ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মহাসচিব শায়খুল ইসলাম অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন- ছাত্ররা হচ্ছে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার এবং দেশের চালিকাশক্তি। জাতীয় জীবনের সর্বপ্রকার অর্জনের পরতে পরতে রয়েছে ছাত্র সমাজের অমূল্য আত্মত্যাগের কীর্তিগাঁথা। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, স্বাধীনতা পরবর্তীতে ছাত্ররা পরিণত হয় মহল বিশেষের ক্রীড়নকে। সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি, হল দখল, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের অসম প্রতিযোগিতা তাদের নিত্যকর্মে পরিণত হয়। এমনকি টেণ্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখল- বেদখল, ইভটিজিংসহ ইত্যাকার অনৈতিক ও গর্হিত কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ায় ক্রমাগত ম্লান হতে থাকে ছাত্র রাজনীতির অতীত ঐতিহ্য। ফলে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি আদর্শিক জাতি গঠন মূল লক্ষ্য হলেও সেই গণ আকাঙ্ক্ষা এখনো গুমরে মরছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন- চট্টগ্রামের দূঃখখ্যাত জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, চট্টগ্রামকে বানিজ্যিক রাজধানী ঘোষনার বাস্তবায়ন, অবিলম্বে কালুরঘাট সেতুর পূনঃ নির্মানে পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । এছাড়া সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক শতাধিক পণ্যের উপর শুল্ক-কর বৃদ্ধির বিষয়টিকে জনবান্ধব নয় বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান। উপরন্তু দেশব্যাপী মাজার- মসজিদে হামলা ভাংচুর, শিক্ষকদের হেনস্তা পূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনায় সরকারের নির্লিপ্ততার কঠোর সমালোচনা করেন। ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা ওলিউর রহমান বলেছেন- সুস্থধারার ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে ইসলামী ছাত্রসেনা নিরবচ্ছিন্ন কাজ আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। তাই তিনি ইসলামী ছাত্রসেনার পতাকাতলে সমবেত হওয়ার জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
ইসলামী ছাত্রসেনার ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অদ্য ২১ জানুয়ারী ‘২৫ ইং মঙ্গলবার বিকেল ২ টায় চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আয়োজিত বিশাল ছাত্র সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ছাত্রনেতা রাশেদুল ইসলাম রাসেল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মহাসচিব শায়খুল ইসলাম অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর ভইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, আল্লামা সালেহ আহমদ আনসারী, ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ রফিক কোম্পানি, যুগ্ম মহাসচিব স, ম হামেদ হোসাইন। বক্তব্য রাখেন – এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, স ম শহিদুল হক ফারুকী, মাওলানা জাকের আহমদ সিদ্দিকী, অধ্যাপক ছৈয়দ হাফেজ আহমদ, ছৈয়দ মাওলানা রফিকুল ইসলাম তাহেরী, মাওলানা মমতাজ উদ্দীন হোসাইনী, অধ্যক্ষ ছৈয়দ মাওলানা আবু সালেহ, এস এম আবদুল করিম তারেক, মাওলানা জয়নাল আবেদীন জিহাদী, স ম শওকত আজিজ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা ওলিউর রহমান। বিশেষ বক্তা ছিলেন -ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী,
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- হাজী মোহাম্মদ আলম রাজু, মাস্টার আনোয়ারুল আজিম, মাওলানা এ এম মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, ডাঃ হাসমত আলী তাহেরী, এম কফিল উদ্দীন রানা, মাওলানা কাজী মফিজুর রহমান, কাজী আহসানুল আলম, এস এম আবু সাদেক ছিটু, এম আহমদ রেজা, মোহাম্মদ ইউসুফ কবির, আবদুল্লাহ আল মুমিন, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফোরকান আলম, মাসরুর রহমান প্রমূখ।