নবাগত পুলিশ সুপার ৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে চট্টগ্রামে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। সব রাতারাতি চেঞ্জ হবে এরকম নয়। আমরা ফিল্ড লেভেলে কিছু চেঞ্জ আনতে চাই। একদিনে সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। সেবাপ্রার্থীদের কুইক রেসপন্স করার কথা জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা সাধারণ ডায়েরি করি, সেখানে হয়তো এক ঘণ্টা লাগে, আধঘণ্টা লাগে। কিন্তু আমরা চাই কুইক রেসপন্স করতে। কম সময়ের মধ্যে যেন আমরা সেবা প্রদান করতে পারি। আমরা কুইক রেসপন্স করতে পারি কিনা–এই বিষয়টি নিয়ে আমি একটু কাজ করতে চাই।’
মামলার তদন্তের মানোন্নয়ন নিয়ে কাজ করবেন জানিয়ে সদ্য যোগদান করা এসপি বলেন, ‘ইনভেস্টিগেশনের কোয়ালিটি নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। আমরা চাই কত বেশি কোয়ালিটি ইনভেস্টিগেশন করা যায়। আর একটি বিষয় দেখতে হবে, ইনভেস্টিগেশন কি এভিডেন্স বেইজড হচ্ছে নাকি। এভিডেন্স বেইজড হলে সেটা ভালো রেজাল্ট আসবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩৮৮টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৩৩৩টি অস্ত্র জমা হয়েছে। বাকি অস্ত্রগুলো দেশের বিভিন্ন থানায় জমা হয়েছে কি–না সেটার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশা করি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অস্ত্র ক’টি জমা হয়েছে, সেটা জানা যাবে।
এ সময় চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) সুদীপ্ত সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।