কক্সবাজার শহরের কলাতলীর আবাসিক হোটেল সুইট হোমের কক্ষে যুবকের গলায় তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে খুন করে পালিয়ে যাওয়া দুজনকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পালানোর সময় ‘গায়ে রক্তাক্ত জামা পরিহিত’ দেখে খুনি সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দিনগত রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতুতে যাত্রীবাহী বাস থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দিনগত রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি সেতুর তল্লাশি চৌকির পুলিশ সদস্যরা যাত্রীবাহী বাস থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, ঢাকার খিলগাঁও থানার মালিবাগের চৌধুরী পাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে মো. বাবু এবং একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোন এলাকার হোটেল সুইট হোম রিসোর্টের ৩০২ নম্বর কক্ষ থেকে আব্দুল মালেক (৩০) নামের যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।জানা যায়, গত সোমবার সকালে একদিনের জন্য ওই হোটেলে কক্ষ ভাড়া নিয়েছিল মো. বাবু ও মো. নজরুল ইসলাম বলে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় হোটেল কক্ষ ছাড়ার সময় হলে কর্মচারীরা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পায়। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও ভেতরে থাকা লোকজনের কোনো ধরনের সাড়াশব্দ না পেয়ে পরে ডুপ্লিকেট একটি চাবি দিয়ে কক্ষটির তালা খোলা হয়।
এ সময় মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করার পর মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত আব্দুল মালেক (২৮) কক্সবাজার শহরের বাদশাঘোনা সওদাগর পাড়ার জাগির হোসেনের ছেলে। তিনি মৎস্য ব্যবসায়ী ছিল।
ওসি মুনীর-উল-গীয়াস বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতুর চেকপোস্টের পুলিশ সদস্যরা যানবাহনে তল্লাশি করছিল। কক্সবাজার শহর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী যাত্রীবাহী একটি বাসে তল্লাশির সময় পুলিশ সদস্যরা দুই ব্যক্তিকে রক্তাক্ত জামা পরিহিত থাকা দেখতে পায়। এতে পুলিশ সদস্যদের মনে সন্দেহ জাগে। এ সময় পুলিশ ওই ব্যক্তিদের কাছে রক্তাক্ত জামা পড়ার কারণ জানতে চাইলে তারা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বলে জানায়। পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হয় যে দুর্ঘটনার তথ্যটি সত্য নয়। পরে পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। সবটুকু খবর পড়তে এখানে ক্লীক করুন