শাহীন আহমেদ ও সাইফুল আজম
কে এই চাঁদাবাজ পুলিশের সোর্স ফরিদ ? তার বিরদ্ধে এন্তার অভিযোগ রয়েছে বায়েজিদ থানার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের । শান্তিতে নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। লাভ লোকশান যা হোক ফরিদকে দোকান খুললেই চাঁদা দিতেই হয়, না দিলে হয়রানী।এ ছাড়া গোটা বায়েজিদ এলাকা জুড়ে অপরাধীদের আশ্রয় দিয়ে আইন শৃংখলার অবনতি ও সমাাজে অশান্তি সৃষ্টি করে চললেও সেই ওসির নামেই চালাচ্ছে এসব অপকর্ম।সোর্স ফরিদ এখন সাধারণ মানুষের কাছে এক মহা আতংকের নাম।
জানা গেছে,সাধারণত অপরাধী শনাক্ত ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজে সোর্সদের সহযোগিতা নিয়ে থাকে পুলিশ। তবে বেশ কিছু ঘটনায় পেশাগত কাজের বাইরে সোর্সদের সহযোগিতায় ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করছে অনেকে। এমন অভিযোগ এনেছে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার সোর্স ফরিদের বিরুদ্ধেও।
বিভিন্ন সময় পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ইভটিজিং ভিকটিমকে হয়রানি, হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপকর্মের ঘটনা ঘটে এর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেতৃত্বে থাকে সোর্স আর দূনীতিবাজ পুলিশ।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার আশে পাশের দোকানদার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগ করে বলেন, আমরা দোকান খুললেই ফরিদ নামের এক লোক ওসি সাহেবের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে আপত্তি করলে নানা ধরনের হুমকি ধমকি আমাদেরকে দিয়ে থাকে। দোকানদারেরা আরো বলেন, দোকান খুললে প্রতিদিন টাকা দিতেই হবে এবং সেখানে থাকা আশে পাশের জনগণও এই রকম
অভিযোগ তুলেছেন। সাধারণ জনগণের প্রশ্ন কে এই ফরিদ ? আমরা তার হুমকি-ধমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। পরিচয় একটাই ওসি সাহেব পাঠিয়েছে এমনটাই অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ।
এদিকে সাপ্তাহিক পূর্ব বাংলা এসব বিষয়ে অনুসন্ধানে গেলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।বায়েজিদ থানার স্টারশিপ নামের গলির ক্ষুদ্র দোকানদার এবং হোটেল মালিকদের দোকান খুলতে দিচ্ছে না ফরিদ নামের এই চাঁদাবাজ সোর্স। হোটেল মালিকদের অভিযোগ প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে আর না হয় গাড়িতে উঠিয় নিয়ে যাব।
এই বিষয়ে সোর্স ফরিদকে ফোন দিলে পরিচয় পেয়ে সে লাইন কেটে দেয় তারপর থেকে তার মোবাইল ফোন এই রিপোর্ট লেখাকালীন সময়ে পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি প্রিটন সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি পুরো ঘটনা অস্বীকার করেন এবং বলেন আমি ফরিদ নামের কাউকে চিনি না। কে সেই ফরিদ আমি জানি না।আপনি যদি পারেন তবে তাকে ধরিয়ে দিন আমি গ্রেপ্তার করব।
এদিকে আমাদের অনুসন্ধান দেখা গেছে, শামসুর পলিথিন ফ্যাক্টরী, মফজল ও হারুনের জুয়ার আসর, ‘ল’ আধ্যক্ষরের এক নেতার অপরাধ সাম্রাজ্য, রোহিঙ্গা কামাল ও কালু ডাকাত, পাহাড়ে আশ্রিত এক ঝাঁক রোহিঙ্গা যারা ইয়াবা ও মাদক ব্যবসা করে এমন ব্যাক্তি, ওয়ারেন্ট প্রাপ্ত আসামী, ভাড়া বাসায় পতিতা ব্যবসা করে এসব লোক, ভেজাল ঘি কারখানা, কাঠের গাড়ী, মদ ও গাজার আখড়া থেকে কারও কারও কাছ থেকে দৈনিক, আবার কারও কারও কাছ থেকে সাপ্তাহিক ও মাসিক চাঁদা নিয়ে থাকে এই সোর্স ফরিদ।
সোর্স ফরিদের একটি চাঁদা আদায়ের তালিকা পাওয়া গেছে।ওই তালিকা আমাদের অনুসন্ধানে সত্যতা মিললে তা পাঠক সমীপে সম্প্রচার করা হবে।