ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস্ ডব্লিউ এপিসি নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য, সাংবাদিক ও ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের একজন স্বশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বিভিন্ন ভূমিকার কারণে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ডব্লিউ এপিসি নির্বাহী সদস্য হিসেবে সংবাদ মাধ্যমকে সচ্ছ, জবাবদিহি ও দায়িত্বশীল করতে বিশ্বব্যাপী ভূমিকা রেখেছিলেন। বিশ্বখ্যাত এই সাংবাদিকের রাজনীতি সচেতনতা ও স্পষ্টবাদিতা, আমাদের মত অধিকারহারা নিপীড়িত সাংবাদিকদের জন্য একটি আশ্বাস ও সাহস। কিন্তু ক্ষমতায় মদমত্তরা এই ধরণের সাহসী সাংবাদিকদের শুধু রক্ত রক্ষু দেখায় না, চরিত্রকে হরণ করে হেয় করার চেষ্টা করে।
চারিদিকে এখন নোংরা রাজনীতি। এই নোংরা রাজনীতি থেকে পালাবার পথ নেই। সর্বত্র ঘুষ, দুর্নীতি ও অন্ধকার। হয় রাজনীতিটা আপনি করবেন, নয় রাজনীতি আপনাকে নিয়ে রাজনীতি করবে। সে রাজনীতি কবরেও আপনার পিছু ধাওয়া করবে। তাই রাজনীতিকে এড়াতে চাইলেও এড়ানো যায় না। যদি রাজনৈতিক বাস্তবতায় কেউ চুপ করে থাকেন তখনও তিনি রাজনীতি করছেন। কোনো সত্যকে প্রকাশ করছেন না, গোপন করছেন। কোন কিছু ঘটতে দেখলে নিজের নীরবতা দিয়ে ঘটতে দিচ্ছেন। এর মধ্যেই নিজের হিসাব-নিকাশের রাজনীতিতেই ঐ লোক থাকছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনটা মানব বিচ্ছিন্ন কোন জগৎ নয়। সাংবাদিক যেখানেই থাকুন, তার জগৎটা মানুষ দিয়েই তৈরী। মানুষের সাথে যা কিছু সম্পর্কিত তা নিয়েই সাংবাদিকের মনন ও সৃজন। সাংবাদিককে তাই রাজনীতির মধ্য দিয়েই যেতে হয়। এই রাজনীতিটা যদি বাস্তবতা ও যথার্থতা দিয়ে করেন, তখন সাংবাদিক নিজের দায়িত্ব ও কাজটা সঠিকভাবে করলেন। নতুবা তিনি আপন স্বার্থ, সুবিধা, উচ্ছিষ্ট ভোগ ও করুণার জন্য প্রয়োজনে গণবিরোধী এস্টাবলিস্টমেন্টের জুতা পরিস্কার করবেন বাক্য দিয়ে, তত্ব ও তথ্য দিয়ে, তোষামেদ করে। কিন্তু, বৈভব ও প্রতিপত্তির গোলামদের চেঁচামেচিতে চারিদিকে যখন কম্পমান, দালালি, দুর্নীতি অপরের হক নষ্ট করার কুৎসিত প্রতিযোগিতা তখন সাহস করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সত্য, স্পষ্টভাবে বলার সাংবাদিক বিরল। এই বিরল সাংবাদিক ও সচ্ছ রাজনীতির অনুসারীদের অন্যতম হলেন মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত। বাবা আবদুল লতিফ উকিল ছিলেন বৃটিশ শাসন আমলে খ্যাতিমান আইনজীবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং মাতা আনোয়ারা বেগম ছিলেন পরহেজগার, সাধু, বিদূষী নারী।
মানুষের দুঃখ, কষ্ট, কান্নাকে মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত অন্তর দিয়ে অনুভব করছেন। বর্ণবাদ, জাতিভেদ, সন্ত্রাস, অন্ধ সাম্প্রদায়িকতা ও প্রশাসনিক দুর্নীতির সাথে তিনি পুরাপুরি আপোষহীন। এ সবকে তিনি ঘৃণা করে আসছেন আগাগোড়াই। সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই, নাগরিক অধিকার, সামাজিক আন্দোলন, নিপীড়িতদের কণ্ঠস্বর হবার ঝুঁকি নিতে পারার মানসিক শক্তি কাদেরী শওকতের ছিল। সমাজ-রাষ্ট্রে প্রভাবশালী, বিপজ্জনক এস্টাবিলিস্টমেন্টের চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে ন্যায়ের কথা সোজা ও বলিষ্ঠভাবে বলার ভাষা তাঁর ছিল। রাস্তাঘাটে লক্ষ লক্ষ মানুষ যখন শ্লোগান দেয় ‘গণতন্ত্র চাই’ ‘অধিকার চাই’ তখন কাদেরী শওকত বলেন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে আমাদের গণতন্ত্র ও অধিকার দরকার। আধিপত্যবাদের পৃথিবীতে এস্টাবিলিস্টমেন্টের কাছে আত্মসমর্পণ স্বাধীনতা নয়। স্বাধীনতা ও অধিকার হরণে শুধু গণবিরোধী এস্টাবিলিস্টমেন্ট দায়ী নয়। অনেক বেশী দায়ী পরাধীন মস্তিস্কের, সুবিধাবাদী ও স্বার্থান্বেষী চিন্তা চর্চা। এই চিন্তা বিচারবোধকে বন্ধক রেখে দেয় পুঁজি, ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির কাছে। চিন্তা-চেতনার দিক থেকে মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত এসব ভ্রান্ত ধারণার ঘোরতর বিরোধী। পূর্বসুরী, অনুবর্তী, সহকর্মী সাংবাদিক মহল ও পরিচিত সকলের কাছে মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের বিশ্বস্ততা, সততা ও নিষ্ঠার কথা সুপরিজ্ঞাত। জীবন নিয়ন্ত্রণে তিনি বরাবরই সুনীতিকে উচু স্থান দিয়েছেন। হিংসা, অশোভনতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে তিনি ঘৃণা করেছেন আজীবনই।
গত প্রায় দু’বছর ধরে তিনি রোগ-শোকে কষ্ট পাচ্ছেন। অনেক সময় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে উপনীত হন। সুস্থ থাকলে আমরা অনেক কিছু তাঁর কাছ থেকে পেতাম। তার সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত এ রকম, মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক-সম্পাদক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত ১৯৬৯ সালে সাংবাদিকতা ও ১৯৬৪ সালে সার্বজনীন ভোটাধিকার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হবার মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পূর্বে বিভিন্ন দৈনিকের রিপোর্টার ছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রতিষ্ঠিত ও ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের নেতা অলি আহাদ সম্পাদিত ‘ইত্তেহাদ’ এর বিশেষ সংবাদদাতা, ডেইলি ট্রিবিউন এর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি দৈনিক নয়াবাংলা’র সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালের ১৭ আগস্ট তাঁর সম্পাদনায় চট্টগ্রাম থেকে ইজতিহাদ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। প্রকাশনার কয়েক মাস পর তদানিন্তন এরশাদ সরকার পত্রিকাটির প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে পরে হাইকোর্টে রীট করার পর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত চট্টগ্রাম সংবাদপত্র পরিষধ ও চিটাগাং এডিটরস কাউন্সিল সাধারণ সম্পাদক, পূর্বাঞ্চলীয় সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি, বাংলাদেশ সম্পাদক সমিতির আহ্বায়ক ও ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিল ডব্লিউ এপিসি নির্বাহী পরিষদ সদস্য ছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, প্রেস জুডিশিয়াল, প্রেস রুলস কমিটি সদস্য (২০০২-২০০৬) বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ বিএসপি সহ-সভাপতি (২০০২-২০০৩), বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (১৯৮৮-১৯৯১) চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি (১৯৮০-১৯৬৮৪), চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নির্বাচন কমিশনার (১৯৮৭-১৯৯১), চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক (১৯৭৯-১৯৮৪), বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক (১৯৮৭-১৯৯১), গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা কমিটি সদস্য (১৯৯০-১৯৯১), চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটি, জমিয়তুল ফালাহ সদস্য, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি কাউন্সিলার (১৯৮৩), গণতান্ত্রিক মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান (১৯৯৯-২০০১), চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান (২০০৫) এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান (২০১৪-২০১৭), মুক্তিযুদ্ধের সময় হাটহাজারী ফটিকা আঞ্চলিক মুক্তিবাহিনী (বিএলএফ) প্রধান, হাটহাজারী ফটিকা হুকুমদখল জমি উদ্ধার কমিটির সাধারণ সম্পাদক (১৯৭৯-১৯৮৪), ফেডারেশন অব ইয়ুথ, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল (১৯৭৬-১৯৭৯), জাতীয় সাংস্কৃতিক পরিষদ সাধারণ সম্পাদক (১৯৮১-১৯৮৩) ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা-সম্পাদক মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট পিআইবি আয়োজিত ১৯৯৩ Training Seminar for Editors of Community Newspapers ১৯৯৫ সালে Editors Colloquium on investigative Reporting এ অংশগ্রহণ করেন। সম্পাদক কাদেরী শওকত চিটাগাং ইউনিভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম সরকারি বানিজ্য কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতি, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটির সদস্য এবং চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতি আজীবন সদস্য। গত পাঁচ দশক ধরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য। ১৯৯৬ সালে ২৬ শে মার্চ মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক হিসেবে এবং ২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর কৃতী সাংবাদিক হিসেবে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সংবর্ধনা দেয় মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতকে। তিনি সিনিয়র জার্নালিস্ট ফোরাম আহ্বায়ক ও কল্পলোক মিডিয়া টাওয়ার সাংবাদিক ফ্ল্যাট মালিক স্টীয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাদেরী শওকতকে সংবর্ধনা প্রদান করে। চট্টগ্রাম একুশে উৎসব পরিষদ ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য একুশে সম্মাননা পদক এবং এবং ওই বছরের ৩০ মার্চ চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি বিগত শতাব্দীর শেষ সিকি ভাগে (১৯৭৫-২০০০) সাহসী সাংবাদিকতা ও বর্তমান শতাব্দীর প্রথম দশকে বিশ্ব প্রেস কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে ভূমিকা রাখায় সম্মাননা প্রদান করে।
ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস নির্বাহী সদস্য কাদেরী শওকত ডব্লিউ এপিসি তানজানিয়া ২০০৪ ও ইস্তাম্বুল ২০০৬ ঘোষণায় স্বাক্ষরকারীদের অন্যতম। ভারতের জাতীয় প্রেস ডে উপলক্ষে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া প্রকাশিত স্যুভিনিয়রে ২০০৬ ও ২০০৭ সালে মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতের দুটি নিবন্ধ ছাপা হয়। নিবন্ধ দুটি হলো Press Freedom : A continuing struggle (2006, PCI souvenir, Page: 145) এবং Freedom of the press is a fundamental rights (2007, PCI souvenir, Page: 69) ঐ স্যুভিনিয়র দুটিতে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. এপিজে আবদুল কালাম, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল, প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি) প্রণব মুখার্জি, তথ্যমন্ত্রী প্রিয় রঞ্জন দাস মুন্সী, গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী (পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নরেন্দ্র মোদী, বিশ্ব প্রেস কাউন্সিলস প্রেসিডেন্ট জনাব অকটয় এক্সি সহ বিশ্বের প্রেস কাউন্সিল সমূহের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী ও বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের লেখা ও বাণী ছাপা হয়। ২০০৭-২০০৮ সালে ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলের কান্ট্রি রিপোর্টের মধ্যে তার রিপোর্ট শ্রেষ্ঠ রিপোর্ট হিসেবে বিবেচিত হয় চমৎকার উপস্থাপন ও লেখনির জন্য। ২০০৪ সালের ২৪-২৬ অক্টোবর তাঞ্জানিয়ার রাজধানী দার-উস-সালেমে অনুষ্ঠিত ডব্লিউ এপিসির নবম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তার রিপোর্ট অন্যতম শ্রেষ্ঠ রিপোর্ট হিসেবে মর্যাদা পায় এবং এবং ওই সময় তিনি ডব্লিউ এপিসির ১১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া ২০০৬ সালে ইস্তাম্বুলে গঠিত ডব্লিউ এপিসির সংবিধান কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর রিপোর্টর ২০০৯ সালের ৮-১০ জুলাই ইস্তাম্বুলে এবং ২০১০ সালের ২৪-২৬ মার্চ সাইপ্রাসে অনুষ্ঠিত ডব্লিউ এপিসির সাধারণ এসেম্বলিতে প্রশংসিত হয়।
২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে যখন কারারুদ্ধ করা হয় তখন সারাদেশে একমাত্র মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতই এর প্রতিবাদ করেছিলেন। ২০২৩ সালের ৩ জুন বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত সভায় মইনুদ্দীন কাদেরী শওকতকে সাহসী সাংবাদিকতার জন্য দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া স্মৃতি পদকে সম্মানিত করে।
মরহুমা আনোয়ারা বেগম এবং আওয়ামী মুসলিম লীগ বৃহত্তর চট্টগ্রাম শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (১৯৪৯), নিখিল ভারত মুসলিম লীগ, চট্টগ্রাম শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক (১৯২৪) চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির প্রথম মুসলিম সভাপতি মরহুম আবদুল লতিফ উকিলের কনিষ্ঠ পুত্র মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নিউরোসার্জন, বিএম এ প্রাক্তন সভাপতি মরহুম অধ্যাপক ডা. এল.এ. কাদেরীর ছোট ভাই এবং মোহরাস্থ পীরে কামেল হযরত মাওলানা নুর আহমদ আল কাদেরী (রঃ) এর দৌহিত্র।
স্ত্রী শেখ আফসানা কাদেরী ইজতিহাদ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। একমাত্র পুত্র শিহাব কাদেরী ইজতিহাদ এর সহযোগী সম্পাদক ও একমাত্র কন্যা সামিনা কাদেরী। তিনি ১৯৯৬ সালে পবিত্র হজব্রত পালন করেন।
মুক্তবুদ্ধির চর্চা, চিন্তাধারার সত্যিকার বিকাশ, প্রগতি ও দেশপ্রেমের কথাই বলেছেন বার বার, জীবনে বহুবার মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত। তাঁর মত সৎ সাংবাদিকরা নিপীড়িত, প্রবঞ্চিত ও প্রতারিত হয়েছেন এদেশে। যথাযথ মূল্যায়ন ও মর্যাদাপ্রাপ্ত হননি। এ ধরণের ব্যক্তিদের সঠিক মূল্যায়ন হলে সমাজ ও দেশে সুন্দরের আবির্ভাব ঘটত।