহাদ উদ্দীন জানান,আমরা এই মাঠের পাশে বর্তমানে যে ক্লাব আছে সে স্থানে আগে প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল। সেখানে আমি পড়াশুনা করেছি।ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি এখানে নানা অনুষ্ঠান হতে।পাশ্ববর্তী কালু মিয়া কিভাবে বলেন এটা তাদের জায়গা।এটা খাস জায়গা ছিল এবং এখনো আছে। কালু মিয়া জানান,এই জায়গাটি ( মাঠ) আমি আঞ্চলিক দলিল মূলে আবদুল জলিলের ওয়ারিশ মোঃজসিমের কাছে থেকে ২০১৬ কিনেছি। আমার কাছে সকল কাগজ পত্র আছে।তারা আমার জায়গায় বিদ্যালয়ের মাঠ দাবী করে কিভাবে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের একমাত্র মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে তাদের দখলে থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে বিদ্যালয়ের জায়গা উদ্ধার করতে প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সচেতন এলাকাবাসী।