দেশের উপকূলীয় জেলাসমূহ প্রবল জোয়ারের পানি দ্বারা প্লাবিত হতে পারে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ ও পূর্ণিমার প্রভাবে। ফলাফল অনেক নিচু এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ, পশ্চিম মধ্য বঙ্গপোসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান রত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ আরও সামান্য কিছুটা উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিম মধ্য বঙ্গপোসাগর তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ ২৫ শে মে দুপুর ২ টা বেজে ৫ মিনিটে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪২১ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিলো, এটি আরও জোরদার হয়ে উত্তর উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫০ কিলোমিটার এর ভেতরে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘন্টায় ১১৫ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর ওইস্থানে প্রবল উত্তাল রয়েছে। দেশের সকল সমুদ্র বন্দরকে সরকারি আবহাওয়া অধিদপ্তর ২ নাম্বার সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে। এই ঘূর্ণিঝড় এর গতিপথ যদি পরিবর্তন না হয়, তাহলে এটি আগামীকাল বিকেল ও রাতের ভেতরে ভারতের দীঘা তৎসংলগ্ন এলাকা অতিক্রম করতে পারে। তবে গতিপথ পরিবর্তন হলে এটি সাতক্ষীরা, ২৪ পরগনা আঘাত করতে পারে। যাহোক ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করার সময়, সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, ঝালকাঠি, উপকূলে ঘন্টায় ৭০ থেকে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে ও এইসকল এলাকার নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ার থেকে স্থানভেদে ৪ থেকে ৮ ফুট উচ্চ জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে এবং কিছু কিছু এলাকায় ভারিবর্ষন হতে পারে। এবং এই বৃষ্টির পরিমান আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।