1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হলেন শিল্পপতি খলিলুর রহমান বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করেছে ২১নং জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের আলম আশিক দেশে ২০ হাজার শিশু ডায়াবেটিসে ভুগছে মনজুর আলম প্রতিষ্ঠিত নতুন ৩ টি জামে মসজিদ জুম্মার নামাজ আদায় এর মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে –  সিমিন হোসেন পতেঙ্গা চরপাড়ায় অবৈধ অনুমোদহীন আইসক্রীম ফ্যাক্টরীঃ প্লাস্টিক ফ্যাক্টরী লোকেরাই আইসক্রীম ফ্যাক্টরীরও কর্মী গনচিনি, চ্যাকারাইন, লোংরা পানি ও বিষক্ত ক্যামিক্যাল ব্যবহার সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখীতে ‘সবুজ চুড়ি আন্দোলনে ২৫শ তালগাছ রোপন সাংবাদিক ওমর ফারুকের ইন্তেকাল ২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর 

চট্টগ্রামে ১ পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ২১ মার্চ, ২০২১
  • ৩২৬ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি

জিআরও শাখার পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে  একের পর এক অভিযোগ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম আদালতে সে এসব  অপকর্মে জড়িত। অভিযোগে জানা গেছে, মামলায় আসামিদের জামিনের ব্যবস্থা, নুতন মামলায় গ্রেফতার না দেখানোসহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নেয়া হাতিয়ে নিচ্ছে। মামলার শিকার অপরাধী ও নিরপরাধী অনেকেই এ ফাঁদে পড়ে কেউ ফকির হচ্ছে অন্যদিকে এসব কর্মে জড়িতেরা মোটা অংক কামাচ্ছে। এতে মহামান্য আদালত ও পুলিশ সম্পর্কে খারাপ ধারনার সৃষ্টি হচ্ছে।  বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচবার মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে সিএমপি কমিশনারের নিকট অভিযোগ করা হলেও রহস্যজনক কারণে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

অভিযোগ সূত্র জানায়, মোহাম্মদ হোসেন আসামিদের কাছ থেকে অবৈধভাবে লেন করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক আইনজীবী। অভিযোগ রয়েছে, নগরীর বিভিন্ন থানা থেকে গ্রেফতার হওয়া আসামীদের আদালতে হাজির করার পর সংশ্লিষ্ট থানার জিআরও সেকশনে কর্মকর্তারা আসামীদের জামিনের ব্যবস্থা, নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো, বিচারক, পেশকারদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ধরণের কৌশলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর জামিন না হলে টাকা ফেরত চাইতে গেলে একাধিক নতুন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগও রয়েছে।

মো. হোসেনের বিরুদ্ধে গত ৩১ জানুয়ারি সিএমপি কমিশনারের নিকট লিখিত অখিযোগ করেন এডভোকেট মিল্টন কান্তি চৌধুরী। অভিযোগ সূত্রে জানায়, চট্টগ্রাম আদালতে জিরও শাখায় কনেষ্টেবল পদে মো, হোসেন আদালতে বিচার প্রার্থীদের মিস গাইড করে আদালত ও আইনের অপব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, খুলশী থানার১(৭)১৯ মামলার আসামি জাহিদ ও শাহদাত হোসেন, ও ১৩(১১)১৯ নং মামলান আসামি নাহিদ হোসেন রাসেল, ২০(৮)১৯ নং মামলার আসামি মোক্তার হোসেন ও শাহদাত হোসেন মামলায় জামিন থাকার পরও বিভিন্নভাবে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয় বিষয়টি নিয়ে এর আগেও ২০১৯ সালে সিএমপি কমিশনারের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হলেও রহস্যজনক কারণে উক্ত পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার কারণের তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে বিভিন্ন থানার পুলিশ সোর্সদের সাথে। থানায় গ্রেফতার হওয়া আসামীদের জামিন করিয়ে দেওয়া কথা বলে পুলিশের সোর্সদের মাধ্যমে মামলার তদবীর বাণিজ্য করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতে কর্মরত কয়েকজন কোটিপতি ও গাড়ীর বাড়ির মালিক হয়েছেন। সিএম এ আদালতে বিভিন্ন পদে চাকুরীরত কর্মচারীরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জড়িয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখিয়ে জায়গা দখলের অভিযোগও রয়েছে।

চট্টগ্রাম আদালতের এডভোকেট মিটন কান্তি চৌধুরী জানান ভোক্তভোগীর পক্ষে মহানগর আদালতে প্রসিকিউশন শাখার পাঁচলাইশ খুলশী জি, আরও সেরেস্থায় কর্মরত জিআরওসহ কনস্টেবল মোহাম্মদ হোসেনের টাকা নেয়া, জামিনের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের নিকট অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি।

তিনি আরো জানান, আদালতে আগত আসামীদের নিকট আত্মীয়দেরকে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট নাম ভাঙ্গিয়ে আসামি জামিনের ব্যবস্থার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া একাধিক অভিযোগ রয়েছে প্রসিকিউশন শাখায় কর্মরত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এডভোকেট মিটন কান্তি চৌধুরী বলেন চট্টগ্রাম আদালতে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কর্মরত থাকার কারণে তারা তদবীর বাণিজ্যের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া কারণে প্রতারিত হচ্ছে বিচার প্রার্থীরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মোহাম্মদ হোসেন বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা স্বীকার করেছে বলেন, আগেও অনেকবার অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযোগে তদন্ত হলে তদন্ত আমার কোন দোষ প্রমান করতে পারেনি বলে জানান। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিএমপির সহকারী কমিশনার(প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলার কার্যক্রমে অনেকে খুশি নাও হতে পারে, মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে আইনজীবীর অভিযোগটি তিনি শুনেছেন বলে জানান, বিষয়টি কি কারণে করা হয়েছে কেন করা হয়েছে তদন্ত করে দেখবেন বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla