চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উপর বৃটিশ সরকার কর্তৃক নির্মিত শতবর্ষী পুরাতন মেয়াদোত্তীর্ণ লক্কড়-ঝক্কর কালুরঘাট সেতুতে নতুন করে টোল আদায়ের ইজারা বাতিলের দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবী জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুতে শত বছর ধরে টোল আদায়ের নিয়ম নেই। দেশের শত শত সেতুতে নির্মাণ খরচ উঠে যাওয়ার পর টোল উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি নির্মাণ খরচ উঠে যাওয়ায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দাবীর প্রেক্ষিতে বিগত সরকার একদশক আগে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাবুবাজার সেতু ও পোস্তগোলা সেতুসহ দেশের বিভিন্ন সেতুর টোল সরকার উঠিয়ে নিয়েছেন। কালুরঘাট সেতুর নির্মাণ খরচ ৭০ থেকে ৮০ বছর আগে উঠে গেছে। চট্টগ্রাম শহরের চান্দগাঁও-বোয়ালখালী তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সেতু বহু আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুতে পরিণত হয়েছে। বিগত সরকার এখানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য নানা সময়ে নানান ভাবে প্রতিশ্রুতি দিলেও সেতুটি নির্মাণে তাল-বাহানা করায় এতদাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগের পাশাপাশি তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্বৈরাচারের দোসর এক প্রতিষ্ঠান রেল কর্তৃপক্ষের সাথে আতাঁত করে দীর্ঘদিন যাবৎ মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুটিতে গলাকাটা হারে টোল আদায় করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তারা পালিয়ে গেলে এই সেতুর টোল আদায় বন্ধ হওয়ায় জনমনে স্বস্তির সুবাতাস মিলেছে। আবারো একই প্রতিষ্ঠান রেল কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে টোল আদায়ের ইজারা পাওয়ায় টোলের নামে নৈরাজ্য চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এমন পরিস্থিতিতে শতবর্ষী পুরাতন মেয়াদোর্ত্তীণ লক্কড়-ঝক্কর কালুরঘাট সেতুতে নতুন করে টোল আদায় শুরু হওয়ায় মানুুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ আরেক দফা বেড়েছে বলে দাবী করেন সংগঠনটি। অনতিবিলম্বে এই সেতুর টোল ইজারা বাতিল করা। তাল-বাহানা বন্ধ করে জরুরীভিত্তিতে নতুন সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করার দাবী জানান তিনি।