বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ এবং শেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘আসানি’। নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া।
২২ মার্চ দিবাগত মধ্যরাত থেকে ২৩ মার্চ দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সিস্টেমটি (লঘুচাপ) আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে। এর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলতে আরো সময় লাগবে। এখনো অনেক দূরে। তবে এটি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রমের সম্ভাবনা আছে।’
তিনি বলেন, ‘আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। দিনের তাপমাত্রা আরো কিছুটা বাড়তে পারে।’