1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
বঙ্গমাতা জাতির বিপদে-আপদে বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী - পূর্ব বাংলা
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে সত্য বলার সাহস থাকাই হলো সাংবাদিকতা শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি নেতা বিপ্লব মাওলানা শাহ সুফি মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন মমিন (রঃ) এবং কবরবাসী স্বরণে ১ম বার্ষিক দোয়া মাহফিল ইউনেস্কো ক্লাব এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন বায়েজিদ বোস্তামী ও মালেক শাহ (র.) ওরশ সম্পন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ফোরকানিয়া মাদরাসা শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত  আল্লামা আবুল খাইর ফাউন্ডেশন ২৬৫ জন রোগীর ছানি অপারেশন করালেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে রাজপথ ছাড়বো না: হান্নান মাসউদ

বঙ্গমাতা জাতির বিপদে-আপদে বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে


মো. আবদুর রহিম

৮ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মবার্ষিকী। এই আগস্ট মাসের ১৫ তারিখটিও এ মহীয়সী বঙ্গমাতার শাহাদাত বার্ষিকী। ৮ আগস্ট বাঙালি জাতির জীবনে একটি শুভ দিন। ১৯৩০ সালের এ দিন পৃথিবীতে আগমন আমাদের শ্রদ্ধেয় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের। বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী তাঁর চিরঅ¤øান স্মৃতি প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। শিশুকাল থেকেই বঙ্গমাতা ছিলেন অত্যন্ত ন¤্র, শান্ত ও অসীম ধৈর্য্যরে প্রতিচ্ছবি। বেগম মুজিব বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য্য ও সাহস নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেন। তিনি জাতির পিতার যোগ্য ও বিশ^স্থ সহচর হিসেবে দেশ ও জাতি গঠনে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। বেগম মুজিব পুরোজীবন কষ্ট এবং আত্মত্যাগকে হাসিমুখে গ্রহণ করে জাতির বিপদে-আপদে বঙ্গবন্ধুর ছায়া সঙ্গী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু’র দল আওয়ামী লীগ ধরে রাখার অন্যতম এক ভরসাস্থল বেগম মুজিব। বঙ্গবন্ধুর উথাল পাতাল রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন অবিচল এক প্রেরণাদায়ী। আমৃত্যু নেপথ্যে থেকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পরম মমতায় জাতির পিতাকে সযতেœ আগলে রেখে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকগুলোতে দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দিয়ে জাতীয় জীবনে অনন্য ও ঐতিহাসিক অবদান রেখে গেছেন। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম অগ্রদূত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগঠনকে ধরে রাখবার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকাকালীন বা পুনরায় জেলে যাওয়ার আগে অনেকবার বঙ্গমাতাকে তিনি অনুরোধ করেছিলেন টুঙ্গিপাড়ায় ফিরে যেতে, কারণ টুঙ্গিপাড়া ছিল বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার পৈত্রিক বাড়ি। সেখানেই তাদের বাবা মা সহ সকল আত্মীয়স্বজন। ঢাকায় চেনা পরিচিত তাদের কেউ তখন ছিল না। অচেনা ঢাকার বৈরী পরিবেশে বঙ্গমাতা একাকী কিভাবে সংসার করবেন কীভাবে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সামলাবেন এ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর মনে দ্বিধা ছিল-সংশয় ছিল। বঙ্গমাতা ছিলেন গ্রামের সম্ভ্রান্ত মহিলা। শিশু ছেলে মেয়ে নিয়ে তৎকালীন প্রাদেশিক শহর ঢাকার বুকে একাকী জীবন যাপন করতে দেয়ার পক্ষে বঙ্গবন্ধু ছিলেন না। বঙ্গমাতা তার কৈশোর থেকেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের উদ্দেশ্য ভাল করেই আয়ত্বে নিতে সক্ষম হন। দীর্ঘ সময় দলনেতা বঙ্গবন্ধু জেলখানায় পড়ে থাকাকালীন সময়ে দলের মধ্যে নানাধরনের সংকট দেখা দেয়। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে দলকে দলের কর্মীদের চাওয়া-পাওয়া দলের কর্মীদের বিপদ আপদ বঙ্গমাতা শক্ত হাতে সামলাতেন। দলের কোন ধরনের ক্ষতি যাতে না হয়, দলের দুঃসময়ে নেতার অবর্তমানে নেতা-কর্মীরা যাতে হতাশ না হন, ভয়-ভীতি প্রলোভনে দলে যাতে ভাঙ্গন বা ক্ষতি না হয় সে সব দিকগুলোও বঙ্গমাতা দৃঢ়তার সাথে, বিচক্ষণতার সাথে সাহসের সাথে মোকাবিলা করে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বঙ্গবন্ধুকে নিতে তিনি প্রেরণা দেন, পরামর্শ দেন এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন। বঙ্গমাতা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। ৩ বছর বয়সে তিনি পিতা হারান।৫ বছর বয়সে মাকে হারান। বঙ্গমাতা বাবা-মা হারিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পিতা-মাতার কাছেই সন্তানের মতো লালিত-পালিত হন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন। সেই থেকেই বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার সঙ্গে জড়িয়ে যান। ভারত-পাকিস্তান বিভাগের পূর্বে ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় বঙ্গমাতা অসুস্থ ছিলেন। এ কঠিন সময়ে তিনি স্বামীকে কাছে না রেখে কলকাতার দাঙ্গাপীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তার পরামর্শ দিয়ে তিনি মানবিক সেবার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। এই দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী বঙ্গমাতা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তির বিরোধীতা করেন। তাঁর এই সাহসী ও দুরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্তের ফলে মামলার সকল রাজবন্ধীর জীবন রক্ষা পায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা পেশ থেকে ১১ দফা সহ দেশের কল্যাণে গৃহীত সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের নেপথ্যে বেগম মুজিব অনুপ্রেরণা যুগাতেন। বঙ্গবন্ধু’র ৪৬৮২ দিনের কারাজীবনে বঙ্গমাতা অপরিসীম দুঃখ কষ্টে সংসার জীবন অতিবাহিত করেছেন। ১৯৫৪ তে যখন বঙ্গমাতা ঢাকায আসেন তখন গেন্ডারিয়ায় রজনী চৌধুরী লেনে বাসা ভাড়া নেন। বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় বন ও কৃষিমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর ৩নং মিন্টো রোডে সরকারি বাড়ি পান। বঙ্গমাতা এ বাড়িতে ওঠেন। অল্প দিনের মধ্যে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার ৯২-ক ধারা জারি করে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী সভা ভেঙ্গে দেয়ার পর বঙ্গবন্ধুকে সরকার গ্রেপ্তার করে। বঙ্গমাতা সরকারি বাড়ি ছেড়ে নাজিরা বাজারে বাসা নেন। ১৯৫৫ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারে বঙ্গবন্ধু শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতিদমন ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দফতরের মন্ত্রির দায়িত্ব পান। এ সময় বঙ্গবন্ধুর পরিবার আবদুল গণি রোডের সরকারি বাসায় ছিলেন। এর কিছু পরে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রীত্ব ছেড়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থেকে যান। মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেয়ার পর বঙ্গমাতাকে সরকারি বাড়ী ছেড়ে সেগুন বাগিচায় ভাড়া বাসায় চলে যেতে হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করার পর বঙ্গবন্ধুকে ১২ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়। এই দুঃসময়ে বঙ্গমাতা সন্তানদের নিয়ে সেগুনবাগিচায় নির্মানাধীন একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নেন। পরে এটি পাল্টিয়ে একইএলাকায় অপর একটি বাড়িতে বাসা নেন। সেই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে ১৪টি মামলা দেয় পাকিস্তান সামরিক সরকার। ১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চাকরি নেন। বঙ্গবন্ধু পরিবার ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। সেই থেকে বঙ্গবন্ধু’র ৩২নং রোডের বাড়ি হয়ে ওঠে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের মূল ঠিকানা। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীর ঠিকানা হয়ে ওঠে ঐ বাড়ি। সব নেতা-কর্মীই বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য। নেতা-কর্মীদের বিপদ-আপদে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা পাশে দাঁড়াতেন পরম মমতায়। দলীয় নেতা-কর্মীদের বঙ্গবন্ধু যেভাবে মমতায় কর্মীদের হৃদয় জয় করতেন ঠিক একইভাবে বঙ্গমাতা নেতাকর্মীদের মমতায় তাদের চেতনাকে শানিত করবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কারাগারে থাকাকালীন বঙ্গমাতা দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন, বঙ্গবন্ধু’র দেয়া প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিতেন এবং কারাগারের বাইরের অবস্থা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করতেন। বঙ্গমাতা এতটাই সচেতন ছিলেন যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে তাঁর জীবন কর্ম লেখায়, অনুপ্রেরণা দিতেন। তাঁর প্রেরনায়ই বঙ্গবন্ধু আমাদের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রেও তাৎপর্যময় অবদান রেখে গেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, বঙ্গবন্ধু ৬ দফা ঘোষনার পর তিনি কারাগারে চলে গেলে তাঁর ঘোষিত ৬ দফাকে ৮ দফা করার জন্যও দলের ভিতরে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল, সেই সময় বঙ্গমাতা ৬ দফার উপর অটল ছিলেন বলেই ৬ দফা পরিবর্তনে দল ব্যর্থ হয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ, যে ভাষণ আজ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে ইউনেস্কোর প্রামান্য দলিলে স্থান করে নিয়েছে। সেই ভাষণের বিষয়েও বঙ্গমাতার ভূমিকা ছিল। সে সময় বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন, ‘তুমি সারা জীবন সংগ্রাম করেছ, এ দেশের মানুষ কী চায় তুমি জানো, কাজেই তোমার মনে যেটা আসে, তুমি সেটাই বলবা। কারও কথা শুনতে হবে না।’ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গৃহবন্ধী থেকে এবং পাকিস্তানে কারাবন্দী বঙ্গবন্ধুর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শংকা সত্তে¡ও বঙ্গমাতা সীমাহীন ধৈর্য্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকবিলা করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক দীক্ষা গুরু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বঙ্গমাতার সাহস, বিচক্ষণতা ও দুরদৃষ্টি অনুধাবন করে মন্তব্য করেছিলেন যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্য ‘¯্রষ্টার দেওয়া অতি মূল্যদান’। বঙ্গমাতা বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে অন্যতম অগ্রদূত। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সাথে তিনিও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাছে আত্মনিয়োগ করেন। বঙ্গমাতা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পতœী হওয়া সত্তে¡ও সব সময় সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। ক্ষমতার কোন লোভ বা দাম্ভিকতা তার মধ্যে ছিল না। নির্লোভ, পরোপকারী ও নিরহংকার বঙ্গামাতা বাঙালি মায়ের চিরন্তন প্রতিচ্ছবি। তিনি জীবিতকালে ক্ষমতার চুড়ায় থেকেও অমায়িক ও আন্তরিক ছিলেন। জাতির পিতার সহধর্মিনী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিজ জীবনে লালন ও ধারণ করে নিজ সন্তানদেরও একই আদর্শে গড়ে তোলেছেন। তাই-তো দেশ ও জাতি দেখছে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাবা-মা’র শিক্ষা ও আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে বিশে^র দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ বিশে^র বিষ্ময়, উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ সবধরনের বিপদ আপদ, করোনা, যুদ্ধবিগ্রহ ও ষড়যন্ত্র বীরত্বের সাথে মোকাবিলা করে সামনে নিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির পিতার সঙ্গে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকেও নিষ্ঠুর, নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে খুনিচক্র। পার্থিব বিত্ত-বৈভব বা ক্ষমতার জৌলুল বঙ্গমাতাকে স্পর্শ করতে পারেনি। গরীব-দুঃখীর চিরবন্ধু, নারী সমাজের আদর্শ বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি বঙ্গমাতা যুগ যুগ ধরে বাঙালি নারীর অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে চিরঞ্জীব থাকবে। আসুন, প্রিয় প্রজন্ম আমরা সবাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার আদর্শে নিজেদের জীবন গড়ি এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলি।লেখক, সাধারন সম্পাদক
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদ

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla