মুহাম্মদ সেলিম
আমি আ.লীগ নেতা,আমাদের কোন দলিল লাগে না,আমাদের মুখের কথায় হচ্ছে দলিল,ফের জায়গায় আসলে লাশ ফেলে দিব, এভাবেই এক ব্যবসায়ী’কে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা জি এম আনু মিয়ার বিরুদ্ধে।
২৮অক্টোবর সোমবার বিকালে কর্ণফুলী থানায় আওয়ামী লীগ নেতা জিএম আনু মিয়া ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন মো: নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫জুন বিকাল চারটার দিকে ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম শ্রমিকদের নিয়ে তার মালিকানাধীন জায়গায় কাজ করতে গেলে ১নং অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য জি এম আনু মিয়া শ্রমিকদের কাজে বাধা প্রধান করেন শ্রমিকদের অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে অতর্কিত হামলা চালায়, এক পর্যায়ে আমাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা আমাদের এরপর জায়গায় আসলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে আমি নিরুপায় হয়ে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের নিকট বিচার চাইতে গেলে অভিযুক্ত আনু মিয়া সকলের সামনে হামলার বিষয়ে অস্বীকার করে ৫ লক্ষ্ টাকা চাঁদা দাবি করে,অন্যতায় আমাকে ও আমার পরিবার’কে প্রাণে মারার হুমকি প্রধান করেন।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, সবশেষ গত ১৫এপ্রিল ২৪ সকাল ১০টার দিকে ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম ফের শ্রমিকদের নিয়ে তার মালিকানাধীন জায়গায় কাজ করতে গেলে ১নং অভিযুক্ত আনু মিয়া ওই জায়গায় তার অংশ রয়েছে বলে আবারও শ্রমিকদের কাজে বাধা প্রধান করেন এবং ফের ৫লক্ষ্ টাকা চাঁদা দাবি করে।আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে জায়গা জবর দখল করে জোরপূর্বক বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি দেন। অভিযুক্ত’কে আমি জায়গার কাগজপত্র দেখাতে বললে আনু মিয়া সজোরে চিৎকার করে বলেন, “আমি আ.লীগ নেতা,আমাদের কোন দলিল লাগে না,আমাদের মুখের কথায় হচ্ছে দলিল,ফের জায়গায় আসলে লাশ ফেলে দিব’ বলে জনসম্মুখে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে যান।
এতে আমি নিরুপায় হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিলে চেয়ারম্যান একটি সালিশি কমিটি গঠন করে দেয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ তথা দলিল পত্র জমা দেওয়ার কথা বলেন, আমি জায়গার সকল কাগজপত্র জমা দিলেও অভিযুক্ত জি এম আনু মিয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি ।
সবশেষ,৫ আগষ্ট ছাত্র জনতা গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে গেলেও থেমে নেয় তাদের অপকর্ম,দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিতে এখনো আগের মতোই সরব রয়েছে কর্ণফুলীর একাধিক আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নেতারা আত্মগোপনে থেকে তাদের পালিত দোসরদের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় এখনো জবর দখল,অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির মত বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে একাধিক সূত্রে উঠে এসেছে।