চৌধুরী হারুনুর রশীদ
বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরীর বিরুদ্ধে সই জালিয়াতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন আমতলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. ইব্রাহিম সওদাগর।
২০ সেপ্টম্বর মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় তাঁর মেয়ের জামাই মো. ওমর ফারুকও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার মেয়ের জামাই মো. ওমর ফারুকের ক্রয়কৃত ভোগ দখলে থাকা দোকান প্লট ভেঙ্গে পড়া ঘর নির্মাণ ও জায়গার সংস্কার করতে গেলে মো. রাসেল চৌধুরী নিজেকে বাজার ফান্ডের মনোনীত ব্যক্তি(বাজার চৌধুরী) পরিচয় দিয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমরা চাঁদা দিতে অপারগতা জানালে রাসেল চৌধুরী ও তাঁর বাহিনী আমার ও আমার মেয়ের জামাইকে মারধর করেন এসময় তারা বাড়িতে ঢুকে মহিলাদেরও লাঞ্ছিত করে। পরবর্তীতে রাসেল চৌধুরী গত ৩ আগস্ট রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে উক্ত জায়গার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ হিসেবে ডিসি কোর্টে একটি মামলা করে দোকানের প্লটের ওপর ১৪৪ ধারা জারি করে।
সংবাদ সম্মেলনে মো. ইব্রাহিম আরো বলেন, উক্ত নির্দেশিকা পত্র নিয়ে চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট দেখা করে সত্যতার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে উনি এটা জাল ও নকল বলে জানান এবং এই বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য তিনি এক সেট কাগজ নিজের কাছে নেন। ইতিমধ্যে রাসেল চৌধুরী আমাকে আমার মেয়ের জামাইকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে এবং হয়রানি করছে। বর্তমানে আমি ও আমরা পরিবার খুব নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমতলীর পুলিশ নিয়ে আমার বাড়ী ঘরে তল্লাশীর হয়রানী করেছে। সাথে জাল টাকা, গুলি ও মাদক রেখে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো রাসেলর কাজ। বাজার ফান্ডে প্রায় ৬৫ প্লটের মধ্য ২/৩টি বন্দোবস্তি থাকতে পারে। রাসেল ক্ষমতার অপব্যবহার করে মসজিদের জায়গা দখলে নিয়ে ২য় তলা বাড়ী নির্মান ও বনবিভাগের জায়গা দখল কাঠ পাচারে অভিযোগ রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র বিপরীতে প্রতি পরিবার থেকে ১লক্ষ হতে ২ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে। ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে কাবিকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে অদৃশ্য আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।