শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন, নৈতিকতা ও সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষা যেনও আমরা মানুষের মধ্যে দেই। বাংলাদেশে অনেক সমস্যা, অনেক বৈষম্য, অনেক চ্যালেঞ্জ এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই। এই সত্যিকারের দ্বীনিই শিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইসলামিক আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আমাদের যারা আলেম-ওলামা আছেন তাদের প্রতি সব সময় অনুরোধ করেন গবেষণা করতে। গবেষণার করে আমাদের দ্বীনি ব্যবস্থায় এজমা, কিয়াস করে, বাহাস করে আমরা যাতে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেই লক্ষে কাজ করবে সরকার। এই লক্ষ্যে সরকার জামিয়া ( আলিয়া) মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। শিক্ষামন্ত্রী রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এর কনফারেন্স রুমে দেশের সর্ববৃহৎ ফাযিল/কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষগনের সংঙ্গে মতবিনিময় সভা এই কথা বলেন। মতবিনিময় শেষে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন এখনো আমরা অনেক বেশি অর্থডক্স এবং অপ্রচলিত বা কনভেনশনাল জায়গায় আছি। পৃথিবীর অনেক দেশ আমাদের ধর্মতত্ত্ব, ইসলামি দ্বীনি জ্ঞান অনেক বেশি এগিয়ে নিয়েছেন। সেটা মানুষের অধিকার হোক, জাকাত বা ট্যাক্স কীভাবে দেবে সে ব্যাপারে হোক, এই বিষয়গুলিতে আরো গবেষনা হওয়া দরকার। জ্ঞানী লোকরা নানান ধরনের গবেষণালব্ধ ফতোয়া দিয়েছেন। যেনোতেনো ভাবে নয়। এই গবেষণার জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি। সে জায়গাতে যারা অধ্যক্ষ রয়েছেন তাদের আরো মনোযোগী হতে হবে। যারা সমাজে খতিব হবেন, যারা ইমামতি করবেন তারা সমাজের নেতা। তারা শুধু ধর্মীয় নেতা নন, সমাজেরও নেতা। তারা সেই সমাজে প্রভাব বিস্তার করেন। তাদের মাধ্যমে আমরা নানান বিষয় সাধারণ জনগণকে শেখাতে পারি। সেটা সাম্প্রদায়িক সম্পৃীতির কথা বলি, দক্ষতানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলি। নিষ্ঠাবান হওয়ার কথা বলি। একটি সময় ছিলো মসিজিদ ভিত্তিক শিক্ষা দেয়া হতো। কিন্তু আমরা সে পথে হাঁটতে পারিনি। বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, ইমাম সবাই সম্মিলিত উদ্যোগে একসঙ্গে যাতে কাজ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন মাদ্রাসার উন্নয়নে সরকার বড় বড় প্রকল্প নিচ্ছে, বিল্ডিং হচ্ছে। সারাদেশ থেকে আগত শতাধীক আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষবৃন্দ মাদ্রাসার উন্নয়নের শিক্ষক এবং শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন দাবীনামা শাহজাদা অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দীনের নেতৃত্বে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের হাতে প্রদান করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন।
আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুর রশিদ, অধ্যক্ষ হাসান মাসুদ, অধ্যক্ষ রেজাউল করিম, অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ মির্দা, অধ্যক্ষ হোসেন আহমদ ভ‚ইয়া, অধ্যক্ষ হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী, অধ্যক্ষ রফিক উদ্দীন সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ আবু ছালেহ, অধ্যক্ষ ইসমাইল নোমানী, অধ্যক্ষ ত্বোয়াহা মুহাম্মদ মুদ্দাছীর প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুর রশিদ।