ক্রেতারা ঠকছে, ন্যায্যমূল্য দিয়েও প্রতারণার শিকার হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাসের ক্রেতারা। ভেজাল ও চোরাই তেল চুরি ও অবৈধভাবে বিক্রির মহোৎসব চলছে এখানে। বাকলিয়া থানার কর্ণফুলী ব্রীজের উত্তরে রাজাখালীর দক্ষিণে রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে এই দুই নম্বরী গ্যাস ও তেলের অবৈধ কর্ম চলছে দেদারসে। পার্শ্বে রয়েছে একটি বরফ মিল।
জানা গেছে, বিভিন্ন জাহাজ ও বাস, ট্রাকের ড্রাইভারগণ অধিক লোভে পড়ে অধিক আয়ের আশায় গাড়ির জ্বালানী তেল ডিজিল ও অকটেন চুরি করে প্রতিদিন। এসব চোরাই তেল কিনে নেয় জনৈক মানিক। এই মানিক নগর ও জেলার হাজার খানেক চোরের সাথে সম্পর্ক করে এই চুরি করা তেলের ব্যবসা করে থাকে। গাড়ির ও জাহাজের তেল কেনার পর সে আরেকবার অকটেনের সাথে ডিজেল ও কেরোসিন মিশ্রিত করে ভেজাল করে থাকে। ফলে কিনতে একবার লাভ করে আবার বেঁচতেও একবার। এভাবে চোরদের উৎসাহ জুগিয়ে সে অধিকাংশ গাড়ি চালকদের এই কুপথে নিয়ে আসে। ফলে গাড়ি মালিকগণ তেল চুরির ক্ষতি ও গাড়ির আয়ুকাল কমে যাবার কুফল দুইদিকে লোকসান দিতে হচ্ছে।
এদিকে তার তেলের রমরমা ব্যবসা এখানে গেলেই দেখতে পাওয়া যাবে। দিন-দুপুরে প্রকাশ্য সে এই চোরাই ব্যবসা করে অবৈধ টাকা-কামিয়ে পরিবেশ বিষিয়ে তুলছে। এই ব্যবসা পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিসসহ তাদের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই।
চোরাই তেলের ব্যবসায়ী মানিক এই সম্পর্কে বলে বেড়াই সে সকলকে ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। স্থানীয় লোকেরাও এই ম্যানেজের কারণে ডরে-ভয়ে কিছুই বলে না।স্হানীয় লোকেরা যে কোন মূহুর্তে অগ্নি কার্ড ঘটতে পারে বলে আশংঙ্কা করে আসছে।
জানা গেছে, মানিকের পার্টনার পরিচয়ে জনৈক মোজাম্মেল গ্যাস চুরির কাজ করে থাকে। প্রতিটি সিলিন্ডার বোতল থেকে কৌশলে ১ থেকে ২ কেজি গ্যাস চুরি করে থাকে সে। ফলে গ্যাস ব্যবহারীরা ন্যায্যমূল্য দিয়েও পর্যান্ত গ্যাস পায় না। সে প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল থেকে গ্যাস বের করে অন্য বোতলে ভরে বিক্রি করে থাকে। মানিক ও মোজাম্মেলের তেল ও গ্যাসের নগর জুড়ে একটি বিশাল সিন্ডিকেট রয়েছে।এ ছাড়াও আলাউদ্দিন, মুহামদুল হক ও আনোয়ার কর্ণফুলী ব্লীজ এলাকায় কম দামে চোরাই কিনে ভেজাল করে বেশী দামে বেচেঁ বলে জানা গেছে।
টেলিফোনে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মানিক বলে আপনি আমাদের দোকানে আসেন। আমরা পুলিশ, ডিবি, কমিশনার ও স্থানীয় সকলকে ম্যানেজ করে এই ব্যবসা করে থাকি। মোজাম্মেল নিজের নাম গোপন করে আরিফ নাম পরিচয় দিয়ে বলে মানিকের পার্টনার সে। মানিকের তেল ও গ্যাসের বিষয়ে সে সব জানে। ‘বিজয় টিভি’সহ সকলকেই আমাদের সাথে যোগাযোগ করে থাকে।বিষয়টি ডাহা মিথ্যা বলে আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে ।
আমাদের সকল কাগজপত্র আছে, আনোয়ারার এক সাবেক চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে বলেন তিনি আমার মামা।তার বাড়ী পটিয়া বলে জানায়। পুলিশ, ডিবি, ফায়ার সার্ভিস, কমিশনার সবাই তার লোক বলে দাবী করে।অন্য একটি সুত্র বলেছে , সে আসলে সবার নাম বিক্রি করে চলে ।