আনোয়ারায় কৃষি জমিতে কাজ না করায় শিক্ষকের মারধরের জেরে বিষপানে অসুস্থ মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ মোহাম্মদ ফোরকানের মৃত্যু হয়েছে। এক সপ্তাহ চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়। তিনি সরল ইউনিয়নের বদিউল আলমের ছেলে। ২ ফেব্রুয়ারি উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়াস্থ ‘মাদ্রাসা আরবিয়া খাইরিয়া’য় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা রফিকুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার বাসিন্দা। জানা গেছে, ২ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার কৃষি জমিতে কাজ না করায় শিক্ষার্থী হাফেজ মোহাম্মদ ফোরকানকে মারধর করেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। এ সময় ক্ষোভে কীটনাশক পান করে ফোরকান।
নিহত ফোরকানের চাচার মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার সময় মাদ্রাসার পাশের একটি জমিতে কৃষিকাজ না করায় মোহাম্মদ ফোরকানকে মারধর ও বকাঝকা করেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। পরে ওই ক্ষোভে ফোরকান জমির জন্য আনা কীটনাশক খেয়ে ফেলে। এরপর মাদ্রাসার শিক্ষকেরা তাকে প্রথমে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ার পর শিক্ষার্থীর পরিবার ফোরকানকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করায়।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ তোলা হয়। অসংখ্য ছাত্ররাও নানান কথা বলেছেন সাংবাদিকদেরও। ফোরকানের গ্রামের বাড়ী বাশঁখালী ও মাদ্রসা এলাকায়ও গুজবের ফানুষ উড়ছে। এসব বিষয়ে মাদ্রসার কমিটির সভাপতির কাছে ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ না হওয়ায় বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
জানা গেছে,মাদ্রাসা আরাবিয়া খাইরিয়া আনোয়ারা থানার অন্তর্গত পরুয়া পাড়া গ্রামে অবস্থিত। এটি প্রতিষ্ঠা করে আল্লামা আবুল খাইর। এই মাদ্রসার বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন আবরার সালেহ ও সভাপতি হলেন সুহাইল সালেহ।আবরার সালেহ ও সুহাইল সালেহ সহোদর ভাই। এ মাদরাসার অধীনে একটা লাইব্রেরি, একটি হাসপাতাল ও একটি মহিলা মাদরাসা রয়েছে।
১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রসায় নাজেরা বিভাগ, হিফজুল কুরআন বিভাগ, কিতাব বিভাগ (মিশকাত শ্রেণি পর্যন্ত)সর্টকোর্স বিভাগ (৫ম বর্ষ পর্যন্ত), বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য বিভাগ, ও আইটি বিভাগ শিক্ষা দেয়া হয়। এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ২০ জন। ১০০০-এর অধিক ছাত্র রয়েছে।