1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:১৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হলেন শিল্পপতি খলিলুর রহমান বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করেছে ২১নং জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের আলম আশিক দেশে ২০ হাজার শিশু ডায়াবেটিসে ভুগছে মনজুর আলম প্রতিষ্ঠিত নতুন ৩ টি জামে মসজিদ জুম্মার নামাজ আদায় এর মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে –  সিমিন হোসেন পতেঙ্গা চরপাড়ায় অবৈধ অনুমোদহীন আইসক্রীম ফ্যাক্টরীঃ প্লাস্টিক ফ্যাক্টরী লোকেরাই আইসক্রীম ফ্যাক্টরীরও কর্মী গনচিনি, চ্যাকারাইন, লোংরা পানি ও বিষক্ত ক্যামিক্যাল ব্যবহার সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখীতে ‘সবুজ চুড়ি আন্দোলনে ২৫শ তালগাছ রোপন সাংবাদিক ওমর ফারুকের ইন্তেকাল ২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর 

জনসচেতনতা তৈরী করার মাধ্যমে মরণব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব- জেলা সিভিল সার্জন

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১
  • ৩১৭ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেছেন, পারিবাহিত রোগ, হেপাটাইটিস ও ক্যান্সার জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক হুমকিস্বরূপ। নিরাপদ পানির অভাবে অসংখ্য মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করে। স্যুয়ারেজ সিস্টেমে পানি লিকেজের কারণে গত বছর নগরীর হালিশহর এলাকায় পানি দুষিত হয়। ফলে সেখানে হেপাটাইটিস, কলেরা ও ডায়রিয়াজনিত মহামারী দেখা দিয়েছিল। স্বাস্থ্য বিভাগের নিরলস প্রচেষ্টায় এ মহামারী মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। সকলে সুস্থ থাকতে হলে পানি ফুটিয়ে পান করার পাশাপাশি রান্না-বান্না ও অন্যান্য কাজে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে হবে। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতসহ কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আমরা যেভাবে সক্ষম হয়েছি ঠিক তেমনি সর্বত্র জনসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে মরণব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আজ ১৪ জুন ২০২১ ইংরেজি সোমবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে আয়োজিত জনগণের মধ্যে হেপাটাইটিস, পানিবাহিত রোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা প্রচারণার বিষয়ক অ্যাডভোকেসী সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফ স্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশনের সহযোগিতায় কনসালটিং ফার্ম বর্ণমালা কমিউনিকেশন লিমিটেড সভার আয়োজন করেন। জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অ্যাডভোকেসী সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরর সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান, ডেপুটি চীফ (টিএসডি) এন্ড প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডবিøউএইচও) মোঃ মোখলেছুর রহমান, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মোঃ সাঈদ হাসান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, মেডিকেল অফিসার (প্যাথলজি) ডা. আবু সাদাত মোঃ শিহাবউদ্দিন, মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ নওশাদ খান ও সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ। সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার, স্বাস্থ্য কর্মীরা অ্যাডভোকেসী সভায় অংশ নেন। কর্মশালার মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, নিরাপদ পানির অভাবে প্রতিবছর বিশ্বে পানিবাহিত রোগে ১৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয় ও ৮ লাখ ৪২ হাজার মানুষ অকালে মারা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের প্রতি ৩ জন মানুষের মধ্যে ১ জন হেপাটাইটিস বি কিংবা হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্ত ও ২০১৫ সালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৩ লাখ লোক মারা গেছে। হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস রক্তে সংক্রমিত হলে লিভার সিরোসিস এবং শেষ পর্যন্ত লিভার ক্যান্সার হয়ে মৃত্যু হতে পারে বলে কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে, বিশ্বে ২০০ ধরণের ক্যান্সার রয়েছে যার কারণে প্রতিবছর লাখো মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। পরিসংখ্যানে বলছে, ২০১২ সালে সারা বিশ্বে ৮০ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মারা গেছে। প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু সচেতনতা বুদ্ধি করা গেলে এসব জঠিল রোগ প্রতিরোধ সহজ হবে। সভায় ক্যান্সারের কয়েকটি কারণ তুলে ধরা হয় তার মধ্যে বয়স, খাবার, জীবনযাপনের ধারা, পারিবারিক ইতিহাস, পরিবেশ ও পেশাগত কারণ অন্যতম। আর মরণ এ ব্যাধি প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞরা ধূমপান সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা, সুষম খাবার গ্রহণ, আর্সেনিকমুক্ত পানি পান, নিয়মিত হাঁটাচলা, ব্যায়াম, ভেজাল ও নি¤œমানের কসমেটিক পরিহার, দীর্ঘ সময় সরাসরি সূর্যেও নীচে না থাকা, বেশ কিছু জীবানুর বিরুদ্ধে টিকা গ্রহণ, পরিবেশ দূষণ, বিশেষ করে বায়ু ও পানিদূষণ বন্ধ করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। গবেষণার বরাত দিয়ে সভায় উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ পানির উৎস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশী মাত্রায় ম্যাঙ্গানিজের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মলের জীবাণু রয়েছে এমন উৎসের পানি পান করছে ৪১ শতাংশের বেশী মানুষ। এ ক্ষেত্রে স্বল্প শিক্ষিত নগরবাসী সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জরীপে বলা হয়েছে। শহরাঞ্চলের এসব পরিবারে যে পানি খাওয়া হয় তার এক তৃতীয়াংশেই উচ্চমাত্রার ই-কোলাই ব্যাক্টেরিয়া থাকে, যা ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ। গবেষণায় শিল্প ও কারখানা, গৃহস্থালির আবর্জনা, কৃষিক্ষেত্র তেজস্ক্রিয় পদার্থ ও খনিজ তেল থেকে পানি দূষণ, তাপীয় দূষণ, বায়ু দূষণের কারণে পানি দূষণ ও আর্সেনিক দূষণকে পানি দূষণের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে বিশুদ্ধ পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার ৭ উপায়ের কথা বলেছেন। এগুলো হলো-ফুটিয়ে, ফিল্টারিং, ক্লোরিন ট্যাবলেট বা বিøচিং, পটাশ বা ফিটকিরি, সৌর পদ্ধতি, আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি ও আয়োডিন ব্যবহার।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla