পটিয়া পৌরসভা মেয়র মো. আইয়ুব বাবুল বলেন, বরেণ্য আলেমেদ্বীন আল্লামা আবুল কাশেম নূরীর দ্বীনি দায়িত্ববোধ ও মানবিক মমত্ববোধ দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই। তাঁর মতো উলামা মাশায়েখরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে, নিজ নিজ দরবার ও খানকাহ থেকে এ ধরনের সামাজিক দায়িত্ব পালনে এগিয়ে গেলে যৌতুক-মাদকসহ সব ধরনের অপরাধ প্রবণতা থেকে আমরা রেহাই পেতাম। তিনি আরো বলেন, আল্লামা নূরীর যৌতুক ও মাদকবিরোধী আন্দোলন আজ দেশব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে। ৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে রজভীয়া নূরীয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার ব্যবস্থাপনায় আহলে সুন্নাত যুব পরিষদ দক্ষিণ জেলার সার্বিক সহযোগিতায় পটিয়া পৌরসভা মিলনায়তনে মাহে রমজান শীর্ষক অলোচনা সভা, ইফতার মাহফিল এবং সংগঠনের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুহাম্মদ আয়ুব তাহেরির সঞ্চালনায় রজভীয়া নূরীয়া কমিটি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহজাদা মাওলানা কুতুব উদ্দীন শাহ্ নূরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পটিয়া পৌরসভা মেয়র মো. আইয়ুব বাবুল। উদ্বোধক ছিলেন আনজুমানে রজভীয়া নূরীয়া ট্রাস্ট মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ দৌলতী।তিনি বলেন, সামাজিক সচেতনতা ছাড়া যৌতুক ও মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা বেশ কঠিন। ধনীরা প্রাচুর্যের বাহাদুরি না থামালে বিয়ের নামে গরিব পরিবারের মাতম ও হাহাকার কখনো থামানো যাবে না। আল্লামা নূরীর যৌতুক, নারী নিপীড়ন ও মাদকবিরোধী এই আন্দোলন সারা দেশে প্রসারিত করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারী সমাজের কল্যাণ বহু ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছে। যৌতুকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় আলেম ও ইমাম সমাজকে প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আল্লামা নূরীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা দেওয়ার জোরালো দাবি জানান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আমির ভান্ডার দরবার শরীফের নায়েবে সাজ্জাদানশীন শাহজাদা আলহাজ্ব মাওলানা মোর্শেদুজ্জামান আল-আমিরি, রজভীয়া নূরীয়া কমিটি বাংলাদেশ এর সহ অর্থ সচিব মুহাম্মদ জাকারিয়া। প্রধান বক্তা ছিলেন রজভীয়া নূরীয়া কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব বিশিষ্ট সংগঠক মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মাওলানা এনামুল হক এনাম, মাওলানা নাজিম উদ্দীন নূরী, মাওলানা জহুরুল কাদের, গোলাম আলী কুতুব, আবদুল আউয়াল, জাকির হোসাইন, মহিউদ্দীন নূরী, নিজাম উদ্দীন চৌধুরী, আরফাত আলী রুবেল, নুরুল আলম রুবেল, জয়নাল আবেদীন টিপু, মুহাম্মদ জুয়েল, শায়ের মুহাম্মদ মে’রাজ, শায়ের মুহাম্মদ ইরফান প্রমুখ।