অন্যায় আইনে পরিণত হলে তখন প্রতিরোধ গড়ে তোলা কর্তব্য হয়ে পরে এমন মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রতিরোধকে আমাদের কর্তব্য হিসেবে মেনে নিয়ে কঠোর প্রতিরোধ গড়েতুলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি কিছুদিন আগে আফ্রিকায় একটি মিউজিয়ামে গিয়েছিলাম, সেখানে লেখা ছিল, যদি অন্যায় আইনে পরিনত হয় তখন প্রতিরোধ কর্তব্য হয়ে পরে। যেখানে আইন নাই আইনের শাসন নেই, যেখানে মানুষের অধিকার নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, যে দেশে ৬০ লাখ বিরোধী নেতাদের নামে মামলা দিয়ে তাদের স্তব্দ করে দেয়া হয় সে দেশে শুধু মাত্র প্রতিবাদ করে বেরিয়ে যাওয়া যায় না। তাই প্রতিরোধকে আমাদের কর্তব্য হিসেবে মেনে নিতে হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারের চিন্তা- ভাবনা মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে হবে। দেশ বিক্রি করে দিতে হবে। আর অন্যায় ভাবে খালেদা জিয়াকে জেলে দিতে হবে। তা নাহলে এই সরকার তাদের অন্যায় কাজ চালিয়ে যেতে পারবে না।
আমির খসরু বলেন, দেশের সংবিধানে পরিষ্কার ভাবে বিচারের কথা আছে, কিভাবে বিচার করতে হয়। কিন্তু সেই বিচার প্রক্রিয়া সরকার মানছে না। খালেদা জিয়ার নামে যে মামলা সেই মামলার জন্য তার কোন দোষ নেই, তিনি এ বিষয়ে কিছুই যানেন না। তারপরও এই সরকার তাকে সাজা দিয়েছেন। মিথ্যা মামলায় জেলে রেখেছেন। তাই যে দেশে আইনের শাসন নেই, সেখানে প্রতিরোধ গরে তোলা আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য। কঠোর প্রতিরোধ গরে তুলে আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।