নিজস্ব প্রতিবেদক
দক্ষিণ চট্টগ্রামে নাম্বারবিহীন অবৈধ সিএনজি থেকে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ মাসে কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা গেছে , দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলা ও কক্সবাজারের পেকুয়া, চকরিয়া উপজেলার মিলে প্রায় ১৫ হাজার নাম্বারবিহীন অবৈধ সিএনজি চট্টগ্রাম-কক্সাবাজার মহাসড়কে চলাচল করছে। সিএনজিগুলো চলাচল করতে পটিয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই আব্দুল্লাহ, আনোয়ারা চৌমুহনী ট্রাফিক পুলিশের টিআই রফিক আহম্মদ মজুমদার, পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমানকে দিতে হয় গাড়ি প্রতি বিশেষ টোকেনের মাধ্যমে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা।
৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর কিছুদিন ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ থাকলেও বর্তমান সময়ে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ মিলে ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে বলে অটোরিক্সা, সিএনজি মালিক ও শ্রমিক সংগঠন সুত্রে জানা গেছে । নাম্বারবিহীন সিএনজিগুলো পটিয়া এবং কর্ণফুলী মইজ্যারটেক গ্যাস পাম্পে প্রতিদিন নিয়মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে আসতে হয়। সিএনজি গ্যাস পাম্পের আসার সুযোগে মাসোহারা নিয়ে গাড়িগুলো চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে। মাসোহারা বকেয়া থাকলে সিএনজি গাড়িগুলো ধরে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ মামলার ভয় দেখান বলে সিএনজি চালকদের অভিযোগ রয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা থেকে সিএনজি চালক শিমুল দাশ জানান, মইজ্যারটেক সিএনজিতে পাম্পে গ্যাসের জন্য আসতে হলে প্রতিমাসে আনোয়ারা চৌমুহনী ট্রাফিক পুলিশের টিআই, হাইওয়ে পুলিশের ওসি, মইজ্যারটেক টিআইর নামে প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে তিনটা টোকেন ৯০০ টাকা দিয়ে নিতে হয়, টাকা বকেয়া থাকলে রাস্তা থেকে আটকে রেখে মামলা দিয়ে ‘টু’ করে দেয়।
অটোরিক্সা হালকা যান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ বলেন, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে অনেকে পরিবহন ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। সব কাগজ পত্র ঠিক থাকলেও মাসোহারা না পেলে বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করেছিলাম। পরিবহন শ্রমিক নামধারী কিছু দালালদের মাধ্যমে মাসে কয়েক কোটি টাকা চাঁদাবাজি করা হচ্ছে ।এগুলো বন্ধ না হলে পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নামবে বলে তিনি ঘোষনা দেন। পটিয়া হাইওয়ে ক্রসিং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের সাথে চাঁদা বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য ফোন করা হলেও ফোন ধরেনি তিনি।
পটিয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, নাম্বারবিহীন অবৈধ গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেয়া হচ্ছে প্রতিদিন কয়েকটি গাড়িকে মামলা দিচ্ছি, চাঁদাবাজির বিষয়টি তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। আনোয়ারা চৌমুহনী ট্রাফিক পুলিশের টিআই রফিক আহম্মদকে ০১৭১১ ৩৭১৮২০ নাম্বারে পর পর কয়েকবার ফোন করলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।