এম. আলী হোসেন
২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংশয়, উদ্বেগ, ভয় ও আতংক বিরাজ করছে। কেউই সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না। দেশজুড়ে গুজবের ফানুষ উড়ছে ।দেশের বুদ্ধিজীবি , রাজনৈতিক বিশ্লেষক , সচেতন জনগণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বলছেন নানা কথা । সংবিধান মতো ভোট হোক বিএনপি তা চাচ্ছে না তারা ‘সংবিধান’ মতো ভোট হলে দিনের ভোট রাতেই হয় এই অভিযোগ তুলছে আর ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ চাই না আওয়ামী লীগ । আওয়ামী লীগ বলছে তত্ত্ববধায়ক সরকার একটি অবৈধ সরকার ।কেউ কাউকে মানছে না। তাহলে হবে টা কী দেশে কি অন্য শাসন আসছে ?
দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিজ নিজ অবস্হানে অনঢ় রয়েছেন ।আপাত দৃষ্টিতে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা সাবেক ক্ষমতাসীন দল জাতীয় পার্টি কোন দলের কোলে বসবে তা বুঝা যাচ্ছে না। তবে নিশ্চিত সুযোগ খুঁজছে দলটি।অন্য ছোট ছোট দলগুলো দুই বড় দলের আশ্রয়ে বিভক্ত অবস্হায় ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো হুমকার দিচ্ছে। ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন ব্যবসা – বাণিজ্য নিয়ে ভাবছে বলে মনে হয় না। সব কিছুইতেই একটি কথা নির্বাচনে পরে ভাবব এখন নয় ।দুই বড় দলের রাজনৈতিক ‘ইগো’ এখন গোটা দেশ অস্হির ও অনিশ্চিত ভবিষ্যত পথে এগুচ্ছে ।
আগে বিএনপি সব বিষয়ে নালিশ করত দেশী বিদেশী শক্তির কাছে । সরকারের প্রতি বিএনপির এন্তার অভিযোগ ছিল সবসময় ।সেই কারণে নালিশ পার্টিতে বিএনপি খ্যাতি লাভ করেছিল । এখন আওয়ামী লীগও বিদেশীদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করতে দেখা যাচ্ছে। সব বিষয়ে বিদেশীরা এখন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নাক গলাচ্ছে ।রহস্য এখানে জটলা পাকাচ্ছে এই দশা কেন ? পরে বড় দুই দল চাইলেও বিদেশীদের নাক গলা বন্ধ করতে পারতো ? বিষয়টি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাদের ভাবা দরকার । কিন্তু অতি দরকারী এই বিষয়টি কেউই ভাবছে বলে মনে হচ্ছে না। বিষয়টি নিরব অথচ সচেতন দেশ প্রেমিক চিন্তাশীলদের ভাবিয়ে তুলছে। চিন্তাশীলদের আত্মনাদ কে শুনবে?
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উদ্বেগ হতাশা আশংঙ্কা বেড়ে চলছে । এরই মধ্যে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কতিপয় ব্যাক্তিদের । তন্মধ্যে সরকার ও বিরোধী দল এমন কি গণমাধ্যম ব্যাক্তিরা আছেন।কখন এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে তাও কেউ জানে না।আমেরিকা, ভারত, চীন ও রাশিয়ার দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে।দুনিয়ার কোথাও নেই এমন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন পাকিস্তানে রয়েছে।বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি কৌশলগত কারণে পাকিস্তানের নাম উচ্চারণও করতে পারছে না। কারণ পাকিস্তানীরা বাংলাদেশ স্বাধীন হোক তা চাইনি।
দেশের এই চরম মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যদি রাজনৈতিক সমঝোতায় না আসে তবে হবে টা কী ? ছোট ছোট কয়েকটি দল জাতীয় সরকারের কথা বলছেন। সেই জাতীয় সরকারের কারা থাকবেন, মেয়াদ কতদিন , মুল কাজ কী এসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারনাও নেই সকল মহলের। সব মিলিয়ে মেয়াদ শেষে ভোট হবে নাকি পিছিয়ে যাবে নাকি অন্য কোন অজানা শাসন আসবে তা এখনো কেউ বলতে পারছে না।