ইউনুস ভাইজানরে
আপনি হইলেন , বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা । এর আগে অসংখ্য পরিচয়ের মধ্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একজন সামাজিক উদ্যোক্তা, সমাজসেবক হিসাবে গোটা দুনিয়ার মানুষ আপনাকে চিনিয়া থাকেন। ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য আপনি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিরল সম্মাননায় আপনি ভূষিত হইয়াছেন।
২০১২ সালে আপনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য (শিক্ষা) হইলেন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এর আগে আপনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বও আপনি পালন করিয়াছেন। ২০২২ সালে আপনি উন্নয়ন আন্দোলনের জন্য ইস্পোর্টস তৈরি করিতে গ্লোবাল ইস্পোর্টস ফেডারেশনের সাথে অংশীদারিত্ব করিয়াছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলন এর ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করিলে ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপপু জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করিবার পর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি চুপপু আপনাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত করিয়াছেন। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে আপনি দায়িত্বভার গ্রহণ করিয়াছেন। যাক, সেইসব কথা।
ভাইজানরে,
এখন আপনার ওপর অনেক গুরু দায়িত্ব অর্পিত হইয়াছে। প্রথমে আইন- শৃংখলা ঠিক করিয়া দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনুন।নিত্য পণ্য যেমন চাল, ডাল, চিনি ,তেল, পেঁয়া্জ, লবণ, তরকারী, মাছ , মাংস, সাধারণ মানুষ যাহাতে কিনিতে গিয়া এই সরকারের প্রতি খারাপ ধারণা সৃষ্টি না হয় সেটা সবসময় মাথায় রাখিবেন। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়া হইলেও তাহা করিবেন। আইন ও বিচারের প্রতি দ্রুত মানুষের আস্থা ফিরিয়া আনুন। উপদেষ্ঠাদের কথা কম, কাজ বেশী করিতে কড়া নির্দেশ দিন।
ভাইজানরে,
বন্যা দূর্গত মানুষের জন্য আপনি ১ হাজার কোটি টাকার ফান্ড আনিয়াছেন শুনিয়া দেশবাসী খুশী হইয়াছে। আপনার ঘনিষ্ট বান্ধবী নুর জাহানকে উপদেষ্ঠা ও আপনার ভাইপো কে আপনার এপিএস করিয়াছেন শুনিয়া আপনার বিরুদ্ধবাদীরা নানা সমালোচনা করিতেছে। তবে অনেকে আপনার সপক্ষেও বলিতেছে। উপদেষ্ঠা আসিফ নজরুল বলিয়াছেন ভারতের ২৬ লাখ লোক বাংলাদেশে সরকারী চাকরী করিয়া থাকে। দেশের সচেতন লোকজন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা বলিতেছে ভারতের এই ২৬ লাখ লোকদের ভারত পাঠাইয়া দিয়া এইদেশের ২৬ লাখ মেধাদের চাকরী দেয়া হোক। বিষয়টি এখন দেশ জুড়িয়া আলোচনা হইতেছে।
আজ আর না। আপনার মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনায় গ্রাম বাংলার অখ্যাত ঠান্ডা মিয়া
গ্রন্থনা ম. আ. হ
আগামী সংখ্যায় আবারো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস সমীপে ঠাণ্ডা মিয়ার গরম কথা (৩৩৯খ) সম্প্রচার করা হইবে।