নিজস্ব প্রতিনিধি
আনোয়ারার বটতলী, জুঁইদন্ডী, চাতরী, আইলমঙ্গলে ভেজাল ঘি ফ্যাক্টরীর খবর পাওয়া গেছে। পূর্বে নামকরা ঘি ফ্যাক্টরীতে কাজ করত এমন কয়েকজন কর্মচারী কতিপয় লোভী টাকাওয়ালাকে পার্টনার বানিয়ে এসব ঘি ফ্যাক্টরীগুলো চালাচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য তথ্য মিলছে। এসব ঘি খেয়ে ভোক্তারা নানান শারীরিক জটিলতার ভোগলেও বাবুর্চিরা এসব ঘি কেনার জন্য উৎসাহ জুগিয়ে আসছে টোকেন নামক নগদ টাকার লোভে।
জানা গেছে, ‘এম এস’ ‘ বাবু এইচ প্লাস’ ‘রূপসা’ ‘ডানোপা’ ‘বাবু স্পেশাল গাউয়া ঘি’ এই নামের ঘিগুলো দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর খাবার। ‘এম এস’ ১ কেজি ঘির দাম সাত শত আশি টাকা। এখানে একটি টিনের ফটে তিনশত টাকার টোকেন থাকে। এই টোকেন বাবুর্চি জমা দিলেই নগদ তিনশত টাকা পায়। স্থানীয় রাডার অফিসে পাশে এই ‘এমএস’ ঘি ফ্যাক্টরী। এটি মালিক রায়পুর ইউনিয়নের দক্ষিন সরেঙ্গার জনৈক রাশেদ বলে জানা গেছে।
‘বাবু এইচ প্লাস, ‘বাবু স্পেশাল গাউয়া ঘি’ এর প্রতিটি ১ কেজির টিনের ফটে ২০০-২৫০ টাকার টোকেন থাকে ওই টোকেন জমা দিলেই আইরমঙ্গল গ্রামের আহমদ নুর উল্লেখিত পরিমান টাকা বাবুর্চিকে দিয়ে থাকে। বাবু এইচ প্লাস ও বাবু স্পেশাল গাউয়া ঘি’র মালিক আহম্মেদ নুর এই অবৈধ ও ভেজাল ঘি’র ব্যবসা করে বিপুল টাকার মালিক বনে গেছে বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখিত এসব ঘি কোনটির সরকারি কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। শুধুমাত্র স্থানীয় থানা ও ফাঁড়ী পুলিশদের মাসোহারা দিয়ে এ অবৈধ মারাত্মক বিষধর খাবারগুলো সুস্থ মানুসদের ঘি’র নামে খাবিয়ে অসুস্থ করে তুলছে।
চাতরী এলাকার তাজ উদ্দিনের ‘রূপসা’ও অনুমোদনহীন ভেজাল ঘি। এই রূপসা’র ফ্যাক্টরীও চাতুরী এলাকায়। ‘কর্ণফুলী ঘি’ও একই রকমের। এসব ঘি খেয়ে সাধারণ জনগণ নানা অসুখ-বিসুখে ভোগে, নষ্ট হয় টাকা অন্যদিকে বাবুর্চি ও ফ্যাক্টরীর মালিকের অবৈধ পণ্য বিক্রি করে প্রশাসনকে হাত করে কামিয়ে নিচ্ছে বিপুল কালো টাকা।
স্থানীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ভোক্তা অধিকার, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর স্মরণ অতীতকালে এইসব ফ্যাক্টরীতে কখনো মোটা অংকের জরিমানা ও সিলগালা করে দেবার তথ্য দিতে পারেননি এলাকাবাসী।