1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই স্মরণ সভায় ওয়াসিকা আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ চট্টগ্রামে কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল সীতাকুণ্ডে বৃষ্টির জন্য ইস্তাহার নামাজ আদায় শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যে ভোটের যুদ্ধ

নগরীতে প্রতিদিন বসছে শতাধিক জুয়ার আসর ! রুখবে কে ?

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

শুধু চট্টগ্রাম নগরীতে শতাধিক জুয়ার আসরে প্রতিদিন ২ কোটির অধিক লেনদেন হয়। যারা রুখবে তারাই গোপনে আশ্রয় দেয় । থানা পুলিশ জানে কিন্ত নিয়মিত মাসোহারা পায়। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তলে তলে ম্যানেজ থাকে। ফলে দিন দিন জুয়ার আসর ভয়াবহভাবে বাড়ছে ।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত হচ্ছে , হচ্ছে আইন শৃংখলার অবনতিও।অন্যদিকে কতিপয় দুষ্টচক্র কালো টাকার মালিক হয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করছে।ক্ষুন্ন হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের ভাবমূর্তিও ।

সুত্রমতে,  সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম নরগীতেও ২০১৯ সালে শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর দেশব্যাপী জুয়া, ক্যাসিনোসহ সব আখড়া বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে শত শত আসর। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে আসর। অধিকাংশ আখড়ায় আবার মিলছে মাদকদ্রব্যও।

বাকলিয়া থানা এলাকায় শাহ আমানত ব্রীজের নিচে দিন দুপুরে বসে বিরাট জুয়ার আসর । শিকলবাহা এলাকার জনৈক মন্টু এটি পরিচালনা করে থাকে।এখানে প্রতিদিন ২-৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়।চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়ী ও থানা পুলিশ নিয়মিত গোপন লেনদেন করে। একই থানায় বকুলীরও একটি আসর চলে।এটি অধিক নিরাপত্তার মধ্যে পরিচালিত হয়। যে কেউ ওই আসরে ঢুকতে পারে না। পুলিশের সোর্স জাহাঙ্গীর নোমান কলেজের পাশে একটি জুয়ার আসর চালায়।বাকলিয়া থানার বড়মিঞা মসজিদ, বগারবিল ও রাজাখালীতেও আসর বসে।

চান্দগাঁও বাহার সিঙ্গেলে জুয়া আসর পরিচালনা করে জামাল ও আরেক জাহাঙ্গীর।

পাঁচলাইশ থানাধীন বাদুরতলা এলাকায় জহির এন্ড ব্রাদার্স এর বিপরীত গলির বাম পাশের সড়কের খালপাড়ে গড়ে উঠেছে বিশাল একটি জুয়া ও মাদকের আখড়া। বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জমজমাট আসর চলছে। এই আখড়ার প্রধান নিয়ন্ত্রক স্থানীয় সন্ত্রাসী নুরুল আলম ওরফে লম্বা আলম, রয়েছে পুলিশ ও ডিবির সোর্স হিসেবে পরিচয় দেওয়া আরাফাত নামে এক পেশাদার অপরাধীও।

চকবাজার থানার ডিসি রোডস্থ শরীফ কলোনিতে বসে জুয়ার আড্ডা ২৪ ঘণ্টা পুরোদমে চলছে। এটি পরিচালনা করছে আব্দুল খালেক ও আব্দুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি ।এখানে পুলিশের গতিবিধি নজরদারির জন্য রাখা হরয়েছে বেতনধারী ১০ জন কর্মচারীও। শরীফ কলোনির পাশেই একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে বর্তমানে চলছে এটি। এই স্পটে রয়েছে মাদকের ব্যবস্থাও। থানার ক্যাশিয়ার পরিচয়ে মোটর বাইক নিয়ে এক ব্যক্তি দৈনিক তিন হাজার টাকা করে মাসোহারা নেয়ার অভিযোগ আছে এখানে। সদরঘাট থানাধীন নালা পাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত চলে আসছে জুয়ার আসর। একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা দখলে নিয়ে বিভিন্ন কক্ষে বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনের সাইনবোর্ড লাগিয়ে জুয়ার আসর বসছে নিয়মিত। এই স্পটে মিলে ইয়াবা, ফেন্সিডিলসহ মাদকদ্রব্য। এটি নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় এক সন্ত্রাসী। এই ভবনে লোকজন আটকে রেখে অর্থ আদায়ের মত গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গতিবিধি নজরদারির জন্য মেইনরোড পর্যন্ত সিসি টিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে চক্রটি। পালানোর জন্য বিশেষ কায়দায় তৈরি করা হয়েছে গোপন পথও।চকবাজার কুজারা পাড়ায় বক্করের আখড়া, গোলপাহাড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেলেও বসে জুয়া।

পতেঙ্গার পাড়া-মহল্লায় ও অলিতে গলিতে প্রকাশ্যে চলছে জুয়ার আসর। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, স্টিলমিল মুন বেকারি গলি,  হাউজিং কলোনি ও কাঠগর মুসলিমাবাদ পুরো এলাকা জুড়ে, খালপাড়, চড়িহালদা, নাজির পাড়া , বিজয় নগরে  চলছে অবাধে এইসব জুয়ার আসর।

কোতোয়ালি থানা এলাকায় সবচেয়ে বড় আসর বসে অভয় মিত্র ঘাট এলাকার মাছের একটি পরিত্যক্ত ভবনে। এটি নিয়ন্ত্রণ করছে আনোয়ার নামে এক পেশাদার অপরাধী। তার সহযোগীদের মধ্যে রয়েছে জাবেদসহ আরো দুইজন। দিনে অন্তত অর্ধকোটি টাকার রেনদেন হয় বলে তথ্য রয়েছে।

এছাড়া, রেলওয়ে জামে মসজিদের পাশে, রেলওয়ে থানার সামনে একটি এবং রিয়াজুদ্দিন বাজার কেন্দ্রিক অসংখ্য জুয়ার আসর বসে রীতিমতো। পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায় রয়েছে বিশাল আসর, হাদু মাঝি পাড়ায় পুলিশের কথিত সোর্স মাছয়ার স্পট চলছে বিগত পনের বছর যাবত।

কোতোয়ালি থানার রিয়াজুদ্দিন বাজার ও স্টেশন রোড কেন্দ্রিক অন্তত ৫টি স্পট চলছে। সদরঘাট থানার সরকারি সিটি কলেজের সামনে একটি, রেল গেইট বালুরঘাট এলাকায় একটি রয়েছে।

হালিশহর ছোটপোল এলাকায় একটি জুয়ার পরিচালিত হয়।এটি স্বেচ্ছাসেবক নেতা জনৈক আলমগীর পরিচালনা করে।বন্দর থানা এলাকায় দিদার ও শাহাবুদ্দিনও এসব অপকর্মে জড়িত রয়েছে।

আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, বন্দর ক্লাব, হালিশহরের একটি ক্লাবসহ প্রায় থানা এলাকায় ফের গড়ে উঠেছে ছোট বড় জুয়ার আসর।

খুলশীর ১৩ নাম্বার ওয়ার্ডের আমবাগান বড় মসজিদ মার্কেট এর পিছনে রেল লাইনের সাথে পারভিনের ভাড়া ঘরে, পূবালী মাঠের আশেপাশে জুয়ার আসর চলে। তুলা গাছতল খ্যাত আমবাগান রেল লাইনে চলে সোনিয়ার মা সিন্ডিকেটের প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসর। ঝীলের পাড় এলাকায়ও চলে কাইয়ুম ইদ্রিসের রমরমা মাদক ব্যবসা।

অধিকাংশ আসর কেন্দ্রিক রয়েছে মাদকের বিস্তারও।  এই বিষযে নগর পুলিশের পিআরও পঙ্কজ দত্ত বলেন জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। পুরিশ যেখানেই খবর পাচ্ছে অভিযান চালিয়ে জুয়াড়িদের জেলে পাঠাচ্ছে।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla