হযরত আলাউদ্দিন (র)-এর মাজার শরীফের দানকৃত টাকার সুষ্ঠ ব্যবহার ও সঠিক হিসাব চান ওয়ারিশদারগণ। ভক্ত কুলের মানত ও দানের টাকা লুটপাঠ হচ্ছে এই অভিযোগ প্রকৃত ওয়ারিশদানের। প্রশাসন ও বিভিন্ন দফতরে এই মাজারের রক্ষণাবেক্ষণ ও দানকৃত টাকার লুটপাঠ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করে আসছে ওয়ারিশগণ।খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের জানা গেছে , আলাউদ্দিন (র.)মাজারের ভুমির এর প্রকৃত ওয়ারিশগণ হলেন – মৃত ইয়াছিন খাঁ-এর তিন পুত্র হাশেম (৬০), কাশেম (৫০), আবুল বশর (৩৭) ও ১ মেয়ে হাছেনা বেগম (৬৫)। তাদেরই মৌরশী খাস দখলীয় সম্প ত্তিতে মসজিদ ও মাজার অবস্থিত। এই মাজারটি পূর্ব বৈরাগ গ্রামের বৈরাগ মৌজার আর এস ৩২২ দাগের ক্রয় সম্পত্তি বিএস ২৪৩ দাগের ভূমিতে রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দেয়া ওয়ারিশগণের অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।গত ২০ বছর যাবৎ মাজার ও মসজিদ কমিটির সিনিয়র সভাপতি আবদুল আলীম তালুকদার ও সদস্য গোলাম মোহা

ম্মদ-এর সহযোগিতায় মাজারের দান বাক্সের টাকা উন্নয়ন কাজে খরচ না করে ও কোন হিসেব না দিয়ে আত্মসাৎ করে আসছে আবদুল আলীম তালুকদার।গত ২২ এপ্রিল ‘২২ দানবাক্স খুলে ১লাখ ৬০০টাকা আত্মসাতের পায়তারা করছে ।তা ছাড়া ১লা নভেম্বর ২২ মঙ্গলবার ২টা ২০মিনিটে অভিযোগ থাকা স্বর্তেও দাানকৃত টাকা সন্ত্রাসী কায়দায় দানকৃত অর্থ আবদুল আলীম তালুকদার তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
বর্তমানে মাজারটি তালা বন্ধ অবস্হায় রেখে মাজার ভক্তদের নিরুসাহিত করে আসছে ওরা । ফলে জেয়ারতে আসা লোকজনের অসুবিধা হচ্ছেে।
এই বিষয়ে ওয়ারিশগণ আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে দায়িত্বরত মাজারের খাদেম আবদুল হালিম প্রকাশ আইয়ুব এর উপর আবদুল হালিম তালুকদারগণ হামলা চালায় ও মারধর করে। এই বিষয়গুলো লিখিতভাবে আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারকেও জানানো হয়। মাজারের ওয়ারিশগণ বর্তমানে নিরূপায় হয়ে তাদেরই আপন চাচত ভাই ইমাম হোসেনকে এইসব বিষয়ে প্রতিকার পাবার জন্য, মাজার ও মসজিদের উন্নয়নের স্বার্থে বিশেষ আমমোক্তার নামা (পাওয়ার অব এন্টি) দেয়। এই বিশেষ আমমোক্তার মূলে ইমাম হোসেনও এখন দানকৃত টাকার হিসাব চেয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।এই সংক্রান্ত সংবাদ দৈনিক ভোরের ডাকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমেে সংবাদও প্রকাশ হয়। ইমাম হোসেন আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, আবদুল হালিম তালুকদার একজন এলাকার চিহ্নিত লোক। জেলখাটা আবদুল হালিম তালুকদার ২৫ আগস্ট ২২ একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা নিয়ে জামিনে বের হয়ে আসে। আব্দুল হালিম তালুকদারের বিরুদ্ধে এলাকায় এন্তার অভিযোগ রয়েছে। সৎ ভাই হত্যাকাণ্ডসহ তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা । ডরে ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে না।