মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে আবারও রক্তারক্তির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় করেরহাট স্কুলের ৩ খেলোয়াড় মারাত্মক আহত হয়েছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মিরসরাই উপজেলা স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে। গত বুধবার ও পৃথক সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। কিন্তু কোনপ্রকার সতর্কতা অবলম্বন না করায় আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী যানা যায়, শনিবারে আহত খেলোয়াড়রা হলেন করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র নোমান (১৬), শ্রাবণ (১৬), দীপেন দে (১৭)। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া আহত আরও ৪ জনের তথ্য পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন স্কুলভিত্তিক দলের সাথে ফুটবল টুর্নামেন্টে নকআউট পর্বের খেলা চলছে। শনিবার সকালে খেলার সেমিফাইনালে মিরসরাই সরকারি মড়েল উচ্চ বিদ্যালয় ( পাইলট স্কুল) কে ২-০ গোলে পরাজিত করে করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয়। খেলা শেষে পরাজিত দলের সমর্থকদের হামলায় বিজয়ী দলের ৩ খেলোয়াড় সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক পলাশ মল্লিক বলেন, ‘আমাদের স্কুলের ছেলেরা জয় জয়লাভ করার পর আনন্দ উল্লাস করে মাঠ থেকে বাড়ির পথে রওনা দেয়। কিন্তু সরকারি মড়েল উচ্চ বিদ্যালয় সমর্থকরা আমাদের উপর হঠাৎ চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এতে আমাদের গোলরক্ষক দীপেন দে সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূল শাস্তি দাবি করছি।’
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে খেলার মাঠের বাহিরে সামান্য ধাক্কাধাক্কির ঘটনার খবর পাইছি। বড় ধরনের কিছু হওয়ার আগে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান বলেন, খেলা পরবর্তী সময়ে হাতাহাতির ঘটনা শুনেছি। দ্রুত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।