1. admin@purbobangla.net : purbobangla :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
২৯ শে এপ্রিল নিহতদের স্মরণে সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ সভা পথচারীদের মাঝে শরবত, পানি ও গামছা বিতরণ করলেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর  হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর পথচারীদের মধ্যে শান্তির শরবত বিতরণ করলেন চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন তৎক্ষালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিলো, তত মানুষ মরে নাই স্মরণ সভায় ওয়াসিকা আবারও আসছে তিনদিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ চট্টগ্রামে কাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড রাজধানীর সৌদি দূতাবাসে আগুন উত্তর চট্টগ্রামে এই প্রথম ফ্যাকো অপারেশন শুরু করছে চট্টগ্রাম গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল

পাহাড়তলীতে রসুল আহমদের ৪ ছেলে ও ২৯ জনের মাদক কারবার ও আলী’র মহিলা সিন্ডিকেট !

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ শনিবার, ২৫ জুন, ২০২২
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

 

 

শেখ শফি
পাহাড়তলী থানা এরিয়া ও সাগরিকা বাজার জুড়ে চলছে প্রকাশ্যে মাদক বেচা কেনা। চলছে জুয়ার আসরও। মাদক ব্যবসায়ীদের রয়েছে অবৈধ অস্ত্র ও কিশোর গ্যাং। এই কারণে সাধারণ মানুষ ভয়ে মুখও খোলে না। দূর্নীতিবাজ কয়েকজন পুলিশের সাথে এই মাদক কারবারীদের রয়েছে গভীর সখ্যতা । ফলে নীতিবান পুলিশও অনেক সময় এদের ঘায়েল করতে পারে না। পুলিশের জনৈক ক্যাশিয়ার মাসুদ ও কয়েকজন ঘুষখোর পুলিশ এসব মাদক কারবারীদের আশ্রয় দেয় বলে একাধিক সুত্র দাবী করেছে।

 পাহাড়তলী পুরো এলাকায় মাদক কারবার  ৪ ছেলে ও মেয়ের জামাইকে দিয়ে পুরোদমে চালিয়ে আসছেন জনৈক রসুল আহমদ । ৭০ বছরের বয়োবৃদ্ধ এই ব্যাক্তি  স্ক্রাপ ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসায় জড়িত । তার আদত বাড়ী নোয়াখালী । তার এই দুই নম্বরী ব্যবসার কথা কেউ জানে আবার কেউ জানেও না। এলাকাবাসীদের বলে বেড়ায় টিনশেট ঘর ভাড়া দিয়ে সে সংসার খরচ চালায়। টেকনাফ ও বান্দরবান থেকে তার মেয়ের জামাই রাব্বী এসব মাদকের চালান আনে বলে খবর পাওয়া গেছে। সঞ্জয় নামক এক ব্যাক্তি তাদের হয়ে কাজ করে। সে হিন্দু হলেও পারভীন নামক এক মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করে।
জানা গেছে,  রসুল আহমদের ছেলে হেলাল, আলমগীর, শিমুল, সুজন ও  এরা সবাই গাঁজা, মদ ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। শিমুল ডাব ও তাল ব্যবসার আড়ালে গাঁজা বিক্রি করে থাকে। সে মোটর সাইকেল চুরির অপরাধে ইতিপূর্বে আটকও হয়েছে। রসুল আহমেদের পুরো পরিবার ও মেয়ের জামাই গং এই মাদক ব্যবসায় জড়িত। এলাকার সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এরা এলাকায় দাপটের সাথে চলাফেরা করে। এরা বলে বেড়ায় সব প্রশাসন তাদের সাথে চুক্তিতে যোগাযোগ রাখে।
রসুল আহমদের ৪ ছেলের বিরুদ্ধে রয়েছে এন্তার অভিযোগ। মামলাও আছে। রয়েছে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির বহু নজিরও। সরকারী ও বেসরকারী সংস্হার বিভিন্ন দপ্তরেও  রয়েছে অনেক অভিযোগ।

‘ মিলনি” নামের এক মহিলা এবং আবুল কালামের পুত্র রেজাউল করিম, মুন্নি বেগম, পারভিন আক্তার  এরা সবাই ইয়াবা থেকে শুরু করে হিরোইন পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে। ২৯ জনের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ এসব কারবারে জড়িত । এক সময় জনৈক আবুও এই কারবার নিয়ন্ত্রণ করত। এখন আবুর পরে সন্ধীপের সিরাজ ও শাহিন মাদক কারবার করে। আরেক মাদক কারবারী জহির আহমদ এখন কারগারে। বর্তমানে জহিরের বউ তার হয়ে মাদক বেচা বিক্রি করে থাকে। এ ছাড়া কমলার ছেলে রুবেল, আরেক রুবেল যার মায়ের নাম পারুল, ছেরু মিয়ার ছেলে অপু, রেজাউল করিমের ভাই আমিন. সোলায়মান ও সোলায়মানের স্ত্রী ‘সুন্দরী’ ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করে থাকে। জানা গেছে, এখানে প্রতি ফোটলা গাঁজা ৫০ টাকা ও প্রতিটি ইয়াবা ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করে থাকে।

এদিকে, রেজাউল করিমের ভাই আমিনের সহকারী মুরগী ফার্মের মিলন, জামালের ছেলে ইয়াছিন ও তার সাথে আরো ৪/৫জন, শাহ আলম প্রকাশ ডাক্তার, কালা মিলন বা সোর্স মিলন কিংবা কেউ বলে কান কাটা মিলন এরা প্রকাশ্য ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করে। আজম গলির নেতা শাহিনের ভাই জমির এদেরকে পাইকারী ইয়াবা এনে দেয়। পাইকারী ইয়াবা  ৯০-১০০ টাকায় সে তাদের দেয়। পাবেলের ভাড়া ঘরে থাকে আখতার, বিহারী কলোনীর নেতা মুরাদের ভাই পাগলা মানিক হেঁটে হেঁটে ও প্রকাশ্য ইয়াবা এবং গাঁজা বিক্রি করে। জানা গেছে, জাগির মিস্ত্রীর বড় মেয়ে জানু’র জামাইয়ের দোকানে এসব ইয়াবা ও গাঁজা জমা রাখে।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিহারী কলোনির বাসিন্দা কয়েক জন মধ্যবয়সী মহিলা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের মেয়েরা এই রেল লাইন দিয়ে অফিসে আসা যাওয়া করে। চলার পথে মেয়েদের কে জঘন্য ভাষায় নানাভাবে হয়রানী করে এতে  কিছু বললে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায়। এ বিষয়ে কয়েক বার থানা পুলিশকে জানালেও কোন ফল পাওয়া যায়নি বলে তারা আমাদের প্রতিবেদককে অভিযোগ করে।
বিহারী কলোনির জনৈক বাসিন্দা  বলেন এই রেল লাইনের উপরে চলে প্রকাশ্য মাদক বেচাকেনা, রেল লাইনের উপরে বসে প্রকাশ্যে করছে মাদক সেবন, ওরা যেন কাউকে তোয়াক্কা করে না, মাঝে মাঝে ঘটে ছিনতাই এর মতো ঘটনাও।
কথা হয় পাহাড়তলী রেল স্টেশনের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সাথে, ওই ব্যবসায়ী বলেন এই এলাকায় সব কিছুই চলে বিশেষ করে দিনের চিত্র যেমনই হোক রাতের চিত্র খুবই ভয়াবহ।কয়েকজন হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী  বলেন,আপনি এখানে কিছু সময় থাকেন তাহলে দেখতে পারবেন কিভাবে কারা  টাকা নিতে আসে ও টাকা নেয়।
এদিকে উপরোক্ত মাদক কারবারীদের প্রতিপক্ষ আরো একটি মাদক বিক্রির গ্রুপ রয়েছে।ওই গ্রুপের মূল হোতা ‘আলী’ নামক এক ব্যাক্তি।সে ডজন খানেক মহিলার মাধ্যমে মাদক বিক্রি করে থাকে।একাধিক বিয়ে করেছে সে।
শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla