বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীর কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন এর বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহন এর মাধ্যমে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভুগী খালেদা বেগম বাদী হয়ে কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখিত অভিয়োগ দায়ের করেছেন।
সরেজমিন এলাকা সূত্রে ও অভিযোগে জানা গেছে, তালতলীর শারিকখালী ইউনিয়নের ১কচুপাত্রা গ্রামের মোসাঃ খালেদা(৪৭) গত ১৮-০৯-২০২৩ ইং তারিখ মোকাম বিজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আঃ ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে এমপি ১৯৯/২৩ নং মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত আবেদনে বর্নিত তফসিল ভ‚ক্ত চৌহদ্দীর নালিশী ভুমি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সহকারী কমিশনার(ভুমি),তালতলী ও আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অফিসার ইনচার্জ ,তালতলী থানা কে নির্দেশ দেন। তালতলী থানার এস আই সিরাজুল ইসলাম(নিরস্ত্র) পক্ষকে তফসিল বর্নিত সম্পত্তিতে বিজ্ঞ আদালত কতৃক বিরোধ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিরোধীয় জমিতে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ জারি করেন। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আমতলী, বরগুনা এর ১৮.০৯.২০২৩ তারিখের উনিম্যাআ/আম/২৩নং স্বারকের এমপি ১৯৯/২০২৩ নং মোকদ্দমার নির্দেশ মোতাবেক সহকারী কমিশনার(ভুমি),তালতলী উপজেলা ভ‚মি অফিস তালতলী, বরগুনা এর ২৫/০৯/২০২৩ইং তারিখের স্বারক নং-৪০০ এর নির্দেশে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন ভ‚মি উপ-সহকারী কর্মকর্তা এমপি ১৯৯/২০২৩নং মোকাদ্দমার বাদী ও বিবাদী পক্ষদ্বায়কে ০১/১০/২০২৩ইং তারিখ ১৮৯ নং স্বারক্ষে নোটিশ প্রদান করে ০৩/১০/২৩ তারিখ সকাল ১০টায় বিরোধীয় জমিতে উপস্থিত হয়ে আমি বাদীর মৌখিক বক্তব্য শ্রবন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গ্রহন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি ও স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে আমি বাদীর অভিযোগ এর প্রাপ্ত ৪৫ শতাংশ জমির সততা সরেজমিনে প্রমান পায়। কিন্তু সু-চতুর অসাধু এই তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার বিবাদী খলিল মৃধা(০১৭৩৩১৩৫৬৩৩) এর নিকট থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে সরেজমিনে প্রমান পাওয়া সঠিক তদন্ত রিপোর্ট না দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার(ভুমি)তালতলী বরাবরে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন।
দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার(ভুমি)তালতলী ০১/১১/২০২৩ ইং তারিখে ৩১.১০.০৪৯০.১০.১৪.১৬.২৩-৩৫৯নং স্বারকে বিজ্ঞ বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আমতলী, বরগুনা বরাবরে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উক্ত আপত্তিকর তদন্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করায় আমার গুরুতর ক্ষতির সম্ভবনা থাকায় উক্ত আপত্তিকর প্রতিবেদনের মিথ্যা তথ্য বাতিল করে পুনঃরায় নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা সহ সরেজমিনে তদন্তকারী তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনয়িন ভ‚মি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন এর জন্য উর্ধতন কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেন। অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিসহ উপস্থিত সকলে উক্ত প্রতিবেদনের মিথ্যা তথ্য বাতিল করে পুনঃরায় নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা সহ সরেজমিনে তদন্তকারী তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনয়িন ভ‚মি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন এর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে রুহুল আমিনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি রাতে কথা হবে বলে এড়িয়ে যান। রাতে আর তিনি ফোন রিসিভ করেননি ।