মাহমুদুল হক আনসারী
অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল করিম শিক্ষা সংস্কৃতি চিকিৎসা এবং মানবতার কল্যাণে নিবেদিত একটি নাম। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি গবেষণা ও প্রকাশনা পরিষদ প্রতিষ্টার মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি জগতে চিকিৎসায় এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সারাদেশের হাজার হাজার হোমিও চিকিৎসকদের সুসংগঠিত করে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে হোমিও চিকিৎসাকে সহজলভ্য করার জন্য রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পর্যন্ত হোমিও চিকিৎসকদের ন্যায্য অধিকার পৌছানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি এ ব্যাক্তি হোমিও হিলিং হোম নামক সর্বাধুনিক চিকিৎসা ও গবেষণা প্রতিষ্টান গড়ে তুলে হোমিও চিকিৎসা জগতে এক বিরল দৃষ্টান্ত চিকিৎসা জগতে স্থাপন করেছেন। এ প্রতিষ্টানে সাপ্তাহের প্রতিদিন সকাল বিকেল অজগাঁ গ্রাম থেকে জটিল কঠিন ও দূরারোগ্য ব্যাধিতে দীর্ঘদিনের আক্রান্ত রোগীগণ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে সফলতা অর্জন করছেন। স্বল্পমূল্যে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে এ প্রতিষ্টান চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছেন। বলা যায়, আলহাজ্ব অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল করিম হোমিও চিকিৎসার এক বিরল উজ্জ¦ল প্রদীপ। চিকিৎসার সাথে চট্টগ্রামের ধর্মীয় সামাজিক অরাজনৈতিক কর্মকান্ডে তার পদচারণা প্রায় অর্ধশতাব্দী। তিনি চট্টগ্রামের ধর্মীয় মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গীর্জা যেকোনো ধর্মীয় কর্মকান্ডে সহযোগীতার হাত সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছেন। চট্টগ্রাম ঈদ জামাত কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল তিনি । এ সংগঠনের মাধ্যমে তিনি চট্টগ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের আন্তরিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি বছর মাহে রমজানুল মোবারককে স্বাগত জানিয়ে এতিম গরীব অসহায় দুস্থদের মাঝে নতুন কাপড় চোপড় ও অন্যান্য ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন। বলা যায়, সম্পূর্ণ নিজস্ব তহবিল থেকে এসব সাহায্য ও সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকেন। তিনি শিক্ষা ও মানব কল্যাণমূলক কর্মকান্ড প্রতিষ্টার জন্য চট্টগ্রাম শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্টা করেছেন। তিনি এ প্রতিষ্টানের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান। এ সংগঠনের মাধ্যমে মহান এ ব্যাক্তি চট্টগ্রামের অসংখ্য এতিম দরিদ্র অসহায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি ও বই খাতা কলম আর্থিক সাহায্য করে থাকেন। এ ছাড়াও তিনি আল্লাহর ঘরের মেহমান মহান হাজী সাহেবানদের কল্যাণে হজ্ব যাত্রী কল্যাণ পরিষদ গঠন করেছেন। তিনি এ পরিষদের মহাসচিব। প্রতিবছর সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব উদ্যোগে আল্লাহর ঘরের মেহমানদের হজ্ব প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকেন। হাজীদের ন্যায্য অধিকার রাষ্ট্রীয় জাতীয় আন্তর্জাতিক সুযোগ সুবিধা প্রতিষ্টার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে আবেদন নিবেদন এ সংগঠন তারই নেতৃত্বে করে থাকেন। তিনি বিশ্ব শান্তি শৃংখলা ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্টার জন্য বিশ্বজনীন শান্তি সংঘ প্রতিষ্টা করেছেন। তিনি এ সংগঠনের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান। এ সংগঠনের মাধ্যমে সংগঠক ডা. অধ্যক্ষ আব্দুল করিম পৃথিবীর সব ধর্ম গোত্র মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ভালোবাসা প্রতিষ্টা করার কথা বলে যাচ্ছেন। তার মানবীয় বাণী ও বক্তব্য পৃথিবীর ক্ষমতাধর নেতৃবৃন্দের নিকট পৌছে যাচ্ছে। অকাতরে তিনি ইসলাম মুসলমানসহ অন্যসব ধর্মের অনুসারীদের ভ্রাতৃত্ববোধ একতা শৃংখলা রক্ষার মাধ্যমে আন্ত:ধর্মীয় শৃংখলা রক্ষার কথা বলে যাচ্ছেন। বলা যায়, মহান এ ব্যাক্তি এ যুগের একজন মহান মানবতাবাদী কর্ণধার। তিনি চট্টগ্রামের পেরেন্টস কেয়ার স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্টাতা। এ কলেজের সার্বিক উন্নতি অগ্রগতির জন্যে তিনি চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বিশেষ অবদান রাখছেন। এ স্কুলের শিক্ষার মান অগ্রগতি উন্নতিকল্পে তার অবদান কোনো অবস্থায় খাটো করে দেখার নয়। স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন অব্যাহত আছে।
তিনি সমাজের একাধারে চিকিৎসক, শিক্ষাবীদ, সমাজসেবক, ধর্মানুরাগী, মানবতাবাদী ও সাম্যবাদী একজন মহান ব্যাক্তি হিসেবে তার কর্মতৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি হজ্ব যাত্রী কল্যাণ পরিষদ গঠন করে হাজী সাহেবানদের খেদমত করে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামের হজ্বযাত্রীগণ হজ্বের সময় নানাভাবে হয়রানী ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাদের ভোগান্তি লাঘবে আল্লাহর ঘরের মেহমানগণ সহজভাবে যেন হজ্ব পালন সম্পন্ন করতে পারেন সেজন্য চট্টগ্রামের পাহাড়তলীস্থ হাজী ক্যাম্প পুনরায় এ অঞ্চলের হাজ্বীদের জন্য চালু করার দাবী করেন। বর্তমানে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী হাজ্বী ক্যাম্পটি নানাভাবে অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। সেটা যদি সঠিকভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এ অঞ্চলের হাজ্বী সাহেবানদের জন্য পুনরায় চালু করা হয় তাহলে চট্টগ্রাম বিভাগের হজ্বযাত্রীগণ উপকৃত হবেন। অধ্যক্ষ ডাক্তার আব্দুল করিম বলেন , চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী। রাজধানীর পরে চট্টগ্রামের স্থান। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে বাংলাদেশের উন্নয়ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে হজ্বযাত্রী কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। স্মারকলিপির মাধ্যমে চট্টগ্রামের হাজ্বী ক্যাম্পটি এ অঞ্চলের হাজ্বীদের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়েছে। এ দাবির সাথে চট্টগ্রামের নানা পেশা শ্রেণীর ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের সমর্থন আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে উন্নয়ন ও অগ্রগতির অগ্রযাত্রায় শামিল রেখেছেন। সে হিসেবে চট্টগ্রামের হাজ্বী ক্যাম্পটি পুনরায় চালু করলে এ অঞ্চলের হজ্বযাত্রীগণ উপকৃত হবেন। তাঁরা আল্লাহর ঘরে গিয়ে দেশ জাতি ও সরকারের জন্য প্রার্থনা করবেন। এ অঞ্চলের ধর্মপ্রাণ জনগণ চট্টগ্রামের হাজ্বী ক্যাম্পটি চালুর দাবি রাখছে।