চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের হাত ধরেই আমরা রাজনীতি শুরু করেছি। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ। আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য এক নেতা। তিনি কেবল চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে এক কিংবদন্তি পুরুষ। তিনি শুধু নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন নেতাদের নেতা, আমাদের সবার অভিভাবক। তাঁর সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন, তাদের বলতে চাই, নিজেদের অভিভাবক শূন্য মনে করবেন না। আমরা আছি, সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো। আমাদের দরজা সবসময় খোলা আছে। আমরাও নোমান ভাইয়ের সৈনিক। আপনারাও যারা আছেন সবাইকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।
বুধবার ৫ মার্চ বিকেলে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের ইসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ কমপ্লেক্স উন্নয়ন ও মুসল্লী পরিষদের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনএসব কথা বলেন। এসময় তিনি আব্দুল্লাহ আল নোমানের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন। দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ আহমেদুল হক। চসিক মেয়র বলেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান কেমন ব্যক্তি ছিলেন আমরা সবাই জানি। চট্টগ্রামে ৮০র দশকে যখন শহীদ জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পরে বিএনপি অনেকটা মৃত হয়ে গিয়েছিল। তখন বিএনপিকে পুনর্জাগরণ করেছে আব্দুল্লাহ আল নোমান। আমরা দেখেছি কিভাবে তিনি একটা দলকে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের পরে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভুমিকা পালন করেছিলেন। তারপরের ভুমিকাও আমরা সবাই জানি। আব্দুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাইদ আল নোমানকে উদ্দেশে করে মেয়র বলেন, তাঁর বাবার যারা নেতাকর্মী আছে, তাদের যেন সে ভুলে না যায়। আশা করছি, সে সবসময় নেতাকর্মীদের পাশে থাকবে। মহানগর বিএনপির আহবায়কসহ সকল নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে একটা পরিবার হিসেবে থাকবো। মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ এখানে কোনো বিভাগ নেই। সবাই মিলে একসাথে কাজ করবো বিএনপির জন্য। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সুযোগ নেতৃত্বে আগামীতে নতুন একটি বাংলাদেশ সৃষ্টি করবো। আগামীতে ক্ষমতায় বসে ৩১ দফাসহ সমস্ত দফা আছে সেগুলো বাস্তবায়ন করবে বিএনপি।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, আব্দুল্লাহ আল নোমানের সন্তান সাঈদ আল নোমান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মো. খান, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন শিকদার, মহানগর বিএনপির সদস্য ইকবাল চৌধুরী, ইস্কান্দার মির্জা, মো. কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন লিপু, টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান, মুসল্লী পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদুর রহমান প্রমূখ।