লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া প্রতিনিধি
গাছ উপড়ে ফেলার ঘটনায় পুরা লোহাগাড়া জুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।কয়েক একর জায়গা জুড়ে বাগানের গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে, কাটা হয়েছে প্রচুর গাছ।সেই সাথে বাগানের মাটি ও সরিয়ে ফেলায় ব্যস্ত ছিল একটি সংঘটিত দস্যুদল।
চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া ইউনিয়নের মল্লিক সোবহান গ্রামে গত রবিবার ৩০মে আনুমানিক রাত ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। সকাল হতে না হতেই ঘটনাটি এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
জানা যায়,ব্যবসায়ীক কাজে জায়গার মালিকগন শহরে অবস্থান বুঝতে পেরে বাগানের গাছ উপড়ে ফেলার ঘটনায় আরো সুবিধা নিতে থাকে।ঘটনার দিন পুরুষ শুন্য বাড়ি মনে করে সুমন ও তার ভাড়া করা সন্ত্রাসী সাইফুলসহ তাদের ভাড়া করা মুখোশধারী আরো বেশ কিছু সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রবল নিয়ে আজিজুর রহমানের বাড়ি পাহারা দিয়ে রাখেন।এ দিকে আজিজুর রহমানের ছোট ভাই শফিক বাড়ি এসেছেন তা সুমনের অজানা ছিল।দ্রুত সুমন বাঁধা দিতে গেলেই তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ দা,কিরিচ দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকেন। ঘটনাটি অন্য ভাইয়েরা কর্ণপাত হওয়ার সাথে সাথে পুলিশের সাহায্য নেন।পুলিশ কাজটি বন্ধ করে দেন।বর্তমানে এই ঘটনা নিয়ে পুরা লোহাগড়া উপজেলা চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি বিরাজমান রয়েছে।
প্রতিবেশি সূত্রে জানা যায়, ওয়ারেছ আলী প্রকাশে সুমন,সুমনের বাবা ( মাহাবুর রহমান) ও আজিজুর রহমানের বাবা সম্পর্কে তারা বৈমাতৃক ভ্রাতা হন, সেদিক থেকে তারা চাচাতো ভাই হয় তবে আজিজুর রহমানদের বাড়িতে কোনো পুরুষ না থাকায় সুমন প্রতিনিয়ত তাদের উপর বিভিন্নভাবে জবরদস্তী জুলুম চালিয়ে যাচ্ছিলো বহুদিন আগে থেকে। রাতের আধারে আজিজুর রহমানদের নিজেদের বাগান কেটে গাছ নিয়ে যাচ্ছিলো,মাটি চুরি করাসহ একটি রাস্তার কাজ করছিলো তারা। তবে হঠাৎ থানার হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয় তারা।
এই ব্যাপারে সুমন জানান,আমিও ওই বাগানে জায়গা পাবো তাই কেটেছি তাতে আমার জায়গায় কাজ করবো তা দিনে করবো নাকি রাতে করবো তা আমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। তবে রাতের আধারে কেন ?প্রশ্ন করা হলে-স্থানীয় সংবাদদাতা কারো প্রশ্নের মুখে সুমন সৎ উত্তর দিতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন আমার জায়গায় তারা গাছ লাগিয়েছে তাই কেটেছি,জায়গাও দখল নেবো।গাছের বয়স আনুমানিক ১০থেকে ১৫বছর, এতদিন চুপ ছিল কেন প্রশ্ন করতেই তিনি উত্তর দেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার অনেক বছর পরে হয়েছে আমিও এতবছর চুপ থেকে আজ সময় হয়েছে।তিনি এলাকার মেম্বার আক্কাসের অনুমতি নিয়ে এই বাগান কাটা ও জায়গা দখলের কাজে নেমেছেন বলে জানান সুমন।এক পর্যায়ে,সব অস্বীকার করেন।এরপর ব্যস্ততা দেখিয়ে সাংবাদিকের আর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কল কেটে দেন বারবার। এ বিষয়ে মেম্বার আক্কাসের সাথে আমাদের মুঠো ফোনে কথা হয়। মেম্বার মেম্বার বললেন আমি সবার মেম্বার, আমি কেন গাছ কাটতে বলব?
বাদী আজিজুর রহমান জানান,সুমন ও তার কিছু কিশোর গ্যাং এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।একটু কিছু হলেই দা,কিরিচ নিয়ে গায়ের উপর আসে।এটা দেখে এসেছি তার বুঝ হওয়ার পর থেকে।সে বদমেজাজি।আমাদের পরিবারকে দীর্ঘদিন যাবৎ জিম্মি করে রেখেছে এই সুমন যার কারনে আমরা প্রায় ভাই পরিবার নিয়ে নিজ ভিটায় থাকা দুষ্কর প্রায়।তাই আমরা অনেকেই ভাড়া বাসায় থাকি।আজ আমার এত বছরের পুরান গাছ ও মাটি কাটার দূঃসাহসে অনেক কিছু পরিষ্কার ও খোলাসা হয় যে এই সুমন,সাইফুলসহ তার গ্যাং কে প্রশাসন এখন নিয়ন্ত্রণ না করলে ভবিষতে লোহাগড়ায় বড় বড় অপরাধ সংগঠিত হতে পারে। তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়- ক্ষতি হয়েছে আমাদের। এই বিষয়ে লোহাগড়া থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, কল পেয়ে তাৎক্ষণিক কাজটি আমরা থামিয়ে দেই।পরে সকালে গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছি।আমরা সকালে উভয় পক্ষকে আপোষের বৈঠকে বসতে বলেছি।তারা উভয় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে রেখেছেন।