দেওয়ালের সাথে লাগানো কংক্রিট সরানোকে কেন্দ্র করে প্রদীপ ধর (৫৫) এবং বিজয় ধর (২২) কে কুপিয়েছে তার আপন ছোট ভাইসহ দলবদ্ধ সন্ত্রাসীরা। এ সময় দলবদ্ধ সন্ত্রাসীরা প্রদীপ ধরের ঘরে ঢুকে বৈদ্যুতিক মিটার ভেঙে মেইন সুইচ বন্ধ করে ঘরে রক্ষিত স্বর্ণ ও অর্থ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় মামলা হবার পর ফের হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান আহত জুয়েলারি ব্যবসায়ী প্রদীপ ধর।
গত ২৪ মে (বুধবার) উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের পূর্ব কন্যারা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, হামলায় আহত হওয়ার পর চিকিৎসা নিতে চাইলেও প্রদীপ ধর এবং বিজয় ধর সন্ত্রাসীদের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। আহতেরা মামলা করতে চাইলেও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে বাড়ীতে আসতে না পারায় পরবর্তীতে গত ২৮ মে (শনিবার) চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চট্টগ্রামের আদালতে প্রদীপ ধর (৫৫) বাদী হয়ে আপন ছোট ভাইকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলার পর গত পহেলা জুন (বৃহস্পতিবার) পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ নোয়াহাট থেকে আটক হয় মামলার প্রধান আসামী ছোট ভাই প্রবীর ধর (৪৪) কে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মে উপজেলার সদর ইউনিয়নে ভিপি জুয়েলাসের মালিক ব্যবসায়ী প্রদীপ ধর (৫৫) ও তার ছেলে বিজয় ধর (২২)কে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় ব্যবসায়ীর আপন ছোট ভাই প্রবীর ধর (৪৪) ও ভাইয়ের বউ রীমা ধর (৩৭)সহ ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা।
দেওয়ালের সাথে লাগানো কংক্রিট সরানোকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় আপন ভাইয়ের দায়ের কুপে গুরুতর আহত হয় এই ব্যবসায়ী ও তার ছেলে ।
এদিকে এই জুয়েলারি ব্যবসায়ী দাবি করে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আমাকে হত্যার জন্য আমার ছোট ভাই ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে চেষ্টা করে আসছে। সেদিন পূর্ব পরিকল্পতিভাবে দেওয়ালের সাথে লাগানো কংক্রিট সরানোকে কেন্দ্র করে সদলবলে আমার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় তারা। এমন কি মামলা করতে গেলে আবারো হামলার চেষ্টা করে। পরে আমি বাধ্য হয়ে আনোয়ারা থেকে পালিয়ে গিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। মামলা দায়ের করার পর মামলা তুলে নিতে তারা আমাকে ফের জানে মারার হুমকি দেয়। এই মহুর্তে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এবিষয়ে বিবাদী প্রবীর ধরের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও বাদীর পরিবারের নাম্বারটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান জানান, কিছুদিন আগে কোর্টের নির্দেশে পটিয়া থানা পুলিশ মামলাটির প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে আনোয়ারা থানায় হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে আমরা তাকে আদালতে প্রেরণ করি।