1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:২০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপির নেতৃত্বে নতুন কর্মসূচি আসছে : অলি আনোয়ারা সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ, জিম্মি দুইশত পরিবার সীতাকুণ্ডে কুমিরা ঘাট দিয়ে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা, খবর পেয়েও আটক করেনি নৌ পুলিশ ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো বায়েজিদে টোকেন বাণিজ্য নিষিদ্ধ অটোরিক্সা অবাধেই চলছে ট্রাফিক পুলিশ চাঁদা পেয়েই নিরব ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য ডবলমুরিং- এ ভুয়া নারী পুলিশ কনস্টেবল আটক বিএসসি মর্যাদা পাওয়া নিয়ে আইইবি’ বিরুপ প্রতিক্রিয়া অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য – আইডিইবি সীতাকুণ্ডে অবৈধ বালু উত্তোলন দিয়ে কে আর অক্সিজেন পুরাতন কুমারী খাল ভরাট করছে একজন মন্ত্রী সমর্থিত আরেকজন এমপি সমর্থিত আর আমি হচ্ছি সাধারণ জনগণ সমর্থিত- তৌহিদ 

বর্ষার কদমফুলে অপরূপ সীতাকুণ্ডের গ্রাম-বাংলার প্রকৃতি

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন

সীতাকুণ্ডে আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি ভেজা গাছে গাছে ঝুলছে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে হলুদ-সাদা রঙের কদমফুল। আদিকাল থেকে বর্ষার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে যাওয়া নান্দনিক কদমফুল আজ ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার সবর্ত্র কদমফুল দেখা গেলেও এর আদি নিবাস চীন, মালয় ও ভারতের উষ্ণাঞ্চলে। সেখানে কদম নীপ নামেও পরিচিত। বৃত্তপুস্প, মেঘাগমপ্রিয়, কর্ণপূরক, মঞ্জুকেশিনী, পুলকি, সর্ষপ, ললনাপ্রিয়, সুরভি ইত্যাদি মনোহর আরো কতো নাম রয়েছে কদমের। ছোট্ট বলের মতো দেখতে এ ফুলের ভেতরে রয়েছে মাংসল পুষ্পাধার, যাতে হলুদ রঙের পাঁপড়িগুলো আটকে থাকে। পাঁপড়ির মাথায় থাকে সাদা রঙের পরাগ। হলুদ-সাদা রঙের কদমফুল গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে হাসতে থাকে প্রকৃতির মাঝে। ফুলে ভরা কদমগাছ দেখতে নান্দনিক হলেও এর আর্থিক মূল্য খুবই স্বল্প। কদম কাঠ নরম বলে আসবাবপত্র তৈরিতে অনুপযোগী। তবে কাঠ দিয়ে বাক্সপেটরা, দিয়াশলাই ও কাগজ তৈরি হয়ে থাকে। শুধু সৌন্দর্য আর মাধুর্যে নয়, ভেষজগুণের পাশাপাশি কদমে রয়েছে আরো বিশেষ গুরুত্ব। কদমের ছাল, পাতা কিংবা ফুলের রস পিপাসা নিবারণের পাশাপাশি কৃমি ও জ্বরনাশক এবং বলকারক হলেও গ্রাম বাংলায় সেই কদমের ঘ্রাণ এখন অনেকটাই অতীত। আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টিতে দক্ষিণা হালকা বাতাসে হলুদ-সাদা ফুলে দোল খাওয়া কদমের নেই আগের মতো জৌলুস। দূর থেকেও দৃষ্টিনন্দন গাছে গাছে সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে যেন বেরিয়েছে হলুদ-সাদা ফুলের ঝর্ণা। প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ধণ ছাড়াও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এ বৃক্ষের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।

পৌরসদরস্থ  দলিল লেখক মোঃ শাহ আরমান, সীতাকুণ্ড ফুটবল একাদশের প্রশিক্ষক, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মোঃ নুরুচ্ছাফা ও সীতাকুণ্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দিদারুল আলম জানান, গাছ মানবদেহের অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত ও বায়ু দূষণমুক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এক সময় পৌরসদর, কেদারখীল ও বহরপুর সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে বাড়ীর সামনে, রাস্তার পাশে, পুকুর ও খালের পাড় কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য নান্দনিক কদম গাছ দেখা গেলেও বর্তমানে তা শুধুই স্মৃতি আর স্মৃতি। উপজেলার ছোট দারোগারহাট তাহের-মন্জুর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ডিভাইডারে ঝুলছে মনোরম সাদা-হলুদ রঙ্গের কদমফুল। চট্টগ্রাম শহরে আসার পথে গাড়ীতে বসাবস্থায় মহাসড়ক ডিভাইডারে নান্দনিক কদম ফুলের দৃশ্যে মনটা ভরে যায়। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বিলুপ্ত হওয়া কদম গাছ সংরক্ষণ ও বনায়নে রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। কদম গাছের পাতা, ফুল ও ফল যেমন সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক তেমনি আমাদের চারপাশকে কদম গাছের সবুজ পাতা ও ফুল সৌন্দর্যবর্ধন করে। বর্তমানে বৃক্ষ রোপনের তালিকায় নান্দনিক কদম গাছ নেই, তবে নিয়মিত কর্তন হচ্ছে।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla