আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক এবং অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেছেন, আমি বার বার এই রায়পুরে আসব। ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে এ অঞ্চলের অনেককে আমরা হারিয়েছি। স্বজনহারা অনেকেই এখানে আছেন। তাদের মনে এখনও স্বজন হারার কষ্ট বিদ্যমান। আমরা তাদের প্রতি সমবেদনা জানাতে উপকূলে এসেছি।
২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেলে আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, উপকূলীয় জনসাধারণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপকুলীয় বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বেড়িবাঁধের বিষয়টি আমি দেখব। আমরা কেউ চাই না, আনোয়ারার কোন অংশ প্লাবিত হয়ে জানমালের ক্ষতি হোক। আর যেন কোন মায়ের বুুক খালি না হয়।
তিরি আরও বলেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। সে সময় ঘূর্ণিঝড়ের আগাম কোন পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই।’ ধিক্কার জানাই এমন নেতৃত্বকে। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন। এরপরও তিনি উপকূলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, খোঁজ-খবর নিয়েছিলেন। নিজের হাতে রুটি এবং স্যালাইন বানিয়ে বন্যার্তদের দিয়েছেন।
বর্তমান সময়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বর্তমান সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় মুজিব কিল্লা, সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করেছে। দুর্যেগের পূর্বাভাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করেছেন।
ম ফরিদুল কবীর এই সভায় সভাপতিত্ব করেন । স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, সদস্য ডা. নাসির উদ্দীন মাহমুদ, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মুজাম্মেল হক, শিকলবাহা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্ম্দ আলী ।
বক্তব্য রাখেন ইলিয়াস বাঙালি, আব্দুল জব্বার তালুকদার, সাংবাদিক আলী হোসেন, এটিএম সেলিমুর রহমান, আবু তৈয়ব রাসেল, সিরাজুল মোস্তফা, আব্দুল্লাহ আল হারুন, মো. রফিক, মো. হারুন, আমানুল্লাহ, নুরজ্জামান, মো. রফিক, নুরুল ইসলাম মনু, মো. আবছার, মো. খোকন, আজম খান, টিপু তাজ মনির, মিজানুর রহমান, জাহেদু ইসলাম জাহেদ, রিদুওয়ানুল ইসলাম প্রমুখ।
এই সময় আবুল মনসুর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ, আবুল বশর, নাজিম উদ্দিন সুজন, আজিজ মেম্বার, ওহিদুল আলম, কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক উপ কমিটির সদস্য মোঃ আলী তালুকদার, কেন্দ্রীয় ওলামা লীগের সহ সভাপতি মোহাম্ম্দ ইদ্রিস, কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ হাবিবুল্লাহ, হাইলধর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ, লোকমান কন্ট্রাক্টর , শফিকুল কালাম , মিশন কলি, মন্ত্রীর এপিএস খোরশেদ আলম ইমতিয়াজ ও নাজিম উদ্দিন ছোটন , এডভোকেট সামসুল আলম, আমিনুল হক, তৌহিদ মেম্বার,