ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী ও মহাসচিব শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন- দেশের গৌরবোজ্জ্বল সকল অর্জনের নেপথ্যে এদেশের ছাত্র সমাজের অনবদ্য ভূমিকা কোনভাবেই বিস্মৃত হবার নয়। ৫২, ৬২, ৬৯, ৭১ ও ৯০ সহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে রয়েছে ছাত্র সমাজের অমূল্য কীর্তিগাঁথা। আর বর্তমানের কোটা সংস্কার আন্দোলনও ব্যতিক্রম কিছু নয়। যা ছাত্রদের ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক অধিকারও বটে। আমরা মনে করি বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির একটি যৌক্তিক সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। আর এ দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সাথে আমাদের কোন ভিন্নমত নেই। উপরন্তু এ আন্দোলনের মাধ্যমে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করার দাবিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই এ যৌক্তিক বিষয়টিকে পূর্ণতা দিতে আন্দোলনকারী, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের সমন্বিত প্রয়াস খুবই জরুরি। কিন্তু অতীব দূঃখজনক হলেও সত্য যে, গতকাল ১৬ জুলাই ২৪ ছাত্রসমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারাদেশে ৬ জন ছাত্র নিহত হয়েছে। যা এ মূহুর্তে এ আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার দুরভিসন্ধি বলে মনে করি। এতে কোন পক্ষ হতে কোনরূপ সহিংসতা মোটেও কাম্য নয়। গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত এ হতাহতের ঘটনায় নেতৃবৃন্দ নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। এদের অসম্মান হয়- এরূপ কোন কাজ যেমনিভাবে সমর্থনযোগ্য নয়, ঠিক তেমনিভাবে যৌক্তিক আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করাও সমীচীন নয়। এক্ষেত্রে আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, সরকার ও প্রশাসনকে পরস্পরকে স্ব স্ব অবস্থানে পরমত সহিষ্ণু থাকা এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।