পুলিশ কনস্টেবল পরিচয়ে ট্রাফিক অফিসে ভ্যানগাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল সে। উনিশ বছরের তরুণী শাহনাজ আক্তার শান্তা ঝালকাটির অধিবাসী। সদর থানার দাড়থী আক্তার মেম্বার বাড়ীর আ ল আমিন ও হাজেরা বেগমের মেয়ে শান্তা। সে চট্টগ্রামের মৌলভীপাড়ার লাল হাজী বিল্ডিং-এ ২য় তলায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
জানা গেছে, ১৪ মে শান্তা ডবলমুরিং মডেল থানাধীন আগ্রাবাদে অবস্থিত উপ-পুলিশ কমিশনার-ট্রাফিক (পশ্চিম) এর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নিজেকে পুলিশের নারী কনস্টেবল পরিচয়ে দিয়ে তার চাচা মোঃ মনির মিয়া (৫১) এর আটক করা ভ্যানগাড়ি ছাড়ানোর অনুরোধ শেষে বের হওয়ার সময় পুলিশি নিয়মে স্যালুট না দেয়ায় তাকে সন্দেহ হয়। সন্দেহের প্রেক্ষিতে নারী পুলিশ পরিচয়দানকারী শাহনাজ আক্তার শান্তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে স্বীকার করে সে নারী পুলিশ সদস্য নয়।
সংবাদ পেয়ে ডবলমুরিং মডেল থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান পুলিশ পরিচয় দেয়া শাহনাজ আক্তার শান্তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) দিক-নির্দেশনা মতো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে তার কাছে নারী পুলিশের ইউনিফর্ম আছে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মৌলভীপাড়াসহ তার ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের ইউনিফর্মের ২ টি শার্ট, ১ টি প্যান্ট, পুলিশের বেল্ট ও ক্যাপ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত ইউনিফর্মের শার্টের মধ্যে একটিতে ডিএমপির মনোগ্রাম অন্যটিতে সিএমপির মনোগ্রাম আছে। চাচা পরিচয়দানকারী ভ্যানগাড়ি মালিক মনির মিয়া পুলিশ পরিচয়দানকারী শাহনাজ আক্তারের চাচা নন। তারা পরস্পর যোগসাজশে পুলিশের পরিচয় ব্যবহার করে পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করার অপরাধে শান্তা ও মনির মিয়ার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। ডবলমুরিং থানার ওসি পূর্ব বাংলা পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।