দলবাজিমুক্ত ও লেজুরবৃত্তিহীন সাংবাদিকতার অঙ্গীকার ও সাংবাদিকদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয়ে অবশেষে যাত্রা শুরু করলো নবগঠিত ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি’ (বি,এস,সি) নামের নতুন একটি কেন্দ্রীয় সাংবাদিক সংগঠন। ঢাকার অদূরে (দোহার) পদ্মাপাড়ে শুক্র ও শনিবার দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বৃহত্তর এক সাংবাদিকদের মিলনমেলা থেকে এ কেন্দ্রীয় সাংবাদিক সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
প্রথমদিনে (শুক্রবার) কক্সবাজার থেকে আগত সুদীর্ঘ ৫৩ বছরের পেশাদার সাংবাদিক, দৈনিক রুপালী সৈকত সম্পাদক-প্রকাশক ফজলুল কাদের চৌধুরী এ সাংবাদিক মিলনমেলার শুভ উদ্বোধন করেন। এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে এতে সূচনা বক্তব্য দেন সাংবাদিক মিলনমেলার মূল উদ্যোক্তা, একাধিকবার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সিনিয়র অনুসন্ধ্যানী সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন।
সমাপনী দিনে ‘অতিথি’ হিসেবে উপস্থিত থেকে মিলনমেলায় সারাদেশ থেকে আগত দুই শতাধিক মূল ধারার সাংবাদিককে এই প্রথম ব্যতিক্রমী এক আয়োজনে ‘শপথ বাক্য’ পাঠ করান দেশের বরেণ্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, অনুকাব্যের জনক খ্যাত প্রথম আলোর সাবেক মফস্বল সম্পাদক দন্তস্য রওশন। পরে সর্ব সম্মতভাবে একুশে টিভি ও জনকন্ঠের সাংবাদিক এম এ রায়হানকে ‘আহবায়ক’ এবং সময় টিভি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক আলপনা বেগমকে ‘সদস্য সচিব’ করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কমিউনিটি’র (বি,এস, সি) একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটিতে আরও ৯ জনকে যুগ্ম আহবায়ক করা হয়। এঁরা হলেন, আফজাল হোসেন (এনটিভি), শাহ আলম শাহী (চ্যানেল আই), গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু (প্রতিদিনের বাংলাদেশ), হাবিব সরোয়ার আজাদ (যুগান্তর), আজহারুল হক (প্রথমআলো), মোঃ কামাল উদ্দিন (বৈশাখী টেলিভিশন), হায়দার হোসাইন (বাসস), এম এ আকরাম (নয়াদিগন্ত) ও সোহাগ আরেফিন (দৈনিক দেশবাংলা)। এছাড়া এ সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন এবং প্রবীণ সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী ও কাজী মিরাজ এর নাম ঘোষণা করা হয়। পরে সারাদেশ থেকে আগত আরও ৪০ জনকে আহবায়ক কমিটিতে ‘কার্যকরী সদস্য’ রাখা হয়।
আয়োজকেরা জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যে এ ‘আহবায়ক কমিটি’ বৃহত্তর ১৯ জেলায় আঞ্চলিক কমিটি গঠন করাসহ গণতান্ত্রিক উপায়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কার্যনির্বাহী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দায়িত্ব পালন করবে। অনুষ্ঠানে দেশের চলমান ‘দলবাজি ও লেজুরবৃত্তি’র সাংবাদিকতা থেকে বের হয়ে দলনিরপেক্ষ বিশুদ্ধ সাংবাদিকতায় ফিরে আসার আহবান জানিয়ে বলা হয়, গণমাধ্যমের প্রতি শতভাগ আস্থা ফিরিয়ে আনতে সর্বাগ্রে দেশের প্রকৃত ও সৎ সাংবাদিকদেরকে-ই মূল ভূমিকা রাখতে হবে।
ওই সাংবাদিক মিলনমেলায় সাংবাদিকদের আত্মকথা, নৌভ্রমণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি ছাড়াও সাংবাদিকদের অস্তিত্ব রক্ষা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুচিন্তিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ বিশেষ সুপারিশমালা প্রনয়ণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দুইদিনের বৃহত্তর এ সাংবাদিক মিলনমেলার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় ছিলেন প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের প্রতিবেদক, নবীনগরের কথার জনপ্রিয় টকশো’ উপস্থাপক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু।