বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে সাইফুল ইসলামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে সেখানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শাহাজাহান চৌধুরী ও আইনজীবী নেতারা। তারা সাইফুলের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা ও জঙ্গিবাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানান।
প্রথম জানাজা শেষে সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ নগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাজারো শোকাহত মানুষের ঢলে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নিতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ চৌধুরী,চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
জানাজায় ইমামতি করেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শাহাজাহান চৌধুরী।
এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের পারাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামে ইসকন নেতা ,বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীরা সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।