লামা রূপসীপাড়া ও লামা ইউনিয়ন সড়কের মোটর সাইকেল চালক-মালিক সমিতির সভাপতির পদ কেড়ে নিল উপদেষ্ট। পদ পুন:বহালের দাবীতে ৫০ জন সদস্যের স্বাক্ষরে অভিযোগ।
নির্বাচিত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সভাপতির পদ ফিরিয়ে পাওয়ার আবেদন করেছেন। আবেদনকারী হারুনুর রশিদ ( টিটু ) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কেরামত আলীর সন্তান।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান এর নিকট এক অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হারুন জানান, সে বিগত ২৪/০৯/২০২১ ইং তারিখ সংগঠনের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। “মোটর সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সমিতির উন্নয়নে সদস্যদের নিয়ে দায়িত্ব পালন করি।
সংগঠনের চালক, মালিকেদর কথা চিন্তা তথা যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলাম। কিন্ত লামা রূপসী পাড়া সড়ক ও লামা ইউনিয়ন সড়কের মোটর সাইকেল চালক ও মালিক সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে, কিছু অসাধু মোটর চালকের উস্কানিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক , কোষাধক্ষ্য উপদেষ্টা সদস্যরা তথা বিবাদীরা জোট বেধে সমিতির ফান্ডের টাকা মনগড়া খরচ দেখিয়ে হরিলোট করার চেষ্টা করে। তাদের এ রুপ আত্মসাতের বিষয়টি টের পেয়ে সভাপতি হিসাবে আমি তাদের নিকট থেকে হিসাবের ভাউচার চাই। ওই সময় তারা সঠিক হিসাব, ভাউচার দেখাতে পারেনি। এর পর নিজেদের রক্ষার জন্য আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা শুরু করে। ঘটনার এক পর্যায়ে লামা পৌর মেয়র মহোদয়কে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার-কানভারি করে।
এই অবস্থায় বিগত ২৫/০৩/২০২২ ইং তারিখে আমার পদ শূণ্য ঘোষণা করে। এদিকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে সমিতির সদস্য নন, এমন একজন নামমাত্র উপদেষ্টা সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে নিজেকে জাহির করে । এতে সমিতির সকল সদস্যরা সম্মত না।
“নিয়মানুযায়ী নির্বাচিত সভাপতির পদ পুনঃবহাল নতুবা পুন:নির্বাচন করার নিমিত্তে ৫০ জন চালক ও মালিক স্বাক্ষর করে লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর নিকট অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে বর্তমান সভাপতি রফিক এর কাছে জানতে চাইলে সে বক্তব্য দেয়নি। তবে এক নেতা জানান, টিটু অনিয়ম করায়, সদস্যরা তাকে অনাস্থা দেয়। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পৌর মেয়রের সম্মতিতে রফিককে অস্থায়ী সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।
সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক মো: ফজল করিম জানান, নির্বাচিত সভাপতিকে ৯ মাসের মাথায়, কয়েকজন জুটে ষড়যন্ত্র করে অনাস্থা দেয়া হয়। যা সাংগঠনিক নিয়মে পড়ে না।
সাবেক সহ সভাপতি সজিব মাহমুদও একই বক্তব্যে দিয়ে বলেন, দ্রুত পুন:নির্বাচন দিয়ে বিষয়টি সুরাহা করা দরকার।