মোঃ ইকবাল হোসেন, ঢাকা
বায়রার ৯ জন কার্যনির্বাহী সদস্যের পদত্যাগ ও সভাপতিসহ কয়েকজন সদস্য পলাতক থাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রশাসক নিয়োগ করে দ্রুত, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলনে এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) এর সদস্যবন্দ এই দাবী জানান।
রবিবার ২৬ অক্টোবর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সাগর রুনি মিলনায়তনে এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন,৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত বায়রার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বাংলাদেশএসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সী (বায়রা)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির ২০২২-২০২৪টা সালের নির্বাচনে মোট ২৭টি পদের মধ্যে আমাদের সম্মিলিত সমন্বয় আওয়ামী যুবলীগের উত্তরের সাবেক সভাপতি ফ্যাসীবাদি পতিত শাসকের পদধারী নেতা বায়রা’র পলাতক প্রেসিডেন্ট আবুল বাশার ও সিভিকিটের অনত্যম হোতা রূছল আমির স্বপদের উক্তিতে এবং পারস্পরিক যোগসাজসে আমাদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজ উদ্যোগে হাইকোট কর্তৃক দ্বিতীয় স্থগিত আদেশটিও স্থগিত করার ব্যবস্থা করেন।
তারা বলেন, আমরা মনে করি বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সদস্যদের মতামতের প্রতি অসম্মান ও বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করার প্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়। এ রকম একটি পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ডের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে তারা পুরনো পতিত স্বৈরাচারের দোসর, সিন্ডিকেটের হোতাদেরকে জিতিয়ে এনে বায়রাকে অকার্যকর ও পকেট সংগঠনে পরিণত করার ফন্দি আঁটছে। এরই মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট কর্তৃক একটি ইসি কমিটির বৈঠক আহবান করা হলে সদস্যদের মধ্যে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়ার সহ-সভাপতি মিটিংটি বাতিল করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু পতিত ফ্যাসিবাদের দোসর পলাতক সভাপতি এবং তার পদলেহনকারী অবৈধ মহাসচিব সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে মিটিংটি সম্পন্ন করে পলাতক নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তে তাদের একজনকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে পুনরায় নির্বাচন কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই প্রতিবাদে বায়রার ভাবপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি-১. নোমান চৌধুরী, বৈধ মহাসচিব । শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, যুগ্ম মহাসচিব ১. । ফখরুল ইসলাম এবং কালচারাল সেক্রেটারি রেহানা পারভীন সহ ৯ জন বায়রার সকল পদ এবং ইসি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। বর্তমান বায়রা’র প্রেসিডেন্ট পলাতক, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ১ সহ ৯ জন পদত্যাগ করেছেন এবং বেশ কয়েকজন আওয়ামী ফ্যাসীবাদের সদস্যও পলাতক রয়েছেন। ফলস্বরূপ বায়রা দৃশ্যত অকার্যকর। তাই আমরা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্বারা গঠিত বর্তমান বায়রার কমিটি ভেঙে দিয়ে অবিলম্বে একজন প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে বায়রায় একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে ভাবপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, নোমান চৌধুরী, শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, ফখরুল ইসলাম, রেহানা পারভীন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।