ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের পরে ধোলাইখালের পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে। সড়ক ছেড়ে গেছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। সেখানে অবস্থান করছে পুলিশ। শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধোলাইখাল এলাকায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ধোলাইখালের এই সংঘর্ষে পুলিশের শটগানের গুলিতে ছাত্রদল ও যুবদলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঢামেক কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, ধোলাইখাল থেকে ৬ জন ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিতে এসেছে। তাদের সবার শরীরে পুলিশের শটগানের গুলি রয়েছে।
আহতদের মধ্যে মহিউদ্দিন রুবেল (৩০) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি, জাকিরুল আলম (৩০) কলাবাগান থানা ছাত্রদলের সভাপতি, এনামুল হক (৩০) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নাট্য বিষয়ক সম্পাদক, মেহেদী হাসান আবির (২৯) কবি নজরুল ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল আজিজ (২৮) পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও ওবায়দুল হক (৪০) যুবদলের কর্মী।
অপরদিকে, একই সংঘর্ষে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলায় সুত্রাপুর থানার এসআই নাহিদ আহত হয়েছেন। হামলায় মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন তিনি। এসআই নাহিদকে বেধড়ক পেটাতে দেখা যায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের।
জানা গেছে, বিএনপির এই কর্মসূচি পালনের কথা ছিল নয়াবাজারে। সেখানে আজ সকাল সাতটা থেকে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যও সেখানে মোতায়েন করা হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা নয়াবাজার থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ধোলাইখাল এলাকায় অবস্থান নেন। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশকে একের পর এক কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে দেখা যায়। উত্তেজিত নেতা-কর্মীদের ইট-পাটকেল ছোড়ে। এ সময় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করতে দেখা গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় আটক করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।