ঢাকা অফিস
হোটেল পার্ক ভিউ, সকালে হোটেল পার্ক ভিউ হলেও রাতে হয়ে যায় পতিতা আর মাদকের নঙ্গরখানা!যেখানে রাতজুড়ে চলে নাচ-গান আর মদের আসর।
আর এসবে নেপথ্যে রয়েছে মোঃ তানভীর তিনি নিজেকে হোটেলর মালিক বলেও দাবী করেন।
তবে উল্লেখ যে হোটেল পার্ক ভিউ আগের নাম ছিলো রিরা হোটেল মোঃতানভীর আর তার বেশ কিছু বন্ধু রা মিলে রিরা হোটেল কে ক্রয় করে হোটেল পার্ক ভিউ নাম দেয়।এই হোটেলর বিরুদ্ধে আগেও গুলশানের স্থানীয় বাসিন্দারা থানা অভিযোগ করে ছিলো বলে জানা যায়।
পুরো রাত উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে নাচা-নাচির মধ্যে দিয়ে চলে পতিতা ও মদের আসর।
নিয়মিত ৪/৫ জন মহিলা গিয়ে ঐ হোটেলের রাতের আসরে যোগদান করে তারপর হোটেল থাকা অতিথিরা ঐ পার্টিতে যায় এবং তাদের পছন্দ অনুযায়ী রমনী নিয়ে তারা আমোদপ্রমোদ করে।
উক্ত হোটেলে বিক্রি করা হয় প্যাক আকারে বিদেশি মদ যদিও তাদের কোনো মদ বিক্রির লাইসেন্স নেই।
তাদের রিসিপশনে থাকা কর্মচারীদের মুখ থেকে শোনা যায়, প্রিমিয়াম প্যাক ১০০০/১২০০টাকা।
এবিষয়ে গুলশান থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে কোনো বক্তব্য দিতে চান না বলে জানিয়ে দেন।
তবুও প্রশ্ন থেকে যায় কাদের সাহায্য নিয়ে তারা গুলশান ২ ৬৮/এ বাড়ি নং ১৫ কে পতিতালয় ও মাদকের রাজ্যে পরিনত করছে?
বিদেশি মদ বিক্রয় করার বিষয় নিয়ে জানতে, যোগাযোগ করা হয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ঢাকা)
প্রথমে তাদের থেকে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া না গেলেও
পরে তারা জানান, হোটেল পার্কভিউ কাছে বিদেশি মদ বিক্রি করার কোনো এক্তিয়ার নেই।
এবং তাদের থেকে আর একটি তথ্য পাওয়া যায় এই হোটেলের নামে অবৈধ ভাবে মাদক বিক্রির করার জন্য মামলা রজু করা আছে।
এবিষয়ে পার্কভিউ হোটেল মালিক তানভীর এর সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে ঐ হোটেলের স্টাফ (রনি) ছদ্দনাম এর সাথে ছদ্দবেশে যোগাযোগ করা হয় এবং তাকে জিজ্ঞেস করা হয় বিদেশি মদের ব্যবস্থা করে দেয়া যাবে নাকি?সে খুব সহজে উত্তর দিলো দেয়া যাবে। এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করা হলো গতকাল তো আপনাদের হোটেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করেছে কোনো সমস্যা হবে কিনা?তার বিপরীতে উত্তর! এরা কি ‘বাল’ করবে?
আমরা কি স্টক রেখে ব্যবসা করি নাকি? এমনে রুমের মধ্যে পেলে গেস্টদের সমস্যা হয় আর কি।গুলশান থানা আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যেনো তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে! এমন সাহস তারা পাচ্ছে কিভাবে? মাসোহারা দিয়ে? নাকি কারো ছত্রছায়া তে?