1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান হলেন শিল্পপতি খলিলুর রহমান বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করেছে ২১নং জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের আলম আশিক দেশে ২০ হাজার শিশু ডায়াবেটিসে ভুগছে মনজুর আলম প্রতিষ্ঠিত নতুন ৩ টি জামে মসজিদ জুম্মার নামাজ আদায় এর মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন তরুণ প্রজন্মকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে –  সিমিন হোসেন পতেঙ্গা চরপাড়ায় অবৈধ অনুমোদহীন আইসক্রীম ফ্যাক্টরীঃ প্লাস্টিক ফ্যাক্টরী লোকেরাই আইসক্রীম ফ্যাক্টরীরও কর্মী গনচিনি, চ্যাকারাইন, লোংরা পানি ও বিষক্ত ক্যামিক্যাল ব্যবহার সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখীতে ‘সবুজ চুড়ি আন্দোলনে ২৫শ তালগাছ রোপন সাংবাদিক ওমর ফারুকের ইন্তেকাল ২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর 

আত্মশুদ্ধি মুক্তির সোপান

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ২৯৫ বার পড়া হয়েছে

কায়ছার উদ্দীন আল-মালেকী

তথ্যপ্রযুক্তি ও আধুনিকায়নের যুগে মানুষের চাহিদা ও ভোগদ্রব্য দিনদিন বেড়ে চলছে। উচ্চাভিলাষী জীবনের জন্য দৌড়ঝাঁপের প্রতিযোগিতা চলছে আধুনিক সমাজে। মনের প্রশান্তি বিহীন বাহ্যিক  সৌন্দর্য ও শৈল্পিক জীবন  মরীচিকা মাত্র। পরিশুদ্ধ আত্মা ব্যতিত মানুষের মনে প্রশান্তি নেই। আত্মশুদ্ধি বলতে বুঝায়, পশুত্ব বা হিংস্রপ্রাণীর আত্মা, শয়তানের আত্মা, হিংসা-বিদ্বেষ, ক্রোধ, অহঙ্কার, লোভ-লালসা ইত্যাদী ময়লাযুক্ত কর্মকান্ড থেকে  মানবাত্মা কে তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পরিষ্কার রাখা। বর্তমান সময়ে ভারতীয় যোগীদের এবং খ্রিষ্টানদের আধ্যাত্মিকতা কে ইসলামী আধ্যাত্মিকতায় রূপ দিয়ে পবিত্র ইসলাম ধর্ম কে ধ্বংস করছে এক শ্রেণীর জ্বীন সাধক। যেমন, পীর বা মাজারে শায়িত বুজুর্গ ব্যক্তি কে সেজদা করা, মোমবাতি বা আগরবাতি জ্বালানো যা মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের সাদৃশ্য, সাধুসন্ন্যাসী মেলা নামে সিদ্ধি বা গাঁজার আসর, নর-নারীর অবাধ মেলামেশা, বাদ্যবাজনার সাহায্যে নরনারীর একযোগে অশ্লীল নৃত্য। আত্মিক শুদ্ধ পুরুষগণ সবসময় আল্লাহর হুকুম আহকাম ও সুন্নাতে রাসূল দ. এর প্রতি পূর্ণ আনুগত্যশীল। উচ্চাভিলাষী, আরামপ্রিয় ও ভোগীরা কখনোও পীর-আউলিয়া হয়না বরঞ্চ তাঁরা  পেটুক বা খাদক গোষ্ঠী নামে সমধিক পরিচিত। আল্লাহর ওলিরা কখনোও অখাদ্য তথা অবৈধ পন্থায় অর্জিত টাকা পয়সা গ্রহণ বা ভোগ করেন না। তাঁরা সবসময় সৃষ্টির কল্যাণে কাজ করেন। সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে মানুষের বিপদে আপদে  পাশে থাকেন। তাঁরা জাতিকে আল্লাহর দ্বীনের পথে আহবান করেন। মানুষের অন্তরাত্মা কে সজাগ করে আল্লাহর প্রেম ও জিকির অন্তরে পায়দা করে দেন। আল্লাহর অলিদের ব্যাংক ব্যালেন্স, সঞ্চয় পত্র, নামী দামী গাড়ী ও ফ্ল্যাট বাড়ী কিছুই থাকে না। তাঁরা সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা করে চলেন। তাঁরা এক বেলা খেয়ে অন্য বেলার জন্য জমা রাখেন না। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সিকিউরিটি ফোর্স রাখেন না। তাঁরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন আল্লাহ সর্বোত্তম নিরাপত্তা দানকারী। তাঁরা সবসময় আদর্শিক চরিত্রের অধিকারী হয়ে অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত। তাসাউফ পন্থীগণ, মাহরাম নারীদের  এবং  সুদর্শন ছেলেদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকেন। ইসলামী শাস্ত্রে বলা হয়েছে, যে ছেলের সাথে মুসাফাহা করলে বা দৃষ্টি দিলে কাম বাসনা জাগ্রত হয় সেসমস্ত ছেলেদের সাথে মুসাফাহা করা নাজায়েজ। মহান গুণীজনরা সবসময় আল্লাহর অমিয় বাণী ও রাসূল দ. আসাধারণ জীবনদর্শন ও আদর্শ দিয়ে মানুষকে অন্ধকার ও অসত্যের পথ থেকে সঠিক পথের দিশা  দিয়ে থাকেন। মিথ্যাবাদী, পরনিন্দাকারী, চোবলখোরী, নেশাখোরী, ব্যভিচারী, কৃপণ, অন্যের সম্মান বা চরিত্র হনন কারী ও অন্যের দোষ তালাশকারী নরনারীদের অন্তরাত্মা থেকে অপবিত্র উপাদান গুলো বের করে ক্বলবকে পরিষ্কার করে অন্তরে আল্লাহর নূর  প্রজ্জলন করাই হচ্ছে একজন আল্লাহর অলির মুল কাজ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য দিনদিন উন্নতমানের ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হচ্ছে, ভোগপণ্য উৎপাদনের জন্য শিল্প কারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রচার-প্রসারের জন্য বড়বড় প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে কিন্তু আত্মার পরিশুদ্ধতার জন্য তেমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই। ভোগপণ্য দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অথচ প্রতিদিনরাত সুইসাইড বেড়েই চলছে কারণ মানুষের অন্তরে শান্তি নেই। সেজন সুখী যেজনের অন্তর পরিশুদ্ধ। আল্লাহর  প্রকৃত ওলিদের দরবার বা খানকাই হলো আত্মশুদ্ধির মুল জায়গা। ভন্ড পীরদের কারণেই প্রকৃত পীর-মাশায়েখদের থেকে মানুষ বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। কারণ পীর-আউলিয়া দাবিদারদের সুন্নাতের লেবাসমাত্র নেই, দ্বীন ইসলামের চর্চা নেই,কুরআন-হাদিসের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, আল্লাহর জিকির নেই, শরীয়ত নেই তারপরও একশ্রেণীর গোলাপি ধর্ম ব্যবসায়ী আলেম-ওলামারাই ভন্ডদের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। ধর্ম ব্যবসায়ী আলেম ওলামারাই ধর্মকে কলুষিত ও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত নিয়ে যাচ্ছে। এ সমস্ত ধর্ম ব্যবসায়ী থেকে দ্বীনকে হেফাজত করে সত্যিকারের বুজুর্গ ওলি আউলিয়াদের সংস্পর্শ থেকে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করা নিতান্ত প্রয়োজন। তরিকতের সিলসিলার ধারাবাহিকতা হজরত মুহাম্মদ সা. পর্যন্ত থাকতে হবে অন্যথায় ফয়েজ বা রূহানিয়াত অর্জন করা সম্ভব না। মুরাকাবা মুশাহাদার ধ্যানে রাসূদ দ. এর সাথে স্বাক্ষাৎ করতে পারলে বুঝতে হবে তিনি হক্কানি পীর। আল্লাহর ওলিদের সাথে আল্লাহ এবং রাসূল দ. এর সাথে যোগাযোগ থাকেন। যার কারণে তাঁরা দুনিয়া ভোগী নন। তাঁরা একাকী নির্জনে ধ্যানমগ্ন থাকতে পছন্দ করেন। পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী মানুষ হচ্ছে, আল্লাহর ওলিগণ। কারণ তাঁরা দুনিয়া এবং আখেরাত নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন। তাঁরা দুনিয়ার স্বাদ ও মোহ ত্যাগ করে আল্লাহ ও রাসূল দ. এর প্রেমের সুধা পান করেছেন। প্রকৃত ওলিগণ আল্লাহর রঙ্গে বা গুণে গুণান্বিত তথা আল্লাহর মনোনীত দিন, ফিতরাত ও হিদায়াতের রাস্তা অনুসরণে পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে সফল হয়েছেন। আল্লাহর ওলিদের দেখলে মানুষের অন্তরে হেদায়তের নূর চমকায় এবং দ্বীন-ধর্মের প্রতি বিমোহিত হয়। তাঁরা আল্লাহর আদেশ ও নিষেধের প্রতি পূর্ণ সজাগ দৃষ্টি রাখেন। অল্পতেই পরিতৃপ্ত ও সন্তুষ্ট থাকেন তাঁরা। কিন্তু নামধারী ভন্ডরা মূলত জ্বিনসাধন করে পীর-আউলিয়া বনে যান। যা বাংলাদেশে অহরহ। তাঁদের হাতে বিভিন্ন ধরণের জ্বীনের জাদুর আংটি ও গলায় বা বাহুতে রাজমনি তাবিজ থাকে। তাঁরা মূলত খারাপ জ্বীন ও ভাল জ্বীনের দ্বারা তান্ত্রিক যাদু বিদ্যার সাহায্যে তাঁদের কাজকর্ম সাধন করে থাকেন। তাঁদের পরনের কাপড় এবং খাবারের মেন্যু থাকে আলাদা। তাঁরা হাসপাতালে বা মৃত ব্যক্তির জানাযায় গেলে তাবিজ ও আংটি গুলো খুলে রেখে যান। তান্ত্রিক যাদু বিদ্যায় পারদর্শীরা বৈদ্য বা যাদুকর নামে পরিচিত সূফী নামে নয়। আল্লাহ আমাদের কে গোমরাহি পথ থেকে হেফাজত করুক এবং সত্যিকারে পীর-মাশায়েখ, আলেম-ওলামা ও ওলি-আউলিয়ার পথে ও মতে থাকার তৌফিক দান করুক। আমিন।
শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla