আনোয়ারা প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক মাদক বিক্রেতাকে ধরে ছেড়ে দিয়েছেন বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম নবী হেসেন (৩৫)। বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ মুহাম্মদপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায়।সে স্হানীয় মৃত কালু মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।
চলতি মাসের ১২ তারিখ রাত আনুমানিক ১২টার দিকে পুলিশ এই অভিযান চালায়। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, নবী শুধু মাদক বিক্রেতা মামলাবাজ হিসেবে নহে ঝানু একজন প্রতারকও । তাকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় নানা গুঞ্জনও শুরু হয়েছে এলাকায়। জেলা পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবীও জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, আনোয়ারা থানার রাঙ্গাদিয়া ফাঁড়ির পুলিশ গোপন সুত্রে জানতে পারে, বিপুল পরিমান মাদক আছে মুহাম্মদপুর গ্রামে। এই সংবাদের সুত্র ধরে চলতি মাসের ১২ তারিখ রাতে সাঁড়াশি অভিযান চালায় মুহাম্মদপুর গ্রামের নবীর বাড়িতে।ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে ৮জনের একদল পুলিশ নিয়ে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে কৌশলে নবী তার ছোট ভাই দেলোয়ারের বসতঘরে গাঁজা ও ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়। প্রথমবার অভিযান শেষ করে কিছু না পাইয়ে চলে যাওয়ার প্রাক্কালে আবারও দেলোয়ারের ঘরে তল্লাশি চালাতে ফিরে আসে পুলিশ। পুলিশ দ্বিতীয়বার তল্লাশি করে তার ঘর থেকে বেশ কিছু গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার করে।দেলোয়ারকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় লোকজন বাঁধা দিয়ে জানায়, দেলোয়ার মদও খায়না, পান বিড়িও খায়না ও অবৈধ ব্যবসাও করেনা। তিনি একজন দিনমজুর। ওইদিন রাতে গাঁজা ইয়াবাসহ আটক করে অদৃশ্য ইশারায় নবীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। আইনের হাত থেকে রেহাই পেয়ে বর্তমানে বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করছে এই নবী হোসেন ।
এই বিষয়ে রাঙ্গাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সোহরাওয়ার্দী মুঠোফোনে আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, তিনি কোন গাঁজা ইয়াবা উদ্ধার করেননি তবে ঘটনাস্হলে গিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
স্হানীয় ইউপি মেম্বার সাদ্দাম হোসেন এই বিষয়ে বলেন – গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়টি সঠিক । বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর্জা মোহাম্মদ হাসান জানান- তিনি অভিযান, আটক ও উদ্ধার সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
সুত্র জানায়, আনোয়ারার মুহাম্মদপুর গ্রামে উঠতি বয়সের বেশ কয়েক যুবক গাঁজা ইয়াবাসহ নানা কিছিমের মাদক বিক্রি করে আসছে। গাঁজা মদে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ওই গ্রামের নানা বয়সের মানুষ। লিপ্ত হচ্ছে নানা অপরাধেও। কিন্তু অধরা থেকে যাচ্ছে নবীসহ আসল মাদক ব্যবসায়ীরা। এই গ্রাম থেকে বিভিন্ন স্থানে পাচারও হচ্ছে হরেক রকমের মাদক। স্থানীয় সাধারণ মানুষ এসব বিষয়ে ভয় পাচ্ছে মুখ খুলতে। নবীকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওইদিনের ঘটনা মাদক ব্যবসার আসল রহস্য এমনকি তলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে জানায় নির্ভরযোগ্য সুত্র।
মাননীয় জেলা পুলিশ সুপার একটু নজর দিলে ব্যবস্থা নিলে পাকড়াও করলে আনোয়ারার মাদক ব্যবসায়ী সেবনকারীর হাত থেকে রেহাই পাবে ও সাধারন মানুষ সুখে ঘুমোতেও পারবে।