নিজস্ব প্রতিনিধি
৫ শতাধিক মানুষের চলাচলের রাস্তার উপর প্রতিবন্ধকতা তৈরী আসছিল স্হানীয় জামশেদ (মামা – ভাগিনা) গং।চলাচলে অসুবিধা, অত্যাচার ও নানান যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সমীপে মনছুর আহমদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ২৮ জুন ২২ আবেদন করে ।আবেদনের সত্যতা পেয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে লোহার গেইট অপসারণ করে জনসাধারণের চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দেয় ।এতে ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে অভিযুক্ত জামশেদ গং।চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ২৮ নং ওয়ার্ডের ২নং গলি বাই লেইন সার্বজনীন চলাচলের পথ নিয়ে ঘটছে এই সব ঘটনা ।
জানা গেছে, গেইট দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা অভিযুক্তরা হলেন জামসেদ, আলমগীর, হুমায়ুন,ফরিদ,ইমন,জোবায়ের ও তাদের পরিবারের সদস্যগন ।জামশেদ স্হানীয় মৃত জাফর আহমদের পুত্র। আলমগীর ও মোঃ হুমায়ন হলো জামশেদের মামা।অভিযুক্ত অন্যরা তাদের গ্যাংভুক্ত সদস্য।বর্তমানে অভিযোগকারীনি মিসেস রোকেয়া বেগম এর উপর জামশেদ গ্যাং হামলার চেষ্টা এবং প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করে আসছে অভিযুক্ত ব্যাক্তিবর্গ ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়,চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ২৮নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা বাসিন্দা মিসেস রোকেয়া বেগম গোসাইলডাঙ্গা মৌজার অনালিশী কতেক সম্পত্তি ২৮নং ওয়ার্ডের ২নং গলির নিবাসী মরহুম রফিক আহমদ হতে খরিদ মুলে মালিক দখলদার হয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হতে ভবন নির্মাণের জন্য অনুমোদন নেয় । এই অনালিশী সম্পত্তিতে যাতায়াতের জন্য ২৮নং ওয়ার্ডের নালিশী চলাচলের পথ একমাত্র পথ হয় । চলাচলের পথ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর অধিভুক্ত সর্বসাধারণের চলাচলের পথ হয় । যা চসিক হতে চলাচলের পথের উন্নয়নের জন্য টেন্ডার হয় ও গেজেটভুক্ত হয় ।
স্থানীয় জনসাধারণ ৫ শতাধিক মানুষ এই রাস্তা যাতায়াত এর জন্য শত বছর যাবৎ ব্যবহার করে আসছে ।
মিসেস রোকেয়া বেগম বলেন, অভিযুক্ত ব্যাক্তিগন পরসম্পত্তি গ্রাসকারী, প্রতিহিংসা পরায়ন ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হয় । তারা আমার কাছে বেআইনি ভাবে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে । আমি চাঁদা না দেওয়ার কারনে ভবন নির্মাণে বাঁধা প্রদান করে ।নিরুপায় হয়ে গত ১৩ জুন ২১ রোকেয়া বেগম ২৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বরাবর একখানা অভিযোগ দায়ের করে । কাউন্সিলর এটি সরেজমিনে তদন্ত করে গত ১৫ জুন ২১ তারিখে অভিযুক্ত ব্যক্তিগনের বিরুদ্ধে ডিক্রী প্রদান করেন । অভিযুক্ত ব্যক্তিগন কাউন্সিলর মহোদয়ের এই আদেশের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া উঠে এবং বগত ২৪ জুন ২০২২ মধ্য রাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নালা সংলগ্ন রাস্তার পার্শ্বে রোকেয়া বেগমের নির্মাণাধীন দালানের সামনে লোহার এংগেল দিয়ে চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ।
অভিযোগকারিনী আরো জানান – আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের প্রতিদিন বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছে জামসেদ ও তার পরিবারের লোক। আমরা অসহায় অবস্থায় ভীত সন্তস্ত্র অবস্হায় আছি।
এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে পূর্ব বাংলার পক্ষে কথা বলি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল নজরুল ইসলাম বাহাদুর এর সাথে। তিনি বলেন ঘটনা সত্য রোকেয়া বেগম এত্র এলাকার একজন ভদ্র ও পর্দানশীন মহিলা তার ও এলাকার সর্বসাধারণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আমি দু ‘পক্ষকে আমার কার্যালয়ে আসতে বলি। অভিযুক্ত জামসেদ এর কাছে এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইতে তার লোকজন নিয়ে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে গালাগাল করে চলে যায়। আমি বিষয়টি সিটি কর্পোরেশন অফিসে লিখিত পেশ করি। তদন্ত শেষে সত্যতা পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর উপস্থিতিতে লোহার গেইট অপসারণ করা হয়। এখন আবার অভিযোগ পেলাম রোকেয়া বেগম ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে। আমি জানিনা বুঝতেও পারছি না জামসেদ ও পরিবারের ক্ষমতা ও দাপটের উৎস কোথায়। আমি অসহায় এই পরিবারের সুরক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে মিসেস রোকেয়া বেগম এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সিআর মামলা নং ১০৭৫ /২০২২ দায়ের করেন ।ওই মামলায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।