1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
বিএনপির নেতৃত্বে নতুন কর্মসূচি আসছে : অলি আনোয়ারা সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ, জিম্মি দুইশত পরিবার সীতাকুণ্ডে কুমিরা ঘাট দিয়ে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা, খবর পেয়েও আটক করেনি নৌ পুলিশ ৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো বায়েজিদে টোকেন বাণিজ্য নিষিদ্ধ অটোরিক্সা অবাধেই চলছে ট্রাফিক পুলিশ চাঁদা পেয়েই নিরব ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য ডবলমুরিং- এ ভুয়া নারী পুলিশ কনস্টেবল আটক বিএসসি মর্যাদা পাওয়া নিয়ে আইইবি’ বিরুপ প্রতিক্রিয়া অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য – আইডিইবি সীতাকুণ্ডে অবৈধ বালু উত্তোলন দিয়ে কে আর অক্সিজেন পুরাতন কুমারী খাল ভরাট করছে একজন মন্ত্রী সমর্থিত আরেকজন এমপি সমর্থিত আর আমি হচ্ছি সাধারণ জনগণ সমর্থিত- তৌহিদ 

ডলার কারসাজির অভিযোগে ১১ মানি একসচেঞ্জ সিলগালা

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২
  • ২০৫ বার পড়া হয়েছে

ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণ ও কারসাজি বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের চলমান অভিযানে ১১টি মানি একসচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো তদারকি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টনসহ বেশ কিছু এলাকার মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১০টি দল।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, এরপরও ডলার নিয়ে কারসাজি হলে সংশ্লিষ্ট মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। খুব দ্রুতই দেশে ডলারের দাম কমে আসবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংক ও এ খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
২৭ জুলাই  বুধবার ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও খোলাবাজার পরিদর্শন শুরু করে। আজ ছিল এই কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন।
অভিযান সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বুধবার বলেছিলেন, খোলাবাজারে এক ডলারের বিপরীতে দিতে হচ্ছে ১১২ থেকে ১১৪ টাকা, এমন খবর পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি দল মানি চেঞ্জার হাউজগুলোতে তদারকি চালাবে। ডলার সংরক্ষণ ও লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
আজ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয় বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র। এর মধ্যে রয়েছে ডিআইটি রোডের জেমস মানি এক্সচেঞ্জ। প্রতিষ্ঠানটির কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এটি সিলগালা করা হয়েছে।
মতিঝিলের দিলকুশার সুগন্ধা মানি এক্সচেঞ্জ, দোহার মানি এক্সচেঞ্জ, জামান মানি এক্সচেঞ্জ ও ওয়েলকাম মানি এক্সচেঞ্জের ক্রয়-বিক্রয়ের কোনো রেজিস্টার পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে তাদের লাইসেন্স বাতিল করেছিল। কিন্তু উচ্চ আদালতে রিটের মাধ্যমে অনেক বছর ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছিল। নয়া পল্টনে অবস্থিত বিজয় মানি এক্সচেঞ্জে অবৈধভাবে রাখা বিদেশি মুদ্রা থাই বাথ পাওয়া গেছে।
পল্টনের ইস্টার্ন ইউনিয়ন মানি চেঞ্জিং ও ফয়েজ মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেডে পরিদর্শনকালে রেজিস্টারের তথ্যের সাথে কম্পিউটারে সংরক্ষিত তথ্যের অমিল পাওয়া গেছে; দিলকুশার বুড়িগঙ্গা মানি এক্সচেঞ্জ, মিসা মানি এক্সচেঞ্জ, পল্টনের দেওয়ান মানি এক্সচেঞ্জে বিদেশি মুদ্রা ও দেশীয় মুদ্রার হিসাবে পার্থক্য পাওয়া গেছে বলে সূত্র জানায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডলার নিয়ে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
বৈশ্বিক অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘রপ্তানি আয় হ্রাস আর আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চাপ পড়েছে এই আন্তর্জাতিক মুদ্রার ওপর। তবে খুব শিগগির ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি করা হয়েছে, কেউ অবৈধভাবে ডলার মজুত করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির এই সময়ে কেউ অবৈধভাবে ডলার মজুত করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া জাল ডলার তৈরির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের ওপর ডলারের প্রবাহ বাড়া-কমা নির্ভর করে। সাম্প্রতিক সময়ে এ খাতে আয় অনেক কমে এসেছে। এ ছাড়া কারসাজির অভিযোগও আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি চলতে থাকলে কেউ আর কারসাজির সুযোগ পাবে না। তাতে দ্রুতই সংকট কেটে যাবে বলে আশা করছেন তারা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন মনে করেন, একটি গোষ্ঠীর মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার কারণে ডলারের বাজার অস্থির হয়েছে। তবে শিগগিরই এই সংকট কেটে যাবে।
শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla