অপু চৌধুরী
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ৩৮ নং ওয়ার্ডের বাকের আলী ফকিরের টেক সাগরপাড় রোডস্থ আলমগীর এর ভাড়া ঘরে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে রমরমা জুয়া, পতিতাবৃত্তি ও মাদকের আসর । হালিশহর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র তিন’শত গজের মধ্যেই চলছে জমজমাট এই জুয়ার আসর । জনবহুল এলাকায় পতিতালয়, অবাধে মাদক বেচাকেনা চলছে, বিপদগামী হচ্ছে স্কুল কলেজ এর শিক্ষার্থী, শঙ্কিত অভিভাবক । দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর চলার কারনে এলাকার অনেক লোকজন নিঃস্ব হচ্ছে, দেখা দিচ্ছে চরম ক্ষোভ।
পেশাদার জুয়ার আসর পরিচালনাকারী একটি চক্র নানাভাবে ম্যানেজ করে জুয়ার এই আসর চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর শুরু হয়েছে জমজমাট এ জুয়ার আসর। এ আসর সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে জুয়ার আসর। জুয়ার আসর কে কেন্দ্র করে আশে পাশে সাজ সাজ রব বিরাজ করে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, দুই লোক এ জুয়ার আসর মাদক ও পতিতালয়ের আয়োজক তাদের উপর আশীর্বাদ রয়েছে প্রভাবশালীদের।
জমজমাট জুয়ার আসর এখানে এলাকার অনেক প্রভাবশালী ধণীরা আসে জুয়া খেলতে রাতভর। প্রতিরাতের এখানে অর্ধকোটি টাকার জুয়া খেলা হয় বলে সংশ্লিষ্ট একজন দোকানদার জানান।
স্থানীয় এক দোকানদার জুয়ার আসরের কথা স্বীকার করে জানান জুয়ারুরা প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে ধনী হওয়ায় তাদের বিরুদ্বে কিছু বলা যায় না।
বন্দর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি মাত্র ৭ দিন হলো জয়েন্ট করেছি আমিও নতুন এসেছি হালিশহর ফাড়ি ইনচার্জ তিনিও নতুন জয়েন্ট করেছেন। আমাদের কাছে সুনিদিষ্ট প্রমানের ভিত্তিতে অভিযোগ করলে আমরা অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ৩৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি এম. হাসান মুরাদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমার আগে জানা ছিল না তবে গতকাল কে যেন আমাকে বলেছিল জুয়ার আসর ও পতিতালয়ের কথা । তিনি আরো বলেন অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমার দল এবং আমার অবস্থান স্পষ্ট ।
জুয়ার আসর ও পতিতালয়ের মাদক অবাধে বেচাকেনা হয় এই বিষয়ে আপনি অবগত আছেন কিনা জানতে চাইলে ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আমাদের বলেন, আমি এই বিষয়ে জানি না। আমার ওয়ার্ডের যে কোন অপকর্মের বিরুদ্ধে আমি অতীতে ব্যবস্থা নিয়েছি । এর আগে ওসি সাহেবকে বলার পর তিনি সাথে সাথে ধুমপাড়া এলাকায় জুয়ার আসর উচ্ছেদ করেছিল । আপনাদের মধ্যমে আমি আজ জানতে পারলাম, জুয়ার আসর ও মাদক বিক্রী বন্ধে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন,মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। আমরা প্রতিবাদ করেছি,কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি।কাউসার, সেলিম ও ভুট্ট্রো নামের এই দুই লোক জুয়ার আসর পরিচালনা করছে। আর পুস্পা নামে মধ্য বয়সী এক নারী পতিতালয় নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি আরো বলেন আমরা যারা পরিবার নিয়ে সমাজে বসবাস করি তারা আজ আতংকিত সন্তানদের নিয়ে। পুস্পার ফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারনে বিস্তারিত জানা যায়নি ।