বিশেষ প্রতিনিধি
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান চৌধুরী ও ৩ সহযোগী মিলে ১ মুরগী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে জিম্মি রেখে বিকাশে টাকা আদায় , চেক বই ও সাদা স্ট্রাম্প নেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ ও আদালতে মামলাও হয়েছে। এই মামলায় ৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। তন্মধ্যে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান চৌধুরীও অভিযুক্ত আসামী। ওই মামলার বাদী ও বিবাদী সকলের বাড়ী বাঁশখালী উপজেলায়। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীরও নানান অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. আল মামুন তালুকদার নামের এক ব্যক্তি বাঁশখালী থেকে মুরগির খাদ্যর বকেয়া টাকার জন্য গত ৬ সেপ্টম্বর নগরীর বহদ্দারহাটে আসেন । পাওনা টাকার জন্য গেলে ব্যবসায়ী জসিম ডেকে নিয়ে পাঁচলাইশ মডেল থানার সামনে এ, কে. কনভেশন হলের সামনে যেতে বলেন। এই স্থানে যাওয়ার সাথে সাথে ১০-১২ জন লোক অস্ত্র ধরে আরকান হাউজিং সোসাইটির ১০ তলা একটি ভবনের ছাদে নিয়ে যায়। তখন বিভিন্নভাবে মারধর করে এবং রক্ষিত ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এ সময় জোরপূর্বক কয়েকটি চেক এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। মো. আল মামুন তালুকদার পূর্ব ডোংরা ৫নং ওয়ার্ডের সিরাজুল হক তালুকদারের ছেলে।
ঘটনার ৮ দিন পর বাঁশখালী উপজেলার রায়ছাটা এলাকার শামশুল আলমের ছেলে আরিফুর রহমান শাকিল (২৮), বাঁশখালীর দীঘিরপাড় এলাকার জাফর আহমদের ছেলে সিফাত( ৩০), মো. ইমন (২৯), দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মামুনর রহমান চৌধুরীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গত ১২ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আল মামুন তালুকদার জানান, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে জেনে শুনে আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয়রা যারা দেখেছেন তাদের ভাষ্যমতে আসামি করা হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা মামুন আসামিদের গডফাদার।
এই বিষয়ে পুইছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি নিজেই ফয়সালা করতে চেয়েছিলাম। আসলেই বাদীকে অন্যায়ভাবে বিবাদীরা আটক করে ও টাকা, চেক বই এবং স্ট্যাম্প ছিনিয়ে নেয়। পুইছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম হায়দার এই বিষয়ে বলেন আমি ঘটনাটি শুনেছি। আমি চাই দোষীরা শাস্তি পাক।
দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মামুনর রহমান চৌধুরী বলেন আমি সকল ডকুমেন্ট নিয়ে ১ ঘন্টার মধ্যে অফিসে আসছি। সকল কাগজপত্র নিয়ে অফিসে যোগোযোগ করার কথা বলেও যোগাযোগ করেনি। বরং পরে যেকোন কিছুর বিনিময়ে নিউজটি বন্ধ করা যায় কিনা জানতে চান। যখন পূর্ব বাংলা থেকে বলা এটা সম্ভব নয়। তখন তিনি তার বক্তব্য দেবেন বলেও সময় ক্ষেপন করে করেন।
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল কবির জানান, পুলিশ কখনো আসামির রাজনৈতিক পরিচয় দেখে না, অপরাধ দেখে তদন্ত করে। যদি ঘটনায় জড়িত নন এমন কোনো ব্যক্তিকে আসামি করা হয়, তদন্তে সে বাদ পড়বে। ঘটনার স্থান এবং ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে মূল ঘটনা বের করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।