1. banglapostbd@gmail.com : admin :
  2. admin@purbobangla.net : purbobangla :
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীর ঘনিষ্ট রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ঠিকাদার শাহ আলম'র অনিয়ম তদন্তে মন্ত্রণালয় মাঠে নেমেছে - পূর্ব বাংলা
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
একটি আদর্শিক জাতিগঠন মূল লক্ষ্য হলেও সেই গণআকাঙ্ক্ষা এখনো গুমরে মরছে- অধ্যক্ষ আল্লামা জুবাইর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কবি সাহিত্যিকদের এক মিলনমেলা! চট্টগ্রামে ৫ টন লোহার স্ক্র্যাপসহ ৭ চোর আটক করেছে কোস্ট গার্ড এসকে সুরের বাসায় দুদকের অভিযান মিলল যত টাকা বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি ক্যুইবেক কানাডা’র ২৮তম বর্ষপূর্তি পালন হেফাজতে ইসলাম চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানার কমিটি গঠন আনোয়ারা, পটিয়া ও হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি প্রকাশ্যই মুখে আশেকে রাসূল বললে আশেকে রাসূল হয় না, আশেকে রাসূল হয় আমলে -ছারছীনার পীর ছাহেব আনোয়ারায় বরুমচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আটক  ৫ আগস্ট হলো রাজনীতিবিদদের দীর্ঘদিনের ত্যাগ সংগ্রামের ফল বললেন কর্ণেল অলি

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীর ঘনিষ্ট রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ঠিকাদার শাহ আলম’র অনিয়ম তদন্তে মন্ত্রণালয় মাঠে নেমেছে

পূর্ব বাংলা ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময়ঃ সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

নিয়োগ-লিজ-টেন্ডার সিন্ডিকেটের প্রধান কে এই শাহ আলম ?

চট্টগ্রাম রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মচারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীর ঘনিষ্ট ঠিকাদার শাহ আলমের বিরুদ্ধে রেল মন্ত্রণালয় তদন্তে শুরু করেছে। গত ১৫ বছরে শাহ আলম একক নিয়ন্ত্রণে লাভজনক সব কাজ ভাগিয়ে নিয়ে কোটি কোটি টাকা কামানোর দাবী করছে কাজ না পাওয়া বিএনপি জামাত সমর্থিত ঠিকাদারগণ।
রেল সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ে উপদেষ্টা বরাবরে পূর্বাঞ্চল রেলের অবসরপ্রাপ্ত নিম্নমান সহকারী আবদুল হাই সরকারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (পূর্ব), বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ রেলওয়ে কমলাপুর (ঢাকা) কর্মকর্তা, বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (পূর্বাঞ্চল), চট্টগ্রাম‌ স্টেশন ম্যানেজারসহ সিনিয়র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত নির্দেশ দিয়েছেন রেল মন্ত্রণালয় ।
জানা যায়, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত ঠিকাদার শাহ আলম বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের রেলমন্ত্রীর আত্মীয় হওয়ার সুবাদে পূর্বাঞ্চল রেলের নিয়োগ-লিজ-টেন্ডার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন।  যখন যে সরকার আসুক ওই সরকারের প্রভাবশালীদের মন্ত্রী-সচিব ও মহাপরিচালকে ম্যানেজ করেই পূর্বাঞ্চল রেলের সকল নিয়োগ-টেন্ডার-লিজ নিয়ন্ত্রণে নেন শাহ আলম সিন্ডিকেট।
গত ৫ আগস্টের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের শাহ আলম সিন্ডিকেটের সদস্য করে রেল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিব ও রেল সদর দপ্তরের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন শাহ আলম।
রেলওয়ে উপদেষ্টা কাছে পূর্বাঞ্চল রেলের অবসরপ্রাপ্ত নিম্নমান সহকারী আবদুল হাই সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতেই বেরিয়ে আসছে  চাঞ্চল্যকর ভয়াবহ এই সকল তথ্য।
সাবেক রেলমন্ত্রী সঙ্গে শাহ আলম ও তার সহযোগীরা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের সুদৃষ্টিতে আসার জন্য শাহ আলম জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার উপর গুলি বর্ষণ ও গ্রেনেট হামলা চালায় তার ব্যবসায়িক পার্টনার চট্টগ্রামের  হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও তার অনুসারীরা।
শাহ আলমের ব্যবসায়িক পার্টনার হেলাল আকবর চৌধুরী ও তার সহযোগীরা একাধিক মামলার আসামি হয়ে আত্মগোপনে গেলেও শাহ আলম রয়েছে এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, শাহ আলম সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম নগরীর আইসফ্যাক্টরি রোডে রেলের কাছ থেকে এক বছরের জন্য দুই দশমিক তিন একর জমি লিজ নেন । আইস ফ্যাক্টরি রোড ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেড ও চুনার গুদাম ট্রাক মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে মূল্যবান জমি এক বছরের জন্য লিজের লাইসেন্স নেন। দুটি সমিতির সভাপতি জহির আহমদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম।
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক রেলের ভূসম্পদ বিভাগের সাবেক একজন কর্মকর্তা বলেন, আইসফ্যাক্টরি রোডের জমিটি খুবই মূল্যবান। ষাট দশকে জমিটি চুনারগুদাম ট্রাক মালিক সমিতির কাছে একবার লিজ দেয়া হয়েছিলো। ওই সূত্র ধরে শাহ আলম যখন এ জমি লিজের জন্য আবেদন করেন তখন ভূসম্পদ বিভাগ দ্বিমত করেছিলো। কারণ দোহাজারী-ঘুনধুম রেল লাইনের চট্টগ্রাম অংশের কাজ শুরু হলে সেই জমি প্রয়োজন হবে রেলের। ঘুনধুম লাইনের ট্রেনের প্লাটফরম করতে সেই জমি প্রয়োজন হবে। ভবিষ্যতে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরের সাথে যুক্ত হবে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন। ট্রান্স এশিয়ান রেল নেটওয়ার্কের আওতায় এ রেলপথ সিঙ্গাপুর, চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যন্ড ও কোরিয়া হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভূসম্পদ বিভাগ বিরোধিতা করলেও পূর্বাঞ্চল রেলের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক জমিটি লিজ দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
২০১৮ সালের শেষের দিকে আইসফ্যাক্টরি রোডে শাহ আলম রেলের জমি লিজ নিয়েছেন ২ দশমিক ০৩ একর। তারপরও তার নজর সরেনি রেলের জমি থেকে। এতে আরো ১ দশমিক ৬৮ একর জমি দখলে নিয়ে শক্ত স্থাপনায় গড়ে তুলেছেন মার্কেট। প্রতিটি দোকান দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করে বিক্রি করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, কোনটি ১৫ লাখ কোনটি ২০ লাখ আবার কোনটি ২৫ লাখ টাকায় দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তিতে দোকান কিনেছেন ব্যবসায়ীরা।
শাহ আলম একাধিক গণমাধ্যমকে জানান, আইস ফ্যাক্টরি রোডের জমিটি এক বছরের জন্য লিজ নিয়ে লিজের শর্ত মেনেই শাহ আমানত মার্কেট তৈরি করা হয়েছে। এতবড় মার্কেট আমার একার পক্ষে করা সম্ভব নয় বিধায় একটি ডেভলপার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে মার্কেটটি নির্মাণ করা করিয়েছি। এক বছরের লিজ নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী দোকান বিক্রি করা প্রসঙ্গে শাহ আলম গণমাধ্যমকে আরো জানান, দোকান বিক্রয়ের সময় ক্রেতাদের বলে দেয়া হয়েছে জমিটি এক বছরের জন্য লিজ নেয়া হয়েছে। তারা সবকিছু জেনে শুনেই নিয়েছেন। তবে রেল সন্তুুষ্ট থাকলে মেয়াদ শেষে লিজের লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ভূ-সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শাহ আলমের নামে আইসফ্যাক্টরি রোডে ২ দশমিক তিন একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি সেখানে অস্থায়ী সেমিপাকা দোকান করার কথা বলে এক বছরের জন্য লিজের লাইসেন্স নিয়েছেন। এই লাইসেন্সটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী। লাইসেন্সকৃত স্থানে কোনরকম পাকা স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। ভবিষ্যতে রেলওয়ে বা সরকারিকারের নিজস্ব কাজে প্রয়োজন হলে এই ভূমির লাইসেন্স বাতিল করা হলে এক মাসের নোটিশে রেলভূমি খালি করে নিষ্কন্টক দখল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে বাধ্য থাকবে। এক্ষেত্রে লিজগ্রহীতা কোন ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে না। এমনকি রেলের বিরুদ্ধে আদালতে কোন মামলাও করতে পারবে না। নিজ খরচে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যবস্থাও লিজ গ্রহীতা করবেন। সর্বদা এ ভূমি অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে হবে। কোনমতেই এসব জমি কারো কাছে হস্তান্তর করতে পারবে না এবং নির্মিত দোকান বিক্রি করতে পারবে না।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে আইস ফ্যাক্টরি রোডের ওই মার্কেট সরেজমিনে পরিদর্শন করছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিন সদস্যের একটি টিম।
দুদক সূত্রে জানা যায়, জায়গাটি খুবই কম মূল্যে ইজারা দেয়া হয়েছে। নিয়ম না মেনে ইজারা নিয়ে সেখানে মার্কেট গড়ে তোলা হয়েছে, কিভাবে কোন শর্তে মূল্যবান জমিটি ইজারা দেয়া হয়েছে তার তথ্য চেয়ে রেলের ভূসম্পদ কর্মকর্তার কাছে চিঠি দেয়াও হয়েছে। কিছু কাগজপত্র দিয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় মূল কাগজপত্র দেয়নি।
দুদক সূত্রে আরো জানা যায়, কাগজপত্রের তাগাদা দিয়ে রেলকে ফের চিঠি পাঠানো হলেও পূর্বাঞ্চল রেলের কর্মকর্তাদের রহস্যজনক  কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
এসব জমি ইজারা নেওয়ার সময় রেলওয়ের তৎকালীন জেনারেল ম্যানেজারের সইও জাল করেন বলে গুঞ্জন রয়েছে শাহ আলমের বিরুদ্ধে  ।
চট্টগ্রাম পুরোনো ও  রেলওয়ে স্টেশনের হোটেল হেরিটেজ দখলে রেখেছেন ১৪ বছর ধরে।ওই হোটেলে মাদক ও পতিতা বাণিজ্য করার অভিযোগও রয়েছে  শাহ আলমের বিরুদ্ধে।.চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের একটি ফ্লোর কম মূল্যে ইজারা নিয়ে উচ্চমূল্যে তৃতীয় পক্ষকে ভাড়া দিয়ে পাচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।
পূর্বাঞ্চল রেলের জমি লিজ নেয়াই তাঁর প্রধান পেশা।রেলে যা চান তাই পেয়েছেন শাহ আলম। কখনো নিজের নামে কখনো স্ত্রী ইয়াসমিন আলমের নামে রেলের জায়গা ও দোকানপাট কৌশলে ভাড়া ও টেন্ডারের নামে হাতিয়ে নেন। এরপর রেলের জায়গায় স্থায়ীভাবে গেঁড়ে বসেন। রেলের জমি দখলে রাখতে প্রয়োজনে আদালতে মামলা টুকে দেন। সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে স্ত্রীর নামে জমি লিজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন তাসফিয়া গার্ডেন নামের একটি রেস্টুরেন্ট। ওই রেস্টুরেন্ট তৃতীয় আরেকজনকে ভাড়া দিয়েছেন। আইস ফ্যাক্টরি রোড এলাকায় রেলের জমিতে গড়ে তুলেছেন স্বপ্নীল গ্রামার স্কুল। তিনি ওই  স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ দাবী করেন বিভিন্ন স্থানে। তাছাড়া পাহাড়িকা, উদয়ন ট্রেনের খাবার সরবরাহের ঠিকাদারও তিনি। চট্টগ্রাম পুরাতন রেলে স্টেশনের হোটেল হেরিটেজও লিজ নিয়েছেন তিনি। তাছাড়া চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত রেলের প্রতিটি স্টেশনেই রয়েছে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
পূর্বাঞ্চল রেলের প্রভাবশালী শাহ আলম সিন্ডিকেটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-শাহ আলমের মালিকানাধীন এসএ করপোরেশন ও ইউনিক ট্রেডার্স, নওফেল আহমেদের মেসার্স হাইটেক কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং মো. বিল্লাল হোসেনের (বেলাল হুজুর নামে পরিচিত) মোহাম্মদী ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইউনিকন লিমিটেড।
২০১৯ সালের আগে এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কনস্ট্রাকশন কাজের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও ২০২০-২০২১ , ২০২১-২০২২, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে অভিজ্ঞতার ভুয়া সনদ দিয়ে কোটি কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিয়েছে শাহ আলম সিন্ডিকেট। অভিযোগ আছে, নিজেদের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে কাজ বাগিয়ে দিতেও তারা সহযোগিতা করে। এক্ষেত্রে কাজ পেতে ১০ পার্সেন্ট কমিশন গুনতে হয় ঠিকাদারদের। এর মধ্যে কাজভেদে ২-৫ পার্সেন্ট প্রধান প্রকৌশলী, ২ পার্সেন্ট জেনারেল ম্যানেজার এবং ১ পার্সেন্ট অর্থ ডিএনকে (ডিভিশনাল চিফ) দিতে হয় বলে অভিযোগ আছে। বাকি অর্থ যায় সিন্ডিকেট হোতাদের পকেটে।
এছাড়াও ১৫ বছর যাবত রেলের পরিত্যক্ত স্ক্রাফ টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন শাহ আলম সিন্ডিকেট। রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ৩০-৪০ টাকায় স্ক্রাব টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয় করে উক্ত স্ক্রাব ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি করে আয় করেন কোটি কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগকৃত রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তদন্তের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রেল সদর দপ্তরে অবস্থান করছেন শাহ আলম ও তার সহযোগীরা।
এই রিপোর্ট তৈরী ও আপলোড দেবার আগে অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য শাহ আলমের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন ও ওয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ করেও কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) জেনারেল ম্যানেজার মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটির বিষয়টি শুনেছি, রেল মন্ত্রণালয় থেকে সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারাও আসবেন।  ভূ-সম্পত্তি বিভাগ এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

শেয়ার করুন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 purbobangla